০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সহজ ভাষায় চট্টগ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

বার্ণোলী সাহেবের মতে আরবি শাৎগঙ্গ শব্দ বিবর্তিত হয়ে চট্টগ্রাম নামের উদ্ভব হয়েছে। শাৎ অর্থ বদ্বীপ, গঙ্গ অর্থ গঙ্গানদী। চট্টগ্রাম গঙ্গানদীর মোহনাস্থিত বদ্বীপ- প্রাচীন আরব বণিক-নাবিকদের এই ভুল ধারণা থেকে এর নামকরণ করা হয়েছিল শাৎগঙ্গ। পরবর্তীকালে শাৎগঙ্গ নাম বিবর্তিত হয়ে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের রয়েছে হাজার বছরের পুরাতন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি, প্রাচ্যের রাণী বীর প্রসবিনী, আধ্যাত্মিক রাজধানী, বন্দরনগরী, আন্তর্জাতিক পর্যটন নগরী, কল্যাণময় নগরী এমন অসংখ্য নামে পরিচিত এই চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮টি নামের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাতগাও, রোসাং, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম, আদর্শদেশ, চট্টল, চৈত্যগ্রাম, সপ্তগ্রাম, পেন্টাপোলিস প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। পণ্ডিত বার্নোলির মতে, আরবি ‘শ্যাত (খন্ড) অর্থ বদ্বীপ, গাঙ্গ অর্থ গঙ্গা নদী থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি।
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের রয়েছে হাজার বছরের পুরাতন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি, প্রাচ্যের রাণী বীর প্রসবিনী, আধ্যাত্মিক রাজধানী, বন্দরনগরী, আন্তর্জাতিক পর্যটন নগরী, কল্যাণময় নগরী এমন অসংখ্য নামে পরিচিত এই চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি: চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮টি নামের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাতগাও, রোসাং, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম, আদর্শদেশ, চট্টল, চৈত্যগ্রাম, সপ্তগ্রাম, পেন্টাপোলিস প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। পণ্ডিত বার্নোলির মতে, আরবি ‘শ্যাত (খন্ড) অর্থ বদ্বীপ, গাঙ্গ অর্থ গঙ্গা নদী থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। অপর এক মতে ত্রয়োদশ শতকে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন বার জন আউলিয়া। তারা একটি বড় বাতি বা চেরাগ জ্বালিয়ে উঁচু জায়গায় স্থাপন করেছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘চাটি’ অর্থ বাতি বা চেরাগ এবং গাঁও অর্থ গ্রাম। এ থেকে নাম হয় “চাটিগাঁও”।

এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্সের মতে, এ এলাকার একটি ক্ষুদ্র পাখির নাম থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম মোঘল সম্রাজ্যের অংশ হয়। আরাকানদের পরাজিত করে মোঘল এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মীর কাশিম আলী খান ইসলামাবাদকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করেন। পরে কোম্পানি এর নাম রাখেন চিটাগাং। ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন তিন পার্বত্য জেলা এ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এ জেলা ভেঙ্গে কক্সবাজার জেলা গঠিত হয়। প্রাচীন গ্রিক ও মিসরীয় ভৌগোলিকদের বর্ণনায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের কিছু কিছু উল্লেখ পাওয়া যায়। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের গ্রিক ভৌগোলিক প্লিনির লিখিত ‘পেরিপ্লাসে’ ক্রিস’ বলে যে স্থানটির বর্ণনা আছে খ্যাতনামা ঐতিহাসিক স্যার ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালীর মতে তা সন্দ্বীপে সঙ্গে অভিন্ন। ল্যাসেনের মতে, পেন্টাপোলিস চট্টগ্রামেরই ক্লাসিক্যাল নাম। আরব ভৌগোলিকদের বিবরণে ‘সমন্দর’ বলে যে বন্দরটির উল্লেখ আছে তা চট্টগ্রাম। সমন্দর বন্দরটি পালবংশীয় দিগ্বিজয়ী রাজা ধর্মপালের অধীনে ছিল। এ থেকে মনে হয়, ধর্মপালের রাজ্যের বিস্তৃতি চট্টগ্রাম পর্যন্ত ঘটেছিল। প্রাচীন হরিকেল রাজ্যের কয়েকটি শিলালিপি চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশে আবিষ্কৃত হওয়ায় পণ্ডিতরা মনে করেন, চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশ প্রাচীন হরিকেল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

আয়তন ও সীমানা: বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮৩ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ৭৯,১৩,৩৬৫ জন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ২১°৫৪´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৭´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫৯ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা; পূর্বে বান্দরবন জেলা, রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা; উত্তরে ফেনী জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এছাড়া দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের অংশ।

আয়তন ও সীমানা: বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮৩ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ৭৯,১৩,৩৬৫ জন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ২১°৫৪´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৭´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫৯ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা; পূর্বে বান্দরবন জেলা, রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা; উত্তরে ফেনী জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এছাড়া দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের অংশ। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে সৌন্দর্য, বৈচিত্র্য ও বিশালতায় সমৃদ্ধ। ভূ-প্রাকৃতিক রূপে যেমন এর বিচিত্রতা তেমনি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের ঐশ্বর্যমণ্ডিত বৈশিষ্ট্য। এ বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর সহ প্রায় সকল জেলায় রয়েছে নিজ নিজ ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্য। নীচে জেলাভিত্তিক এ বিভাগের ঐতিহ্যসমূহ উল্লেখ করা হলঃ

চট্টগ্রাম জেলাঃ চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। জানা ইতিহাসের শুরু থেকে চট্টগ্রামে আরাকানী মঘীদের প্রভাব লক্ষনীয়। ফলে গ্রামীণ সংস্কৃতিতেও এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সে সময় এখানকার রাজারা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী হওয়ায় তার প্রভাবও যথেষ্ট। সুলতানি, আফগান এবং মোগল আমলেও আরাকানীদের সঙ্গে যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই ছিল। ফলে শেষ পর্যন্ত মঘীদের প্রভাব বিলুপ্ত হয়নি। এছাড়া চট্টগ্রামের মানুষ আতিথেয়তার জন্য দেশ বিখ্যাত।

চট্টগ্রামের বর্তমান সংস্কৃতির উন্মেষ হয় ১৭৯৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের পর। এর ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে সামাজিক ধানোৎপাদন ও বন্টনে পদ্ধতিগত আমূল পরিবর্তন হয়। অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও একটি নতুন মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়। নতুন এরই ফাঁকে ইংরেজরা প্রচলনা করে ইংরেজি শিক্ষা। মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে পাশ্চাত্যের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের ইতিহাস সমৃদ্ধ। শেফালী ঘোষ এবং শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণবকে বলা হয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের সম্রাট ও সম্রাজ্ঞি। মাইজভান্ডারী গান ও কবিয়াল গান চট্টগ্রামের অন্যতম ঐতিহ্য। কবিয়াল রমেশ শীল একজন বিখ্যাত কিংবদন্তি শিল্পী। জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস, এল আর বি, রেঁনেসা, নগরবাউল এর জন্ম চট্টগ্রাম থেকেই। আইয়ুব বাচ্চু, কুমার বিশ্বজিৎ, রবি চৌধুরী, নাকিব খান, পার্থ বডুয়া, সন্দিপন, নাসিম আলি খান, মিলা ইসলাম চট্টগ্রামের সন্তান। নৃত্যে চট্টগ্রামের ইতিহাস মনে রখার মত। রুনু বিশ্বাস জাতীয় পর্যায়ে বিখ্যাত নৃত্যগুরু। চট্টগ্রামের বিখ্যাত সাংস্কৃতিক সংগঠন হল দৃষ্টি চট্টগ্রাম www.drishtyctg.com, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা, আলাউদ্দিন ললিতকলা একাডেমি, প্রাপন একাডেমি, উদিচি, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, ফু্লকি, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, রক্তকরবী, আর্য সঙ্গীত, সঙ্গীত পরিষদ। মডেল তারকা নোবেল, মৌটুসি, শ্রাবস্তীর চট্টগ্রামে জন্ম । সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি, মুসলিম হল, থিয়েটার ইন্সটিটিউট। দেশের অন্যতম ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রামের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। তবে আমরা অনেকেই জানি না, প্রাকৃতিক এবং স্থাপত্য সৌন্দর্যের দিক দিয়েও বন্দর নগরী অনন্য। চট্টগ্রামের ৫টি স্থান নিয়ে আজকের আয়োজন। যেগুলো আপনি চট্টগ্রাম ভ্রমণে ঘুরে আসতে পারেন।

ভাটিয়ারীঃ ভাটিয়ারী, স্থানীয়দের কাছে একটি জনপ্রিয় ডে-ট্রিপ গন্তব্য। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভাটিয়ারী লেক অসম্ভব সুন্দর একটি বিনোদনের জায়গা; শান্ত পরিবেশ এবং পুরানো ঝরণা নিঃসন্দেহে আপনার মনকে পুনরুজ্জীবিত করবে। সবুজ এবং নীল রঙের সুন্দর মিশ্রণ এই জায়গাটি পিকনিকের জন্য একদম উপযুক্ত। এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি গলফ কোর্সও রয়েছে। এখানকার ফ্রেশ বাতাস, ঝকঝকে চারপাশ এবং সবুজ পরিবেশ আপনাকে প্রশান্তি দেবে।
সবশেষে, আপনি ভাটিয়ারী সানসেট পয়েন্টে একটি চমৎকার সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনার দিন শেষ করতে পারবেন।

সীতাকুণ্ড ইকো পার্কঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত ইকো পার্কটি। প্রবেশ মূল্য মাত্র ১০ টাকা, এটা অনেকটা জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়ার মতো।
পার্কের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন থিমে ও বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রবেশপথের ঠিক মুখে আপনি পেয়ে যাবেন পাইন গাছের সারিবদ্ধ পথ এবং একটি সুন্দর পুকুরসহ লেকফ্রন্ট। একটু হাঁটলেই আপনি বিখ্যাত সহস্রধারা এবং সুপ্তধারা জলপ্রপাত দেখতে পাবেন। অন্যান্য জায়গায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় গাছের বাগান, বন্য ফুলের তৃণভূমি, ফলের বাগান ইত্যাদি রয়েছে। সবচেয়ে রোমাঞ্চকর হলো বন্যপ্রাণী এলাকা যেখানে আপনি হরিণ, বানর এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যেমন দোয়েল, চড়ুই, বন্য তোতাপাখি এবং আরও অনেক কিছু দেখতে পারেন। ঢাকা থেকে দূরত্ব একটু বেশি হলেও চট্টগ্রাম থেকে যেকোনো যানবাহনে মাত্র দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতঃ পতেঙ্গা সম্পর্কে আপনি হয়তো বেশ ভালোই জানেন। তবে সাম্প্রতিক কিছু পরিবর্তন এটিকে আক্ষরিক অর্থে একটি মিনি কক্সবাজারে রূপান্তরিত করেছে। বড় বড় পুরানো শিলাগুলো যা সময়ের সঙ্গে কিছুটা বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছিল এখন সেগুলো পানিতে নামার সিঁড়ি হিসেবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। যখন কেউ কেউ তাদের পা ডুবাতে পছন্দ করেন তখন অন্য কেউ আবার চায় ঢেউ তাদের উপর দিয়ে চলে যাক। রাস্তার ওপাশে রয়েছে অসংখ্য সারিবদ্ধ স্টল, সি-শেল জুয়েলারি, বিচ স্লিপার, আচার এবং শিশুদের জন্য খেলনা; অনেকটা কক্সবাজারের বার্মিজ মার্কেটের মতো। আপনি যদি পতেঙ্গাকে পুরোপুরি অনুভব করতে চান তবে ভোরে বা গভীর রাতে চলে যাবেন। এই ২ সময়েই ভীষণ আরামদায়ক একটা তাপমাত্রা থাকে এবং সমুদ্রের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ছোট ছোট মানুষের দল। এ ছাড়া পিয়াজু এবং ভাজা কাঁকড়া এই দুটি জিনিস অবশ্যই পতেঙ্গা দেখার সময় মিস করতে পারবেন না।

জাতীয় নৃতাত্ত্বিক জাদুঘরঃ নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর চট্টগ্রামের সবচেয়ে সাংস্কৃতিকভাবে আলোকিত আকর্ষণীয় স্থানের একটি। আগ্রাবাদের প্রাইম লোকেশনে অবস্থিত এই জায়গাটি শুধু অতীতকেই সংরক্ষণ করে না বরং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বর্তমানকেও নথিভুক্ত করে। জাদুঘরের এগারোটি গ্যালারি মুগ্ধকর পেইন্টিং, মডেল, বাসস্থান পুনর্গঠন, মানচিত্র, ফটোগ্রাফ এবং অন্যান্য বিভিন্ন জিনিসের মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে জীবন্ত করে রেখেছে।

ফয়’স লেকঃ ফয়’স লেক একটি কৃত্রিম হ্রদ যা চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় অবস্থিত এবং এটি শহরের সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা বিনোদন পার্কগুলোর মধ্যে একটি।
শিশুদের জন্য অনেক রাইড তো রয়েছেই সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্করাও একটি সুন্দর পরিবেশে পাহাড় এবং হ্রদ পেয়ে যাবেন এখানে। লেকের তীরে ভাড়া নেওয়ার জন্য সারি সারি নৌকা রয়েছে। নৌযাত্রা আপনাকে পাশের সবুজ পাহাড়, মাঝে মাঝে কয়েকটি হরিণ এবং বিভিন্ন অচেনা পাখির সাক্ষী করে রাখবে। সম্প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রোমাঞ্চকর রাইডের পাশাপাশি ‘সি ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি আলাদা ওয়াটার থিম পার্কও সংযোজন করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের স্কুল ও কলেজঃ

১. চট্টগ্রাম কলেজ
২. চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ
৩. চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ
৪. পটিয়া সরকারি কলেজ
৫. সরকারি কমার্স কলেজ
৬. সরকারি সিটি কলেজ
৭. সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ
৮. চট্টগ্রাম আইন কলেজ
৯. আনোয়ারা সরকারি কলেজ
১০. আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান কলেজ
১১. ইসলামিয়া কলেজ
১২. উত্তর কাট্টলী আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ডিগ্রী কলেজ
১৩. ওমর গণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
১৪. কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
১৫. গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ১৬.চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ
১৭. চুনতি সরকারি মহিলা কলেজ
১৮. জরিনা মফজল সিটি কর্পোরেশন কলেজ
১৯. নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
২০. নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
২১. নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
২২. পাহাড়তলী কলেজ
২৩. ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
২৪. বিজয় স্মরণী কলেজ
২৫. রাউজান কলেজ
২৬. রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজ
২৭. সরকারি হাজি আব্দুল বাতেন কলেজ
২৮. সাতকানিয়া সরকারি কলেজ
২৯. সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজ
৩০. স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ
৩১. হাজেরা তজু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
৩২. হাটহাজারী কলেজ
৩৩. উত্তর সন্দ্বীপ ডিগ্রী কলেজ
৩৪. পটিয়া আইন কলেজআবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্্যালয়
৩৫. বঙ্গবন্ধু ল কলেজ
৩৬. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ৩৭.বাংলাদেশ মেরিন ফিশারীজ একাডেমী
৩৮. অগ্রসার বালিকা মহাবিদ্যালয়
৩৯. আগ্রাবাদ মহিলা কলেজ
৪০. আমানতছফা বদরুন্নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজ
৪১. আল হেলাল আদর্শ ডিগ্রী কলেজ
৪২. আলাওল ডিগ্রী কলেজ
৪৩. আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ
৪৪. ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
৪৫. ইছাপুর বাদশা মিয়া চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ
৪৬. উত্তর রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রী কলেজ
৪৭. উত্তর সাতকানিয়া জাফর আহমেদ চৌধুরী কলেজ
৪৮. মহিলা কলেজ
৪৯. এম শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ
৫০. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম কলেজ
৫১. কাটিরহাট মহিলা কলেজ
৫২. কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজ
৫৩. কুণ্ডেশ্বরী বালিকা মহাবিদ্্যালয়
৫৪. খন্দকিয়া চিকনদণ্ডী শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ
৫৫. খলিল মীর ডিগ্রী কলেজ
৫৬. খলিলুর রহমান মহিলা কলেজ
৫৭. গহিরা ডিগ্রী কলেজ
৫৮. ডাঃ ফজলুল হাজেরা ডিগ্রী কলেজ
৫৯. দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ডিগ্রী কলেজ
৬০. নানুপুর লায়লা কবির ডিগ্রি কলেজ
৬১. নারায়ণহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজ
৬২. পশ্চিম পটিয়া এ জে চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ
৬৩. পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজবা
৬৪. ফতেয়াবাদ সিটি কর্পোরেশন ডিগ্রি কলেজ
৬৫. বরমা ডিগ্রী কলেজ
৬৬. বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ
৬৭. বারৈয়ারহাট কলেজ
৬৮. বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ
৬৯. বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ
৭০. বোয়ালখালী হাজী মোহাম্মদ নুরুল হক ডিগ্রী কলেজ
৭১. ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরী কলেজ
৭২. মুজাফফরাবাদ যশোদা নন্দ্র নন্দী মহিলা ডিগ্রী কলেজ
৭৩. মুস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রী কলেজ
৭৪. রাঙ্গুনিয়া হাসিনা জামাল ডিগ্রী কলেজ
৭৫. রাজানগর রাণীরহাট ডিগ্রী কলেজ
৭৬. লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রী কলেজ
৭৭. শাহ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ
৭৮. সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা কলেজ
৭৯. সাতবাড়িয়া অলি আহমেদ বীর বিক্রম কলেজ
৮০. সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ
৮১. হুলাইন ছালেহ নুর ডিগ্রী কলেজ
৮২. হেয়াকো বনানী ডিগ্রী কলেজ
৮৩. আইয়ুব ফাউন্ডেশন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ
৮৪. চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৮৫. আকবরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ
৮৬. আছিয়া মোতালেব রিজিয়া নাছরিন স্কুল এন্ড কলেজ
৮৭. আবুল কাশেম হায়দার মহিলা কলেজ
৮৮. আলহাজ্ব এয়াকুব আলী বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ
৮৯. আশালতা কলেজ
৯০. আয়ুব বিবি সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজ
১০৪. চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা স্কুল এন্ড কলেজ
১০৫. চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ
১০৬. চট্টগ্রাম কসমোপলিটন কলেজ
১০৭. চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ
১০৮. চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজ
১০৯. চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ
১১০. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ
৯১. ইউনিয়ন কৃষি স্কুল এন্ড কলেজ
৯২. ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
৯৩. ওয়েস্টার্ন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ
৯৪. কধুরখীল জলিল আম্বিয়া কলেজ
৯৫. কর্ণফুলি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
৯৬. কলেজ অব সায়েন্স, বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান কলেজ
৯৭. কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ
৯৮. কাট্টলী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
৯৯. কাফকো স্কুল এন্ড কলেজ
১০০. কুমিরা আবাসিক বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ
১০১. কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজ
১০২. গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ
১০৩. গুলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ

আজ এই পর্যন্তই। চট্টগ্রামের রয়েছে আরও নানান ইতিহাস, সেসব নিয়ে আলোচনা হবে পরবর্তী কোন পর্বে।

Tag :

সহজ ভাষায় চট্টগ্রামের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

প্রকাশিত ০৩:১৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বার্ণোলী সাহেবের মতে আরবি শাৎগঙ্গ শব্দ বিবর্তিত হয়ে চট্টগ্রাম নামের উদ্ভব হয়েছে। শাৎ অর্থ বদ্বীপ, গঙ্গ অর্থ গঙ্গানদী। চট্টগ্রাম গঙ্গানদীর মোহনাস্থিত বদ্বীপ- প্রাচীন আরব বণিক-নাবিকদের এই ভুল ধারণা থেকে এর নামকরণ করা হয়েছিল শাৎগঙ্গ। পরবর্তীকালে শাৎগঙ্গ নাম বিবর্তিত হয়ে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের রয়েছে হাজার বছরের পুরাতন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি, প্রাচ্যের রাণী বীর প্রসবিনী, আধ্যাত্মিক রাজধানী, বন্দরনগরী, আন্তর্জাতিক পর্যটন নগরী, কল্যাণময় নগরী এমন অসংখ্য নামে পরিচিত এই চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮টি নামের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাতগাও, রোসাং, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম, আদর্শদেশ, চট্টল, চৈত্যগ্রাম, সপ্তগ্রাম, পেন্টাপোলিস প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। পণ্ডিত বার্নোলির মতে, আরবি ‘শ্যাত (খন্ড) অর্থ বদ্বীপ, গাঙ্গ অর্থ গঙ্গা নদী থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি।
দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের রয়েছে হাজার বছরের পুরাতন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমি, প্রাচ্যের রাণী বীর প্রসবিনী, আধ্যাত্মিক রাজধানী, বন্দরনগরী, আন্তর্জাতিক পর্যটন নগরী, কল্যাণময় নগরী এমন অসংখ্য নামে পরিচিত এই চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি: চট্টগ্রামের প্রায় ৪৮টি নামের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রম্যভূমি, চাটিগাঁ, চাতগাও, রোসাং, চিতাগঞ্জ, জাটিগ্রাম, আদর্শদেশ, চট্টল, চৈত্যগ্রাম, সপ্তগ্রাম, পেন্টাপোলিস প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। পণ্ডিত বার্নোলির মতে, আরবি ‘শ্যাত (খন্ড) অর্থ বদ্বীপ, গাঙ্গ অর্থ গঙ্গা নদী থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। অপর এক মতে ত্রয়োদশ শতকে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন বার জন আউলিয়া। তারা একটি বড় বাতি বা চেরাগ জ্বালিয়ে উঁচু জায়গায় স্থাপন করেছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় ‘চাটি’ অর্থ বাতি বা চেরাগ এবং গাঁও অর্থ গ্রাম। এ থেকে নাম হয় “চাটিগাঁও”।

এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্সের মতে, এ এলাকার একটি ক্ষুদ্র পাখির নাম থেকে চট্টগ্রাম নামের উৎপত্তি। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম মোঘল সম্রাজ্যের অংশ হয়। আরাকানদের পরাজিত করে মোঘল এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ। ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মীর কাশিম আলী খান ইসলামাবাদকে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করেন। পরে কোম্পানি এর নাম রাখেন চিটাগাং। ১৬৬৬ সালে চট্টগ্রাম জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন তিন পার্বত্য জেলা এ জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৮৬০ সালে পার্বত্য এলাকা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয়। পরবর্তীতে এ জেলা ভেঙ্গে কক্সবাজার জেলা গঠিত হয়। প্রাচীন গ্রিক ও মিসরীয় ভৌগোলিকদের বর্ণনায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানের কিছু কিছু উল্লেখ পাওয়া যায়। খ্রিস্টীয় প্রথম শতকের গ্রিক ভৌগোলিক প্লিনির লিখিত ‘পেরিপ্লাসে’ ক্রিস’ বলে যে স্থানটির বর্ণনা আছে খ্যাতনামা ঐতিহাসিক স্যার ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালীর মতে তা সন্দ্বীপে সঙ্গে অভিন্ন। ল্যাসেনের মতে, পেন্টাপোলিস চট্টগ্রামেরই ক্লাসিক্যাল নাম। আরব ভৌগোলিকদের বিবরণে ‘সমন্দর’ বলে যে বন্দরটির উল্লেখ আছে তা চট্টগ্রাম। সমন্দর বন্দরটি পালবংশীয় দিগ্বিজয়ী রাজা ধর্মপালের অধীনে ছিল। এ থেকে মনে হয়, ধর্মপালের রাজ্যের বিস্তৃতি চট্টগ্রাম পর্যন্ত ঘটেছিল। প্রাচীন হরিকেল রাজ্যের কয়েকটি শিলালিপি চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশে আবিষ্কৃত হওয়ায় পণ্ডিতরা মনে করেন, চট্টগ্রাম জেলার উত্তরাংশ প্রাচীন হরিকেল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

আয়তন ও সীমানা: বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮৩ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ৭৯,১৩,৩৬৫ জন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ২১°৫৪´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৭´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫৯ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা; পূর্বে বান্দরবন জেলা, রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা; উত্তরে ফেনী জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এছাড়া দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের অংশ।

আয়তন ও সীমানা: বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮৩ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ৭৯,১৩,৩৬৫ জন। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে ২১°৫৪´ থেকে ২২°৫৯´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°১৭´ থেকে ৯২°১৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে চট্টগ্রাম জেলার অবস্থান। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৫৯ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে কক্সবাজার জেলা; পূর্বে বান্দরবন জেলা, রাঙ্গামাটি জেলা ও খাগড়াছড়ি জেলা; উত্তরে ফেনী জেলা এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য এবং পশ্চিমে নোয়াখালী জেলা ও বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। এছাড়া দ্বীপাঞ্চল সন্দ্বীপ চট্টগ্রামের অংশ। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মধ্যে সৌন্দর্য, বৈচিত্র্য ও বিশালতায় সমৃদ্ধ। ভূ-প্রাকৃতিক রূপে যেমন এর বিচিত্রতা তেমনি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের ঐশ্বর্যমণ্ডিত বৈশিষ্ট্য। এ বিভাগের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর সহ প্রায় সকল জেলায় রয়েছে নিজ নিজ ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্য। নীচে জেলাভিত্তিক এ বিভাগের ঐতিহ্যসমূহ উল্লেখ করা হলঃ

চট্টগ্রাম জেলাঃ চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুপ্রাচীন। জানা ইতিহাসের শুরু থেকে চট্টগ্রামে আরাকানী মঘীদের প্রভাব লক্ষনীয়। ফলে গ্রামীণ সংস্কৃতিতেও এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। সে সময় এখানকার রাজারা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী হওয়ায় তার প্রভাবও যথেষ্ট। সুলতানি, আফগান এবং মোগল আমলেও আরাকানীদের সঙ্গে যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই ছিল। ফলে শেষ পর্যন্ত মঘীদের প্রভাব বিলুপ্ত হয়নি। এছাড়া চট্টগ্রামের মানুষ আতিথেয়তার জন্য দেশ বিখ্যাত।

চট্টগ্রামের বর্তমান সংস্কৃতির উন্মেষ হয় ১৭৯৩ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের পর। এর ফলে ভারতীয় উপমহাদেশে সামাজিক ধানোৎপাদন ও বন্টনে পদ্ধতিগত আমূল পরিবর্তন হয়। অন্যান্য স্থানের মতো চট্টগ্রামেও একটি নতুন মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের উদ্ভব হয়। নতুন এরই ফাঁকে ইংরেজরা প্রচলনা করে ইংরেজি শিক্ষা। মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে পাশ্চাত্যের সঙ্গে পরিচিত হতে শুরু করে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের ইতিহাস সমৃদ্ধ। শেফালী ঘোষ এবং শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণবকে বলা হয় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের সম্রাট ও সম্রাজ্ঞি। মাইজভান্ডারী গান ও কবিয়াল গান চট্টগ্রামের অন্যতম ঐতিহ্য। কবিয়াল রমেশ শীল একজন বিখ্যাত কিংবদন্তি শিল্পী। জনপ্রিয় ব্যান্ড সোলস, এল আর বি, রেঁনেসা, নগরবাউল এর জন্ম চট্টগ্রাম থেকেই। আইয়ুব বাচ্চু, কুমার বিশ্বজিৎ, রবি চৌধুরী, নাকিব খান, পার্থ বডুয়া, সন্দিপন, নাসিম আলি খান, মিলা ইসলাম চট্টগ্রামের সন্তান। নৃত্যে চট্টগ্রামের ইতিহাস মনে রখার মত। রুনু বিশ্বাস জাতীয় পর্যায়ে বিখ্যাত নৃত্যগুরু। চট্টগ্রামের বিখ্যাত সাংস্কৃতিক সংগঠন হল দৃষ্টি চট্টগ্রাম www.drishtyctg.com, বোধন আবৃত্তি পরিষদ, প্রমা, আলাউদ্দিন ললিতকলা একাডেমি, প্রাপন একাডেমি, উদিচি, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, ফু্লকি, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা, রক্তকরবী, আর্য সঙ্গীত, সঙ্গীত পরিষদ। মডেল তারকা নোবেল, মৌটুসি, শ্রাবস্তীর চট্টগ্রামে জন্ম । সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি, মুসলিম হল, থিয়েটার ইন্সটিটিউট। দেশের অন্যতম ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রামের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। তবে আমরা অনেকেই জানি না, প্রাকৃতিক এবং স্থাপত্য সৌন্দর্যের দিক দিয়েও বন্দর নগরী অনন্য। চট্টগ্রামের ৫টি স্থান নিয়ে আজকের আয়োজন। যেগুলো আপনি চট্টগ্রাম ভ্রমণে ঘুরে আসতে পারেন।

ভাটিয়ারীঃ ভাটিয়ারী, স্থানীয়দের কাছে একটি জনপ্রিয় ডে-ট্রিপ গন্তব্য। চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভাটিয়ারী লেক অসম্ভব সুন্দর একটি বিনোদনের জায়গা; শান্ত পরিবেশ এবং পুরানো ঝরণা নিঃসন্দেহে আপনার মনকে পুনরুজ্জীবিত করবে। সবুজ এবং নীল রঙের সুন্দর মিশ্রণ এই জায়গাটি পিকনিকের জন্য একদম উপযুক্ত। এখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি গলফ কোর্সও রয়েছে। এখানকার ফ্রেশ বাতাস, ঝকঝকে চারপাশ এবং সবুজ পরিবেশ আপনাকে প্রশান্তি দেবে।
সবশেষে, আপনি ভাটিয়ারী সানসেট পয়েন্টে একটি চমৎকার সূর্যাস্ত দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনার দিন শেষ করতে পারবেন।

সীতাকুণ্ড ইকো পার্কঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত ইকো পার্কটি। প্রবেশ মূল্য মাত্র ১০ টাকা, এটা অনেকটা জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়ার মতো।
পার্কের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন থিমে ও বিষয়কে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রবেশপথের ঠিক মুখে আপনি পেয়ে যাবেন পাইন গাছের সারিবদ্ধ পথ এবং একটি সুন্দর পুকুরসহ লেকফ্রন্ট। একটু হাঁটলেই আপনি বিখ্যাত সহস্রধারা এবং সুপ্তধারা জলপ্রপাত দেখতে পাবেন। অন্যান্য জায়গায় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় গাছের বাগান, বন্য ফুলের তৃণভূমি, ফলের বাগান ইত্যাদি রয়েছে। সবচেয়ে রোমাঞ্চকর হলো বন্যপ্রাণী এলাকা যেখানে আপনি হরিণ, বানর এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি যেমন দোয়েল, চড়ুই, বন্য তোতাপাখি এবং আরও অনেক কিছু দেখতে পারেন। ঢাকা থেকে দূরত্ব একটু বেশি হলেও চট্টগ্রাম থেকে যেকোনো যানবাহনে মাত্র দেড় ঘণ্টা সময় লাগে।

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতঃ পতেঙ্গা সম্পর্কে আপনি হয়তো বেশ ভালোই জানেন। তবে সাম্প্রতিক কিছু পরিবর্তন এটিকে আক্ষরিক অর্থে একটি মিনি কক্সবাজারে রূপান্তরিত করেছে। বড় বড় পুরানো শিলাগুলো যা সময়ের সঙ্গে কিছুটা বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছিল এখন সেগুলো পানিতে নামার সিঁড়ি হিসেবে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। যখন কেউ কেউ তাদের পা ডুবাতে পছন্দ করেন তখন অন্য কেউ আবার চায় ঢেউ তাদের উপর দিয়ে চলে যাক। রাস্তার ওপাশে রয়েছে অসংখ্য সারিবদ্ধ স্টল, সি-শেল জুয়েলারি, বিচ স্লিপার, আচার এবং শিশুদের জন্য খেলনা; অনেকটা কক্সবাজারের বার্মিজ মার্কেটের মতো। আপনি যদি পতেঙ্গাকে পুরোপুরি অনুভব করতে চান তবে ভোরে বা গভীর রাতে চলে যাবেন। এই ২ সময়েই ভীষণ আরামদায়ক একটা তাপমাত্রা থাকে এবং সমুদ্রের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ছোট ছোট মানুষের দল। এ ছাড়া পিয়াজু এবং ভাজা কাঁকড়া এই দুটি জিনিস অবশ্যই পতেঙ্গা দেখার সময় মিস করতে পারবেন না।

জাতীয় নৃতাত্ত্বিক জাদুঘরঃ নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর চট্টগ্রামের সবচেয়ে সাংস্কৃতিকভাবে আলোকিত আকর্ষণীয় স্থানের একটি। আগ্রাবাদের প্রাইম লোকেশনে অবস্থিত এই জায়গাটি শুধু অতীতকেই সংরক্ষণ করে না বরং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বর্তমানকেও নথিভুক্ত করে। জাদুঘরের এগারোটি গ্যালারি মুগ্ধকর পেইন্টিং, মডেল, বাসস্থান পুনর্গঠন, মানচিত্র, ফটোগ্রাফ এবং অন্যান্য বিভিন্ন জিনিসের মাধ্যমে মানুষের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে জীবন্ত করে রেখেছে।

ফয়’স লেকঃ ফয়’স লেক একটি কৃত্রিম হ্রদ যা চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় অবস্থিত এবং এটি শহরের সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা বিনোদন পার্কগুলোর মধ্যে একটি।
শিশুদের জন্য অনেক রাইড তো রয়েছেই সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্করাও একটি সুন্দর পরিবেশে পাহাড় এবং হ্রদ পেয়ে যাবেন এখানে। লেকের তীরে ভাড়া নেওয়ার জন্য সারি সারি নৌকা রয়েছে। নৌযাত্রা আপনাকে পাশের সবুজ পাহাড়, মাঝে মাঝে কয়েকটি হরিণ এবং বিভিন্ন অচেনা পাখির সাক্ষী করে রাখবে। সম্প্রতি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রোমাঞ্চকর রাইডের পাশাপাশি ‘সি ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি আলাদা ওয়াটার থিম পার্কও সংযোজন করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের স্কুল ও কলেজঃ

১. চট্টগ্রাম কলেজ
২. চট্টগ্রাম বন্দর কলেজ
৩. চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ
৪. পটিয়া সরকারি কলেজ
৫. সরকারি কমার্স কলেজ
৬. সরকারি সিটি কলেজ
৭. সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ
৮. চট্টগ্রাম আইন কলেজ
৯. আনোয়ারা সরকারি কলেজ
১০. আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান কলেজ
১১. ইসলামিয়া কলেজ
১২. উত্তর কাট্টলী আলহাজ্ব মোস্তফা হাকিম ডিগ্রী কলেজ
১৩. ওমর গণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
১৪. কুয়াইশ বুড়িশ্চর শেখ মোহাম্মদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
১৫. গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ১৬.চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ
১৭. চুনতি সরকারি মহিলা কলেজ
১৮. জরিনা মফজল সিটি কর্পোরেশন কলেজ
১৯. নাজিরহাট বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
২০. নিজামপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
২১. নোয়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
২২. পাহাড়তলী কলেজ
২৩. ফটিকছড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
২৪. বিজয় স্মরণী কলেজ
২৫. রাউজান কলেজ
২৬. রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজ
২৭. সরকারি হাজি আব্দুল বাতেন কলেজ
২৮. সাতকানিয়া সরকারি কলেজ
২৯. সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজ
৩০. স্যার আশুতোষ সরকারি কলেজ
৩১. হাজেরা তজু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
৩২. হাটহাজারী কলেজ
৩৩. উত্তর সন্দ্বীপ ডিগ্রী কলেজ
৩৪. পটিয়া আইন কলেজআবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্্যালয়
৩৫. বঙ্গবন্ধু ল কলেজ
৩৬. টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ৩৭.বাংলাদেশ মেরিন ফিশারীজ একাডেমী
৩৮. অগ্রসার বালিকা মহাবিদ্যালয়
৩৯. আগ্রাবাদ মহিলা কলেজ
৪০. আমানতছফা বদরুন্নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজ
৪১. আল হেলাল আদর্শ ডিগ্রী কলেজ
৪২. আলাওল ডিগ্রী কলেজ
৪৩. আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ
৪৪. ইমাম গাজ্জালী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
৪৫. ইছাপুর বাদশা মিয়া চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ
৪৬. উত্তর রাঙ্গুনিয়া ডিগ্রী কলেজ
৪৭. উত্তর সাতকানিয়া জাফর আহমেদ চৌধুরী কলেজ
৪৮. মহিলা কলেজ
৪৯. এম শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ
৫০. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম কলেজ
৫১. কাটিরহাট মহিলা কলেজ
৫২. কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজ
৫৩. কুণ্ডেশ্বরী বালিকা মহাবিদ্্যালয়
৫৪. খন্দকিয়া চিকনদণ্ডী শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রী কলেজ
৫৫. খলিল মীর ডিগ্রী কলেজ
৫৬. খলিলুর রহমান মহিলা কলেজ
৫৭. গহিরা ডিগ্রী কলেজ
৫৮. ডাঃ ফজলুল হাজেরা ডিগ্রী কলেজ
৫৯. দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া পদুয়া ডিগ্রী কলেজ
৬০. নানুপুর লায়লা কবির ডিগ্রি কলেজ
৬১. নারায়ণহাট আদর্শ ডিগ্রী কলেজ
৬২. পশ্চিম পটিয়া এ জে চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ
৬৩. পশ্চিম বাঁশখালী উপকূলীয় ডিগ্রী কলেজবা
৬৪. ফতেয়াবাদ সিটি কর্পোরেশন ডিগ্রি কলেজ
৬৫. বরমা ডিগ্রী কলেজ
৬৬. বার আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ
৬৭. বারৈয়ারহাট কলেজ
৬৮. বাঁশখালী ডিগ্রী কলেজ
৬৯. বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম ডিগ্রী কলেজ
৭০. বোয়ালখালী হাজী মোহাম্মদ নুরুল হক ডিগ্রী কলেজ
৭১. ব্যারিস্টার সুলতান আহমেদ চৌধুরী কলেজ
৭২. মুজাফফরাবাদ যশোদা নন্দ্র নন্দী মহিলা ডিগ্রী কলেজ
৭৩. মুস্তাফিজুর রহমান ডিগ্রী কলেজ
৭৪. রাঙ্গুনিয়া হাসিনা জামাল ডিগ্রী কলেজ
৭৫. রাজানগর রাণীরহাট ডিগ্রী কলেজ
৭৬. লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রী কলেজ
৭৭. শাহ মোহছেন আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ
৭৮. সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা কলেজ
৭৯. সাতবাড়িয়া অলি আহমেদ বীর বিক্রম কলেজ
৮০. সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ
৮১. হুলাইন ছালেহ নুর ডিগ্রী কলেজ
৮২. হেয়াকো বনানী ডিগ্রী কলেজ
৮৩. আইয়ুব ফাউন্ডেশন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ
৮৪. চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
৮৫. আকবরিয়া স্কুল এন্ড কলেজ
৮৬. আছিয়া মোতালেব রিজিয়া নাছরিন স্কুল এন্ড কলেজ
৮৭. আবুল কাশেম হায়দার মহিলা কলেজ
৮৮. আলহাজ্ব এয়াকুব আলী বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ
৮৯. আশালতা কলেজ
৯০. আয়ুব বিবি সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজ
১০৪. চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা স্কুল এন্ড কলেজ
১০৫. চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ
১০৬. চট্টগ্রাম কসমোপলিটন কলেজ
১০৭. চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ
১০৮. চট্টগ্রাম বন্দর মহিলা কলেজ
১০৯. চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজ
১১০. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ
৯১. ইউনিয়ন কৃষি স্কুল এন্ড কলেজ
৯২. ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
৯৩. ওয়েস্টার্ন ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ
৯৪. কধুরখীল জলিল আম্বিয়া কলেজ
৯৫. কর্ণফুলি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ
৯৬. কলেজ অব সায়েন্স, বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান কলেজ
৯৭. কাজেম আলী স্কুল এন্ড কলেজ
৯৮. কাট্টলী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
৯৯. কাফকো স্কুল এন্ড কলেজ
১০০. কুমিরা আবাসিক বালিকা স্কুল এন্ড কলেজ
১০১. কুলগাঁও সিটি কর্পোরেশন স্কুল এন্ড কলেজ
১০২. গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ
১০৩. গুলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ

আজ এই পর্যন্তই। চট্টগ্রামের রয়েছে আরও নানান ইতিহাস, সেসব নিয়ে আলোচনা হবে পরবর্তী কোন পর্বে।