স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ঘর বাড়ি দোকান পাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। বৃষ্টি ও প্রবল বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশকিছু ঘরবাড়ি। অপরদিকে ভুট্টা ও সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে পাটগ্রাম পৌর শহরের কলেজ মোড় এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে দোকানপাট ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়ে।
ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়ি ও দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের কবলে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপরে পড়ায় পাটগ্রাম উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শাক সবজির ক্ষেত ও ভুট্টা ক্ষেতের গাছ উপরে পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পাটগ্রাম পৌর এলাকার কলেজ মোড়ের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আকাব্বর আলী বলেন, আজ সকালে হঠাৎ ঝড়ে আমার ঘর উল্টে যায়। কোনো রকম পরিবারের লোকজন নিয়ে জানে বেঁচে গেছি। আমি একজন দিনমজুর ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় হতাশায় পড়ছি।
পাটগ্রাম কলেজ মোড় এলাকার সাদ্দাম, রাসেল, রবিউল বলেন, ঝড়ের কবলে আমাদের প্রায় ১২ থেকে ১৩টি দোকানের টিন ও বেড়া উড়ে গেছে। আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
পাটগ্রাম উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো প্রদর্শন করেছি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নেওয়া হচ্ছে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হবে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইখুল আরিফিন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ভুট্টা ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। কী পরিমাণে ক্ষতি হয়েছে তা জানতে উপজেলা কৃষি অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর