লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) করা অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন স্বয়ং ইউএনও। তিনি বলেন, “অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে কিছু মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে”।
সম্প্রতি লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের পূর্বচাদী, আমতলী পাড়া, ডিগ্রীখোলা, ধূইল্যাপাড়া, কম্পনিয়া এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি ইউএনও’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে স্পট নিলামের নামে সরকারকে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত করেছেন এবং নিয়মনীতি মানেননি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে লামা ইউএনও মঈন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি লামায় যোগদানের পর থেকে সৎ ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে আসছি। আজিজনগর ইউনিয়নের একদম ভিতরের দুর্গম এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে বালু জব্দ করেছি এবং নিয়ম মেনে প্রকাশ্যে নিলাম দিয়েছি। লামা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায়ও অবৈধ বালুর পয়েন্টগুলো জব্দ করে উন্মুক্ত নিলাম করেছি। আমার জানা মতে, সরকার কোনোভাবে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়নি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “কিছু ব্যক্তি আমাকে অফিস কক্ষে নিলাম করতে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু আমি তাদের কথা না শুনে জনসম্মুখে নিলাম করেছি। এটি কি আমার অপরাধ?”
ইউএনও মঈন উদ্দিন দৃঢ়ভাবে বলেন, সমস্ত প্রক্রিয়া নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়েছে এবং কোনো অনৈতিক সুবিধার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি। তাই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা বলেই দাবি করেছেন তিনি।