চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বৃহৎ মাছ চাষের এলাকা হিসেবে পরিচিত মুহুরী সেচ প্রকল্প এলাকার মৎস্য প্রকল্পগুলোতে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে প্রকল্পের মালিক ও কর্মচারীরা।
সোমবার (২১ জুলাই) বিকালে মুহুরী প্রজেক্ট বাজারের অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মৎস্য প্রকল্পের মালিক ওচমানপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. নুরুল আবছার জসীম, মহসিন, মহীদুল ইসলাম, আবদুল সালাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে মৎস প্রকল্পের মালিক ও কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, প্রতিবছর মুহুরী সেচ প্রকল্প এলাকায় ১০ হাজার কোটি টাকার মাছ উৎপাদন হয়। ওই মাছ চট্টগ্রাম ও ফেনী জেলার মাছের চাহিদা পুরণ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়। কিন্তু সম্প্রতি কিছু চিহ্নিত দখলদার ও চাঁদাবাজ মৎস্য প্রকল্পের বৈধ মালিকদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে। যার ফলে প্রকল্পে মালিক ও কর্মচারীরা চরম নিরাপত্তাহীতায় ভুগছেন।
মৎস প্রকল্পের মালিক মো. নুরুল আবছার জসিম অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ জুলাই সেলিম, দিদার, ইমরান ও জসীম নামের একটি চক্র তার কাছে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু চাঁদা না পেয়ে তারা খামারের খাদ্য রাখার ঘর পুড়িয়ে দেয় এবং খামার লুটের চেষ্ঠা করে। মানববন্ধনে অংশ নেয়া লায়লা বেগম নামের এক নারী বলেন, মুহুরী প্রকল্প এলাকায় গড়ে ওঠা মৎস্য প্রকল্প গুলোতে মাছ চাষ করে আমাদের সংসার চলে। এখন দখলদারি আর চাঁদাবাজির কারণে সেখানে মৎস্য চাষ অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। বৈধভাবে গড়ে উঠা সব প্রকল্প রক্ষা, প্রকল্প এলাকায় হামলাকারী, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, মৎস প্রকল্প মালিক ও কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা দেয়ার দাবি নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছি আমি।
মৎস্য প্রকল্পে দখলদারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সম্পর্কে সেলিম বলেন, পশ্চিম বাঁশখালী ডাকঘর এলাকায় আমরা ৫০ টির মত পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসতঘর করে আছি। এখানে আমরাসহ আশপাশের প্রায় ১০০ জন মানুষের সমিতিভুক্ত বেশ কিছু মৎস্য প্রকল্প আছে। প্রভাবশালী মাছ চাষীরা দীর্ঘদিন ধরে সেগুলো জবরদখল করে মাছ চাষ করছে। এখন সেসব মৎস্য প্রকল্পের অধিকার চাইলে তারা আমাদের হামলা মামলা করে হয়রানি করছে। আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মারধরসহ যে সমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে এসব একেবারেই মিথ্যা। প্রভাবশালী এসব মৎস্য চাষী প্রকল্প এলাকায় কর্মচারীদের থাকার ঘরে নিজেরা আগুন লাগিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা সাজিয়েছে।