গাইবান্ধা শহরের ভিএইড রোডের মমিনপাড়ায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা নয়, বায়োটারা মামলার চূড়ান্ত ডিক্রি বলে জরিনা বেগম ২৪ শতক জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে ভোগদখল করছেন। অথচ তাদের প্রতিপক্ষ শফিকুল ইসলাম সুজন আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বাড়ি নির্মাণ কাজের ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করে গত ১৯মে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মমিনপাড়ার বাসিন্দা মো. মাহামুদ আলম লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, শফিকুল ইসলাম ওরফে সুজন যে সংবাদ সম্মেলনে আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বাড়ি নির্মাণ কাজের যে অভিযোগ করেছেন তা বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক। প্রকৃত পড়্গে তিনি ও তাদের প্রতিপক্ষ উভয়ই মৃত রফিক মিয়ার ওয়ারিশ। তার পিতা রফিক মিয়া ও বড় মা মৃত রসুলুন নেছা এই দুই নামে তিন দাগে মোট ৭৮ শতক জমি রেখে যান। সেই সম্পত্তিতে তারা ওয়ারিশ সূত্রে গাইবান্ধা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে ৭৩/৮৯ নং অন্য বায়োটারা মামলায় চূড়ান্ত ডিক্রি বলে তার মা জরিনা বেগম ২৪ শতক জমি প্রাপ্ত হয়ে বাড়ি নির্মাণ করে ভোগ দখল করছেন।
তিনি আরও জানান, মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে সুজনের পিতা তার বড় মায়ের মেঝ সন্তান মো. মকছুদ আলম ১৯৮৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ও ১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর দুটি দলিল মুলে বাবার মিলস্ চাতালসহ বসতবাড়ির ২০ শতাংশ জমি রহমত মিয়ার কাছে কবলা হস্তান্তর করে দখল বুঝে দেয় এবং মিলস্ চাতাল ও বসতভিটা ত্যাগ করে বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। মকছুদ আলম মিলস্, চাতাল, বাড়ি, বিক্রি করে চলে গেলেও মিলস্ ও বাড়ির বিদ্যুৎ বিল ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করেনি। বিদ্যুৎ বিল ও ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করার জন্য সরকার ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে বাধ্য হয়ে বসতভিটার আরও একটি বাড়ি সম্পূর্ণ অংশ বিক্রি করতে হয়। বর্তমানে সেই বাড়িটি যার দাগ ৫৫৭১, জমি ৬ শতাংশ মধ্যে তাদের অংশে পৌনে ৪ শতাংশ জমি তার ভাতিজা আলমগীর কবলা মূলে মালিক হন। তিনি অভিযোগ করেন বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীর প্রভাবে জায়গা দখল করে রয়েছে যা মিথ্যা ও বানোয়াট। আবুল কালামের কাছে ৬ শতক ও আনিছুর রহমান মানিক ও টমোর নিকট সারে চার শতক জমি বিক্রয় করেন শফিকুল। তার ভাই রাজীব সাবালক হওয়ার পর আবুল হোসেনের কাছে সাড়ে চার শতক জমি বিক্রি করে নিঃস্বত্ত্ববান হন। সংবাদ সম্মেলন থেকে ১৯ মে অনুষ্ঠিত শফিকুল ইসলামের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সম্বলিত সংবাদ সম্মেলনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আলম, জরিনা খাতুন, মেরিনা বেগম, খালেদা খাতুন, জায়েদ হোসেন, জুনাইদ মিয়া ও তামিম মিয়া প্রমুখ।
০১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
গাইবান্ধা প্রতিনিধি, মাহমুদুল হাবিব রিপন :
সংবাদ সম্মেলনে জরিনা বেগমের পরিবারের দাবি আদালতের আদেশ উপেক্ষা নয়, চূড়ান্ত রায়েই সম্পত্তি ভোগ করছেন ওয়ারিশরা
Tag :
জনপ্রিয়