১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীরব ঘাতক নীরব!

নীরব খান ওরফে রবিন বয়স ৩৮। স্ত্রী হাবিবা এবং তিন মেয়ে নিয়ে ভ্লগ করে।
পাশাপাশি কিশোরীদের ভ্লগের নামে ফাঁসানো এবং ব্ল্যাকমেইল করাই তার পেশা।

এসব বিষয়ে তার স্ত্রী তাকে সহযোগিতা করে। নানা পরিচয়ে কখনো দেবর- ভাবি কিংবা কখনো ভাই-বোন সেজে মানুষের সাথে প্রতারণা করে।

মেয়ের বয়সী কিশোরীদের কে এরা টার্গেট করে। ভ্লগ এবং টিকটিক করে অপ্রাপ্ত মেয়েদের কে নানা কৌশলে ফাসিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে। ঈদের তৃতীয় দিন জিঞ্জিরা থেকে ১৩ বছরের এক মেয়েকে এভাবে ফাঁদে ফেলে বেড়াতে নিয়ে যায়।

রাতে বাসায় না ফিরলে মেয়ের বাবা স্থানীয় লোকজন হাবিবার বাসায় খোঁজ করতে গেলে সে উল্টো ডাকাতি মামলায় ফাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে আশ্বস্ত করে হাবিবা পালাবে না। কিন্তু বিকেলেই হাবিবা তিন কন্যা সহ বাবার বাড়ি মেঘনা উপজেলায় পালিয়ে যায়। নীরব ওরফে রবিন এর মধ্যেই কয়েকবার মেয়েটির বাবার ফোনে কল দেয় এবং মেয়েটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করা হলে, র্স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ৫দিন পর মেয়েটি রাত ১২ টার দিকে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঢাকা থেকে মেয়েটি উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য যে, হাবিবার বাড়ি মেঘনা উপজেলায়। সেখানে উদ্ধার অভিযানের সময় স্থানীয় মেম্বার জানান, লোকটা এর আগে তার নিজ শ্যালিকাকেও এভাবে ফাঁদে ফেলেছিলো।কিন্তু পারিবারিক সম্মানহানির জন্য বিষয় টি গোপনীয় ভাবেই সমাধান করেছেন তারা।

অপহরণের ৪ দিন পর রাত ১২ টা নাগাদ প্রশাসনের অভিযান টের পেয়ে মেয়েটিকে ভিক্টোরিয়া পার্কে রেখে সরে পড়ে নীরব। এই অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরী উদ্ধার কাজে আমি সহায়তা করেছিলাম। নীরব এবং হাবিবা এখনো বিভিন্ন নং এবং অ্যাপস দিয়ে কল দিয়ে আমাকে এবং তার বাবাকে ভয় এবং হুমকি দিচ্ছে। এই বিষয়ে র‍্যাবের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

র‍্যাব ধারণা করছে এরা একটি শিশু ও নারী পাচারকারী দলের সদস্য। কোমলপ্রাণ শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরীরাই এদের টার্গেট। টিকটিক,রিল, ভ্লগ- এসবের আড়ালে এরা আশেপাশের মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়। পরবর্তীতে এদেরকে নানা অসামাজিক অপকর্মতে লিপ্ত করে এবং ব্ল্যাকমেইল করে।

Tag :

নীরব ঘাতক নীরব!

প্রকাশিত ১০:১৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

নীরব খান ওরফে রবিন বয়স ৩৮। স্ত্রী হাবিবা এবং তিন মেয়ে নিয়ে ভ্লগ করে।
পাশাপাশি কিশোরীদের ভ্লগের নামে ফাঁসানো এবং ব্ল্যাকমেইল করাই তার পেশা।

এসব বিষয়ে তার স্ত্রী তাকে সহযোগিতা করে। নানা পরিচয়ে কখনো দেবর- ভাবি কিংবা কখনো ভাই-বোন সেজে মানুষের সাথে প্রতারণা করে।

মেয়ের বয়সী কিশোরীদের কে এরা টার্গেট করে। ভ্লগ এবং টিকটিক করে অপ্রাপ্ত মেয়েদের কে নানা কৌশলে ফাসিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে। ঈদের তৃতীয় দিন জিঞ্জিরা থেকে ১৩ বছরের এক মেয়েকে এভাবে ফাঁদে ফেলে বেড়াতে নিয়ে যায়।

রাতে বাসায় না ফিরলে মেয়ের বাবা স্থানীয় লোকজন হাবিবার বাসায় খোঁজ করতে গেলে সে উল্টো ডাকাতি মামলায় ফাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে আশ্বস্ত করে হাবিবা পালাবে না। কিন্তু বিকেলেই হাবিবা তিন কন্যা সহ বাবার বাড়ি মেঘনা উপজেলায় পালিয়ে যায়। নীরব ওরফে রবিন এর মধ্যেই কয়েকবার মেয়েটির বাবার ফোনে কল দেয় এবং মেয়েটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ করা হলে, র্স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ৫দিন পর মেয়েটি রাত ১২ টার দিকে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঢাকা থেকে মেয়েটি উদ্ধার হয়। উল্লেখ্য যে, হাবিবার বাড়ি মেঘনা উপজেলায়। সেখানে উদ্ধার অভিযানের সময় স্থানীয় মেম্বার জানান, লোকটা এর আগে তার নিজ শ্যালিকাকেও এভাবে ফাঁদে ফেলেছিলো।কিন্তু পারিবারিক সম্মানহানির জন্য বিষয় টি গোপনীয় ভাবেই সমাধান করেছেন তারা।

অপহরণের ৪ দিন পর রাত ১২ টা নাগাদ প্রশাসনের অভিযান টের পেয়ে মেয়েটিকে ভিক্টোরিয়া পার্কে রেখে সরে পড়ে নীরব। এই অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরী উদ্ধার কাজে আমি সহায়তা করেছিলাম। নীরব এবং হাবিবা এখনো বিভিন্ন নং এবং অ্যাপস দিয়ে কল দিয়ে আমাকে এবং তার বাবাকে ভয় এবং হুমকি দিচ্ছে। এই বিষয়ে র‍্যাবের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

র‍্যাব ধারণা করছে এরা একটি শিশু ও নারী পাচারকারী দলের সদস্য। কোমলপ্রাণ শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরীরাই এদের টার্গেট। টিকটিক,রিল, ভ্লগ- এসবের আড়ালে এরা আশেপাশের মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়। পরবর্তীতে এদেরকে নানা অসামাজিক অপকর্মতে লিপ্ত করে এবং ব্ল্যাকমেইল করে।