পহেলা বৈশাখের দিনের সবাই যখন মেলা ,বলি খেলা ও আনন্দ শোভাযাত্রায় ব্যস্ত তখন ঠিক দুপুর বেলায় মিরসরাইয়ের করেরহাটে ৩ আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে চলে দুর্ধর্ষ হামলায় ভয়াল থাবা যা থেকে রেহাই পায়নি বৃদ্ধা মা
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে করেরহাটের ভালুকিয়া গ্রামে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হোসেনের পাকা বাড়ির ৭টি কক্ষে ভাংচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় কক্ষগুলোতে থাকা আসবাবপত্রগুলো ভেঙে তছনছ করে ফেলে, পাকা বাড়ির গেইটে ও আশপাশে থাকা বেশ কিছু ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও ঘরের সাতটি কক্ষ ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয় দুর্বৃত্তরা। কাচের জিনিসপত্র ও প্রতিটি কক্ষের আসবাব ভেঙে ফেলে। পরিবারের সদস্যদের সব কাপড়-চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে এখানে সেখানে।
হামলাকারীরা কামরুল হোসেনের মা রাশেদা আক্তারের কপালে জখম করে একজোড়া সোনার চুড়ি, দুটি মুঠোফোন ও নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।একই দৃশ্য দেখা যায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন ও করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিমের বাড়িতে।
জানতে চাইলে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হোসেনের ছোট ভাই তানভীর হোসেন স্বদেশ বিচিত্রাকে বলেন, সোমবার দুপুরে ১৫-২০ জন দুর্বৃত্তের একটি দল আমাদের বাড়ির গেট টপকে ভিতরে ঢুকে। পরে গেইটের দরজা খুলে ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় ঘরে থাকা নারী ও শিশুর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। দুর্বৃত্তরা আমার মাকে কপালে আঘাত করে আহত করেছে। তারা ঘর থেকে একজোড়া চুড়ি, দুটি মঠোফোন ও নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আতঙ্কে পরিবারের সব সদস্যের নিয়ে উন্নত সরে এসেছি আমরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান সোমবার দুপুরে পরেরহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের তিন নেতার বাড়িতে ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কিছু ভাঙচুর হয়েছে তবে লুটপাটের কথা সত্য নয়। এই ঘটনায় এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব আমরা।
রবি করিম