০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবহেলা-ষড়যন্ত্রের শিকার দুইশত বছরের শিব মন্দির

সাইফুর মিনা, খুলনা বিভাগীয় বুরো প্রধান: খুলনা জেলার পাইকগাছা থানাস্থ কপিলমুনি ইউনিয়ননের হাউলী গ্রামে বড় পুকুর পাড়ে অবস্থিত কালের সাক্ষী শিব মন্দিরটি।

এলাকার লোক কাহিনী ও বিভিন্ন ধরনের রূপকথার গল্পের মত ছোট বড় অনেক বিচিত্র ঘটনা জড়িয়ে আছে এই মন্দিরের সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকায়। এখানে মানত করে অনেক নিসন্তান দম্পতির কোল জুড়ে এসেছে সন্তানের চাঁদ মুখের হাসি।প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে এই মন্দিরে স্হাপন করা হয়।

আজও টানা একমাস ব্রত পালন করে মাছ মাংস বর্জন করে নিরামিষ খেয়ে সকল গ্রামবাসি শিবের আরাধনা করে। বৈশাখ মাসের শেষের দিকে সেজেগুজে সন্যাসীরা পার্শ্ববর্তী গ্রামে ঘুরে পালাগান করে বেড়ায়। অবশেষে সন্যাসীরা গ্রামে ফিরে বৈশাখ মাসের শেষদিন হাজার লোকের সমাগম ঘটিয়ে মেলা মাধ্যমে এই শিব ঠাকুরের পূজার সমাপ্তি ঘটে। এলাকাবাসি অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক বাবু নিমাই মন্ডলের কাছ থেকে আরও জানাযায় মুল পুজা তিনদিন হয়েথাকে। হাজরাভাটা, পাটস্নান ও ফুল কাড়ানো।

তবে এত কিছুর পরে এলাকা বাসির অভিযোগ একটি কুচক্রি মহল মন্দিরটিকে কেন্দ্র করে টাকা ইনকামের পথ করে নিয়েছে। যে টাকা গুলি প্রধানত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে মন্দিরের অনুদান সরূপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু তার কোন সঠিক হিসাব আজও গ্রাম বাসি বুঝে পায়নি। মন্দিরের নতুন স্থাপনার কাজ শুরু হয় ১২/০২/ ২০১৭ সালে।

সেখানে কাজ শেষে সঠিক হিসাব দিতে ব্যার্থ হয় তখনকার সময়ের নির্মাণ কমিটির মূল হোতা ধর্ম দাস শীল ওতার সহযোগিরা। এলাকা বাসি আরও জানায় মন্দিরের বড় অংকের টাকা ধর্ম দাস শীল আত্মসাৎ করে বাড়িতে জমি কেনা ও পাকা স্হাপনা করেছে।ধর্ম দাস শীলের বাবা একসময় চুলদাড়ি কেটে বেড়াত। তার ছেলে কিভাবে এত অল্পসময়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হল।

এলাকা বাসি বিষয়টি নিয়ে শোরগোল করলেও মুখ খুলতে সাহস পায়না ধর্ম দাসের লাঠিয়াল বাহিনির ভয়ে।ধর্ম দাসের নির্দেশে দূর্গা মন্দিরের নামে টি,আর,কাবিখা থেকে বাজেটের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য তখনকার সময়ের কমিটি বাদ দিয়ে নিজারাই গোপন কমিটি করে জমা দিয়ে টাকা উঠিয়ে নেয়। সেই টাকা আজ দেওয়ারিশ। গ্রামবাসী আজও সেই টাকার হদিস পায়নি।

গ্রামবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে যাতে মন্দিরের টাকা আত্মসাৎ কারি চতুর লাঠিয়াল বাহিনির প্রধান ধর্ম দাস শীল ও তার সহযোগীদের হাত থেকে হাউলি শিব মন্দির ও দূর্গা মন্দিরটি রক্ষা পায়।

Tag :

অবহেলা-ষড়যন্ত্রের শিকার দুইশত বছরের শিব মন্দির

প্রকাশিত ১০:১৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

সাইফুর মিনা, খুলনা বিভাগীয় বুরো প্রধান: খুলনা জেলার পাইকগাছা থানাস্থ কপিলমুনি ইউনিয়ননের হাউলী গ্রামে বড় পুকুর পাড়ে অবস্থিত কালের সাক্ষী শিব মন্দিরটি।

এলাকার লোক কাহিনী ও বিভিন্ন ধরনের রূপকথার গল্পের মত ছোট বড় অনেক বিচিত্র ঘটনা জড়িয়ে আছে এই মন্দিরের সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকায়। এখানে মানত করে অনেক নিসন্তান দম্পতির কোল জুড়ে এসেছে সন্তানের চাঁদ মুখের হাসি।প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে এই মন্দিরে স্হাপন করা হয়।

আজও টানা একমাস ব্রত পালন করে মাছ মাংস বর্জন করে নিরামিষ খেয়ে সকল গ্রামবাসি শিবের আরাধনা করে। বৈশাখ মাসের শেষের দিকে সেজেগুজে সন্যাসীরা পার্শ্ববর্তী গ্রামে ঘুরে পালাগান করে বেড়ায়। অবশেষে সন্যাসীরা গ্রামে ফিরে বৈশাখ মাসের শেষদিন হাজার লোকের সমাগম ঘটিয়ে মেলা মাধ্যমে এই শিব ঠাকুরের পূজার সমাপ্তি ঘটে। এলাকাবাসি অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক বাবু নিমাই মন্ডলের কাছ থেকে আরও জানাযায় মুল পুজা তিনদিন হয়েথাকে। হাজরাভাটা, পাটস্নান ও ফুল কাড়ানো।

তবে এত কিছুর পরে এলাকা বাসির অভিযোগ একটি কুচক্রি মহল মন্দিরটিকে কেন্দ্র করে টাকা ইনকামের পথ করে নিয়েছে। যে টাকা গুলি প্রধানত ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে মন্দিরের অনুদান সরূপ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু তার কোন সঠিক হিসাব আজও গ্রাম বাসি বুঝে পায়নি। মন্দিরের নতুন স্থাপনার কাজ শুরু হয় ১২/০২/ ২০১৭ সালে।

সেখানে কাজ শেষে সঠিক হিসাব দিতে ব্যার্থ হয় তখনকার সময়ের নির্মাণ কমিটির মূল হোতা ধর্ম দাস শীল ওতার সহযোগিরা। এলাকা বাসি আরও জানায় মন্দিরের বড় অংকের টাকা ধর্ম দাস শীল আত্মসাৎ করে বাড়িতে জমি কেনা ও পাকা স্হাপনা করেছে।ধর্ম দাস শীলের বাবা একসময় চুলদাড়ি কেটে বেড়াত। তার ছেলে কিভাবে এত অল্পসময়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হল।

এলাকা বাসি বিষয়টি নিয়ে শোরগোল করলেও মুখ খুলতে সাহস পায়না ধর্ম দাসের লাঠিয়াল বাহিনির ভয়ে।ধর্ম দাসের নির্দেশে দূর্গা মন্দিরের নামে টি,আর,কাবিখা থেকে বাজেটের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য তখনকার সময়ের কমিটি বাদ দিয়ে নিজারাই গোপন কমিটি করে জমা দিয়ে টাকা উঠিয়ে নেয়। সেই টাকা আজ দেওয়ারিশ। গ্রামবাসী আজও সেই টাকার হদিস পায়নি।

গ্রামবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে যাতে মন্দিরের টাকা আত্মসাৎ কারি চতুর লাঠিয়াল বাহিনির প্রধান ধর্ম দাস শীল ও তার সহযোগীদের হাত থেকে হাউলি শিব মন্দির ও দূর্গা মন্দিরটি রক্ষা পায়।