বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে যেসব নদী দুই বা ততোধিক দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় সে সব নদীগুলোকে আন্তর্জাতিক নদী বলা হয়। ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘ জল প্রবাহ কনভেনশন অনুযায়ী প্রণীত আইনে আন্তর্জাতিক নদীকে এমনভাবে ব্যবহার করা যাবে না, যাতে অন্য দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রত্যেক রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন শ্রদ্ধার সাথে মেনে চলতে দায়বদ্ধ। কিন্তু ভারত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গতকাল ২০ আগষ্ট বাংলাদেশের ফেনী জেলা সহ আজ ২১ আগষ্ট তিস্তার বাঁধ খুলে দেওয়ায় ফেনী, বান্দরবন, চট্টগ্রাম, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা ইতিমধ্যে পানির নিচে তলিয়ে দিয়েছে। কোন সতর্কবার্তা ছাড়া সুইসগেট খুলে দেওয়ায় অসংখ্য মানুষ পানিবন্দী হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুবরণের ঘটনা ঘটেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহীন, পশু পাখির মৃত্যুবরণ হওয়ার পাশাপাশি ফসলে জমি তলিয়ে গেছে। যার মাধ্যমে ভারত সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে গণহত্যা চালাতে চেয়েছে বলে দাবি করেন পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার। আজ ২১ আগষ্ট বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে মেট্রো লাউন্স রেস্টুরেন্টে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করতে প্রস্তুতি সভায় তিনি এ বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি আরো বলেন, ভারত সরকারের নীতি-নির্ধারকরা প্রকৃতি, জীবন ও সভ্যতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ সীমালংঘন করে এই অপকর্মটি করেছে ভারত সরকার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সীমান্তে হত্যাসহ মাদক চোরাচালানে প্রত্যক্ষভাবে ইন্দোন রয়েছে ভারত সরকারের। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে প্রত্যেকটি দেশ প্রেমিক নাগরিককে এই বিষয়ে যার যার জায়গা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে ভারত সরকার এ পর্যন্ত তালবাহানা করে আসছে।
মিটিং এ সবুজ আন্দোলনের পরিচালক অভিনেতা উদয় খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন সিকদার পাভেল, প্রত্যাশার বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরছালীন ইসলাম বাবু, অর্থ সম্পাদক আলমগীর হোসেন পলাশ, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক সাহিন আরা সুলতানা।
বক্তারা বলেন, সমাজের সকল বিত্তবান ব্যক্তিকে পানিবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোন সতর্কবার্তা ছাড়া বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। পাশাপাশি বাংলাদেশের অধিকাংশ নদী দখল ও দূষণের জর্জরিত হওয়ায় লোকালে পানি বেশি ঢুকে পড়েছে। অনতিবিলম্বে সকল নদী দখলমুক্ত করে খননের ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক অভিনেতা মির্জা আনোয়ার পারভেজ, প্রত্যাশার বাংলাদেশের সহ-সভাপতি সুরুজ ইসলাম,বিশিষ্ট কবি আসাদুল ইসলাম,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি আকাশ মনি, নারী পরিষদের সহ- আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ফেরদৌসী আক্তার, ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সায়েম প্রমূখ।
বার্তা প্রেরক
সোহেল রানা
দপ্তর সম্পাদক
সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ।












