০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩ মাসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ১৩০টি মা কাছিমের মরদেহ উদ্ধার

  • প্রকাশিত ০৬:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফসহ সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে গত ৩ মাসে ১৩০টি মা কাছিমের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম জানিয়েছেন, মৃত কাছিম উদ্ধারের পর সেগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।

সামুদ্রিক কাছিম মারা যাওয়ার কারন জানিয়ে তিনি বলেন, জেলেদের জালে আটকের পর তারা ছুরি বা ধারালো বস্তু দিয়ে কাছিমের হাত পা কেটে দেওয়ার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কাছিম মারা যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন দূরপাল্লার জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় কাছিমের মৃত্যুর আর একটি কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বর্তমানে সৈকতে কুকুরের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। কাছিম ডিম পাড়তে আসার সময় কুকুরের উৎপাতের শিকার হওয়া নিয়মিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে কাছিমের সাতরানোর ফলে ক্লান্তিও এর মৃত্যুর আরেকটি কারণ।

মৎসজীবী ও সাধারণ মানুষের মাঝে কাছিম রক্ষায় সচেতনতার অভাব, যত্রতত্র পর্যটন, মোটরবাইক ও প্যারাসিলিং, অতিরিক্ত আলোক সজ্জা, ব্রিজ, কালভার্ট, হাইরেইজ বিল্ডিং নির্মাণ তাদের প্রজননে বেশ সমস্যার সৃষ্টি করছে।

নেকমের এক গবেষণায় উঠে এসেছে ,কক্সবাজারে গত এক দশকে কাছিমের ডিমপাড়ার স্থান ৫২ থেকে ৩৪ এ নেমে এসেছে। তাই এখনই দরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সমন্বিত সৈকত ব্যবস্থাপনাসহ সরকারি পরিকল্পনা।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

বিআইডব্লিউটিতে লীগ সরকারের নিয়োগ প্রাপ্ত পরিচালক অর্থ মুহাম্মদ হাসেমুর রহমান চৌধুরী বেপরোয়া কমিশন বানিজ্যর কারণে অতিষ্ঠ কর্মকর্তারা

৩ মাসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ১৩০টি মা কাছিমের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত ০৬:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফসহ সমুদ্র সৈকত এলাকা থেকে গত ৩ মাসে ১৩০টি মা কাছিমের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন ম্যানেজার আব্দুল কাইয়ুম জানিয়েছেন, মৃত কাছিম উদ্ধারের পর সেগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।

সামুদ্রিক কাছিম মারা যাওয়ার কারন জানিয়ে তিনি বলেন, জেলেদের জালে আটকের পর তারা ছুরি বা ধারালো বস্তু দিয়ে কাছিমের হাত পা কেটে দেওয়ার ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কাছিম মারা যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন দূরপাল্লার জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় কাছিমের মৃত্যুর আর একটি কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বর্তমানে সৈকতে কুকুরের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। কাছিম ডিম পাড়তে আসার সময় কুকুরের উৎপাতের শিকার হওয়া নিয়মিত বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে কাছিমের সাতরানোর ফলে ক্লান্তিও এর মৃত্যুর আরেকটি কারণ।

মৎসজীবী ও সাধারণ মানুষের মাঝে কাছিম রক্ষায় সচেতনতার অভাব, যত্রতত্র পর্যটন, মোটরবাইক ও প্যারাসিলিং, অতিরিক্ত আলোক সজ্জা, ব্রিজ, কালভার্ট, হাইরেইজ বিল্ডিং নির্মাণ তাদের প্রজননে বেশ সমস্যার সৃষ্টি করছে।

নেকমের এক গবেষণায় উঠে এসেছে ,কক্সবাজারে গত এক দশকে কাছিমের ডিমপাড়ার স্থান ৫২ থেকে ৩৪ এ নেমে এসেছে। তাই এখনই দরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও সমন্বিত সৈকত ব্যবস্থাপনাসহ সরকারি পরিকল্পনা।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর