১২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের কারণে পাষন্ড স্বামী ফাহাদের নির্মম নির্যাতনের কারণে স্কুলছাত্রী নাছরিন আক্তার এখন বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে

  • প্রকাশিত ০৪:০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • ৯৪ বার দেখা হয়েছে

এ আর সাইফুল ইসলাম, রামগঞ্জ(লক্ষিপুর) থেকে : যৌতুকের কারণে পাষন্ড স্বামী ফাহাদের নির্মম নির্যাতনের কারণে
স্কুলছাত্রী নাছরিন আক্তার এখন বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। জানা গেছে, জয়া-সুমাইয়ার ফাঁদ, শাশুড়ি-ননদদের হাতিয়াড়, মামা বিল্লালের হুমকি আর পুলিশের নিরবতা—সবমিলিয়ে এক স্কুলছাত্রীর বেঁচে থাকার লড়াই!একজন স্কুলছাত্রী, যার স্বপ্ন ছিল বই আর পরীক্ষার খাতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার—সেই নাছরিন আক্তারের জীবন এখন হয়ে উঠেছে এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন। প্রেমের ফাঁদে পড়ে, ভালোবাসা আর নিরাপত্তার আশ্বাসে বিয়ে করে এক ‘পাগল স্বামীর’ ঘরে পা রাখে সে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির দরজার ওপারেই লুকিয়ে ছিল এক ভয়ংকর পরিকল্পনা। যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় তাকে করা হয় অমানবিক নির্যাতন, গালিগালাজ, শ্বাসরোধ ও মানসিক চাপের নিশংস শিকার। এই ঘটনায় শুধু মো. ফাহাদ হোসেন নয়, তার পরিবার—মা ফেরদাউস, নানী, বড় ননদ পিংকি, ছোট ননদ, মামা বিল্লাল ও কবির মাষ্টার এবং তার স্ত্রী—এরা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

সর্বশেষ, এই পরিবার শুধু একটি মেয়ের সম্মান কেড়ে নেয়নি, তারা যেন একটি জাতির বিবেকেও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে—“এই সমাজ কি শুধুই পুরুষতন্ত্রের কারাগার, যেখানে মেয়েদের স্বপ্ন, অধিকার ও জীবনের কোনো মূল্য নেই?” চিহ্নিত অভিযুক্তদের তালিকা (প্রথম সারির হাইলাইট): মো. ফাহাদ হোসেন (স্বামী): মূল অভিযুক্ত; প্রেমের নামে প্রতারণা ও যৌতুক না পেয়ে জীবন-নাশক নির্যাতন। ফেরদাউস (শাশুড়ি): নির্যাতনের পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা। নানী শাশুড়ি: মানসিক নির্যাতন ও অপমানের সহায়তা।পিংকি (বড় ননদ): একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনে নেতৃত্ব; উস্কানি ও অপমানের মুখ।ছোট ননদ: ঘটনার নীরব প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে নির্যাতনকে স্বাভাবিক করার ভূমিকা। বিল্লাল (মামা): ফোনে গালিগালাজ, মানহানিকর মন্তব্য ও ভয়ভীতির কৌশল। কবির মাষ্টার ও স্ত্রী: পরিবারকে নির্যাতনে প্ররোচনা ও সামাজিক হেয়তার মাধ্যমে প্রতিবাদ না জানিয়ে উল্টো আমাকে ডাকিনী আমি কিছু বলতে পারিনা। প্রতিদিনের বিষয় ওনি পাশাপাশি বোঝা যায়। তবে ওনি কেন এগিয়ে আসেনি। ওনি শিক্ষক ওনার স্ত্রী শিক্ষিকা। অথচ আমার জীবন তার সামনেই শেষ তার প্রতিবাদ এর অভাবে। এরা কেমন শিক্ষা করেছে আমি নাছরিন আক্তার জানতে চাই। আইনের আওতায় সকল অপরাধী’র শাস্তির দাবি। যার সি, আর, মামলা নং ২৫৬/২০২৪, মোকাম : মূখ্য মহনগর হাকিম সাহেবের আদালত, ঢাকা।

Tag :
জনপ্রিয়

সাধারণ নির্বাচন ৪ নভেম্বর নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনে আগাম ভোট শুরু

যৌতুকের কারণে পাষন্ড স্বামী ফাহাদের নির্মম নির্যাতনের কারণে স্কুলছাত্রী নাছরিন আক্তার এখন বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে

প্রকাশিত ০৪:০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

এ আর সাইফুল ইসলাম, রামগঞ্জ(লক্ষিপুর) থেকে : যৌতুকের কারণে পাষন্ড স্বামী ফাহাদের নির্মম নির্যাতনের কারণে
স্কুলছাত্রী নাছরিন আক্তার এখন বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। জানা গেছে, জয়া-সুমাইয়ার ফাঁদ, শাশুড়ি-ননদদের হাতিয়াড়, মামা বিল্লালের হুমকি আর পুলিশের নিরবতা—সবমিলিয়ে এক স্কুলছাত্রীর বেঁচে থাকার লড়াই!একজন স্কুলছাত্রী, যার স্বপ্ন ছিল বই আর পরীক্ষার খাতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার—সেই নাছরিন আক্তারের জীবন এখন হয়ে উঠেছে এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন। প্রেমের ফাঁদে পড়ে, ভালোবাসা আর নিরাপত্তার আশ্বাসে বিয়ে করে এক ‘পাগল স্বামীর’ ঘরে পা রাখে সে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির দরজার ওপারেই লুকিয়ে ছিল এক ভয়ংকর পরিকল্পনা। যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় তাকে করা হয় অমানবিক নির্যাতন, গালিগালাজ, শ্বাসরোধ ও মানসিক চাপের নিশংস শিকার। এই ঘটনায় শুধু মো. ফাহাদ হোসেন নয়, তার পরিবার—মা ফেরদাউস, নানী, বড় ননদ পিংকি, ছোট ননদ, মামা বিল্লাল ও কবির মাষ্টার এবং তার স্ত্রী—এরা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

সর্বশেষ, এই পরিবার শুধু একটি মেয়ের সম্মান কেড়ে নেয়নি, তারা যেন একটি জাতির বিবেকেও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে—“এই সমাজ কি শুধুই পুরুষতন্ত্রের কারাগার, যেখানে মেয়েদের স্বপ্ন, অধিকার ও জীবনের কোনো মূল্য নেই?” চিহ্নিত অভিযুক্তদের তালিকা (প্রথম সারির হাইলাইট): মো. ফাহাদ হোসেন (স্বামী): মূল অভিযুক্ত; প্রেমের নামে প্রতারণা ও যৌতুক না পেয়ে জীবন-নাশক নির্যাতন। ফেরদাউস (শাশুড়ি): নির্যাতনের পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা। নানী শাশুড়ি: মানসিক নির্যাতন ও অপমানের সহায়তা।পিংকি (বড় ননদ): একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনে নেতৃত্ব; উস্কানি ও অপমানের মুখ।ছোট ননদ: ঘটনার নীরব প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে নির্যাতনকে স্বাভাবিক করার ভূমিকা। বিল্লাল (মামা): ফোনে গালিগালাজ, মানহানিকর মন্তব্য ও ভয়ভীতির কৌশল। কবির মাষ্টার ও স্ত্রী: পরিবারকে নির্যাতনে প্ররোচনা ও সামাজিক হেয়তার মাধ্যমে প্রতিবাদ না জানিয়ে উল্টো আমাকে ডাকিনী আমি কিছু বলতে পারিনা। প্রতিদিনের বিষয় ওনি পাশাপাশি বোঝা যায়। তবে ওনি কেন এগিয়ে আসেনি। ওনি শিক্ষক ওনার স্ত্রী শিক্ষিকা। অথচ আমার জীবন তার সামনেই শেষ তার প্রতিবাদ এর অভাবে। এরা কেমন শিক্ষা করেছে আমি নাছরিন আক্তার জানতে চাই। আইনের আওতায় সকল অপরাধী’র শাস্তির দাবি। যার সি, আর, মামলা নং ২৫৬/২০২৪, মোকাম : মূখ্য মহনগর হাকিম সাহেবের আদালত, ঢাকা।