০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদ্যালয়ের উন্নয়নে একজন প্রধান শিক্ষকের ভুমিকা

  • প্রকাশিত ০১:১৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

As is the headmaster, so is the school’ বাক্যটির বাংলা অর্থ হলো যেমন প্রধান শিক্ষক, তেমনই বিদ্যালয়। এর মানে হলো প্রধান শিক্ষকের আচরণ, নীতি এবং কাজের উপর বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ ও মান নির্ভর করে। প্রধান শিক্ষকের সততা ও যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটে বিদ্যালয়ে। পেশাগত উন্নয়ন ও অনুপ্রেরণা প্রদান, এবং অভিভাবক ও স্থানীয় সমাজের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। প্রধান শিক্ষক একটি আদর্শ বিদ্যালয় বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যেখানে তিনি পাঠ্যক্রম, অবকাঠামো, এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশের উন্নয়নে সচেষ্ট থাকেন। প্রধান শিক্ষকের প্রধান ভূমিকাগুলো:

আগমন প্রস্থান: একজন প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয়ে যথাসময়ে আগমণ প্রস্থান করতে হবে। প্রধান শিক্ষক যদি দেরিতে বিদ্যালয়ে আসে, অন্যান্য শিক্ষকরা দেরিতে আসলে প্রধান শিক্ষকের বলার তেমন কিছু সুযোগ থাকবে না।ফলে বিদ্যালয় কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হবে না। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক যদি সকাল ৯টা পূর্বে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়, তাহলে অন্যান্য শিক্ষক এমনিতেই বিদ্যালয়ে যথাসময়ে উপস্থিত হবে। যথাযথ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধান শিক্ষক অবশ্যই সবার শেষে প্রস্থান করবে। বিদ্যালয়ের দরজা জানালা বন্ধ করা হয়েছে কিনা, লাইট ফ্যানের সুইস বন্ধ করা হয়েছে কিনা, এবং ওয়াশরুমের পানির ট্যাপ বন্ধ করা হয়েছে কিনা সব চেক করে বিদ্যালয় প্রস্থান করবেন।

একাডেমিক মানোন্নয়ন: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রধান কাজ হলো পড়ালেখার মান অগ্রগতি করা। সরকারের হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের মুল লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের যোগ্যতা অর্জন ও পড়ালেখার মানোন্নয়ন। প্রধান শিক্ষক বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী তার শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান অনুসারে ক্লাস রুটিন করবেন এবং প্রতি সপ্তাহে শিক্ষকদের ক্লাস মনিটরিং করে উন্নয়ন মুলক পরামর্শ প্রদান করবেন। তবে এর পূর্বে প্রধান শিক্ষক প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ে গভীরভাবে পড়বেন। প্রধান শিক্ষকের যদি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান না থাকে তাহলে শিক্ষকদের উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারবেন না। নিন্মের কার্যাবলী অনুসরণ করল পড়ালেখার মান এগিয়ে যাবে।

পাঠোন্নতি যাচাইয়ের অন্যতম পন্থা হলো মূল্যায়ন। প্রতিটি অধ্যায় শেষে শিক্ষক ছোট্ট পরিসরে মূল্যায়ন করলে অবশ্যই শিক্ষার্থীর পড়ালেখার মানোন্নয়ন হবে।

# # বছরের প্রথমে সুন্দর হাতের লেখা চর্চা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। এতে শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা সুন্দর হবে।

# শ্রুতিলিপির চর্চা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। এতে শিক্ষার্থীদের লেখার গতি বাড়বে এবং বানান শুদ্ধ হবে।

#Student of the month পুরস্কার দেওয়া। শিক্ষার্থীরা আরও এগিয়ে যাবে।

# ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন শেষে ১ম ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার প্রদান করা।

# বৃত্তি পরীক্ষা: একটি বিদ্যালয়ের পড়ালেখার উন্নতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে বৃত্তি পরীক্ষার

মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক বছরের ১ম দিকে তাদেরকে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের মাধ্যমে আলাদা ব্যবস্থা করবেন।

সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমঃ শিক্ষার্থী যখন বিদ্যালয়ে আনন্দ উপলব্ধি তখন ঝড়ে পড়ার হার থাকবে না। প্রধান শিক্ষকের সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের উপর জোর দিতে হবে, যেমন সাপ্তাহিক ১দিন গান, আবৃতি, বক্তব্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাচ, কাবিং কার্যক্রম ও হলদে পাখির দল গঠন করতে হবে।

খেলাধূলাঃ শিশুরা পড়ার চেয়ে খেলাধুলা বেশি পছন্দ করে, যদি তাদের জন্য ইনডোর আউটডোর গেইমের ব্যবস্থা এবং রাইডারের ব্যবস্থা রাখা হয় তাহলে শিশুরা বিদ্যালয় ছেড়ে কোথাও যাবে না।

নেতৃত্ব প্রদান প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন করেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি “টিম’ বা দলগত মানসিকতা তৈরি করার কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

প্রশাসনিক দক্ষতা তিনি বিদ্যালয়ের সকল রেকর্ড, ফাইল, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করেন এবং বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে যোগাযোগ বজায় রাখেন।

শিক্ষাদান ও তত্ত্বাবধান: বিদ্যালয়ের একাডেমিক মানোন্নয়নের জন্য তিনি শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করেন, নিয়মিত ক্লাস পর্যবেক্ষণ করেন, আকর্ষনীয় পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের শেখার মান উন্নত করতে কাজ করতে হবে।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন: প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেন।

অভিভাবক ও সমাজের সাথে যোগাযোগ:তিনি অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্থানীয় সমাজের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন।

আর্থিক ও প্রশাসনিক পরিকল্পনা তিনি বিদ্যালয়ের বাজেট প্রণয়ন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ এবং বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা ও রুটিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন

করেন।

সমন্বয়কারী ও পরামর্শদাতা:বিভিন্ন মতবিরোধ দেখা দিলে প্রধান শিক্ষক সমন্বয়ের মাধ্যমে সংহতি বজায় রাখেন এবং শিক্ষার্থীদের তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় উপদেশ দিয়ে সহায়তা করেন।

লেখকঃ

মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ

প্রধান শিক্ষক

বাঁশখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

Tag :
জনপ্রিয়

সাংবাদিক সংগঠন গুলির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন- সিআরএ

বিদ্যালয়ের উন্নয়নে একজন প্রধান শিক্ষকের ভুমিকা

প্রকাশিত ০১:১৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

As is the headmaster, so is the school’ বাক্যটির বাংলা অর্থ হলো যেমন প্রধান শিক্ষক, তেমনই বিদ্যালয়। এর মানে হলো প্রধান শিক্ষকের আচরণ, নীতি এবং কাজের উপর বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ ও মান নির্ভর করে। প্রধান শিক্ষকের সততা ও যোগ্যতার প্রতিফলন ঘটে বিদ্যালয়ে। পেশাগত উন্নয়ন ও অনুপ্রেরণা প্রদান, এবং অভিভাবক ও স্থানীয় সমাজের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। প্রধান শিক্ষক একটি আদর্শ বিদ্যালয় বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, যেখানে তিনি পাঠ্যক্রম, অবকাঠামো, এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশের উন্নয়নে সচেষ্ট থাকেন। প্রধান শিক্ষকের প্রধান ভূমিকাগুলো:

আগমন প্রস্থান: একজন প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয়ে যথাসময়ে আগমণ প্রস্থান করতে হবে। প্রধান শিক্ষক যদি দেরিতে বিদ্যালয়ে আসে, অন্যান্য শিক্ষকরা দেরিতে আসলে প্রধান শিক্ষকের বলার তেমন কিছু সুযোগ থাকবে না।ফলে বিদ্যালয় কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন হবে না। অপরদিকে প্রধান শিক্ষক যদি সকাল ৯টা পূর্বে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়, তাহলে অন্যান্য শিক্ষক এমনিতেই বিদ্যালয়ে যথাসময়ে উপস্থিত হবে। যথাযথ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হবে। প্রধান শিক্ষক অবশ্যই সবার শেষে প্রস্থান করবে। বিদ্যালয়ের দরজা জানালা বন্ধ করা হয়েছে কিনা, লাইট ফ্যানের সুইস বন্ধ করা হয়েছে কিনা, এবং ওয়াশরুমের পানির ট্যাপ বন্ধ করা হয়েছে কিনা সব চেক করে বিদ্যালয় প্রস্থান করবেন।

একাডেমিক মানোন্নয়ন: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রধান কাজ হলো পড়ালেখার মান অগ্রগতি করা। সরকারের হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের মুল লক্ষ্য হচ্ছে শিশুদের যোগ্যতা অর্জন ও পড়ালেখার মানোন্নয়ন। প্রধান শিক্ষক বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা অনুযায়ী তার শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান অনুসারে ক্লাস রুটিন করবেন এবং প্রতি সপ্তাহে শিক্ষকদের ক্লাস মনিটরিং করে উন্নয়ন মুলক পরামর্শ প্রদান করবেন। তবে এর পূর্বে প্রধান শিক্ষক প্রতিটি শ্রেণির প্রতিটি বিষয়ে গভীরভাবে পড়বেন। প্রধান শিক্ষকের যদি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান না থাকে তাহলে শিক্ষকদের উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারবেন না। নিন্মের কার্যাবলী অনুসরণ করল পড়ালেখার মান এগিয়ে যাবে।

পাঠোন্নতি যাচাইয়ের অন্যতম পন্থা হলো মূল্যায়ন। প্রতিটি অধ্যায় শেষে শিক্ষক ছোট্ট পরিসরে মূল্যায়ন করলে অবশ্যই শিক্ষার্থীর পড়ালেখার মানোন্নয়ন হবে।

# # বছরের প্রথমে সুন্দর হাতের লেখা চর্চা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। এতে শিক্ষার্থীদের হাতের লেখা সুন্দর হবে।

# শ্রুতিলিপির চর্চা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। এতে শিক্ষার্থীদের লেখার গতি বাড়বে এবং বানান শুদ্ধ হবে।

#Student of the month পুরস্কার দেওয়া। শিক্ষার্থীরা আরও এগিয়ে যাবে।

# ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন শেষে ১ম ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের পুরস্কার প্রদান করা।

# বৃত্তি পরীক্ষা: একটি বিদ্যালয়ের পড়ালেখার উন্নতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে বৃত্তি পরীক্ষার

মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক বছরের ১ম দিকে তাদেরকে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের মাধ্যমে আলাদা ব্যবস্থা করবেন।

সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমঃ শিক্ষার্থী যখন বিদ্যালয়ে আনন্দ উপলব্ধি তখন ঝড়ে পড়ার হার থাকবে না। প্রধান শিক্ষকের সহ পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের উপর জোর দিতে হবে, যেমন সাপ্তাহিক ১দিন গান, আবৃতি, বক্তব্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নাচ, কাবিং কার্যক্রম ও হলদে পাখির দল গঠন করতে হবে।

খেলাধূলাঃ শিশুরা পড়ার চেয়ে খেলাধুলা বেশি পছন্দ করে, যদি তাদের জন্য ইনডোর আউটডোর গেইমের ব্যবস্থা এবং রাইডারের ব্যবস্থা রাখা হয় তাহলে শিশুরা বিদ্যালয় ছেড়ে কোথাও যাবে না।

নেতৃত্ব প্রদান প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রমের সুষ্ঠু সমন্বয় সাধন করেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি “টিম’ বা দলগত মানসিকতা তৈরি করার কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

প্রশাসনিক দক্ষতা তিনি বিদ্যালয়ের সকল রেকর্ড, ফাইল, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করেন এবং বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে যোগাযোগ বজায় রাখেন।

শিক্ষাদান ও তত্ত্বাবধান: বিদ্যালয়ের একাডেমিক মানোন্নয়নের জন্য তিনি শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করেন, নিয়মিত ক্লাস পর্যবেক্ষণ করেন, আকর্ষনীয় পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের শেখার মান উন্নত করতে কাজ করতে হবে।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন: প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি লাইব্রেরি, বিজ্ঞানাগার, এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা বাড়ানোর উদ্যোগ নেন।

অভিভাবক ও সমাজের সাথে যোগাযোগ:তিনি অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্থানীয় সমাজের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বিদ্যালয়ের উন্নয়নে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন।

আর্থিক ও প্রশাসনিক পরিকল্পনা তিনি বিদ্যালয়ের বাজেট প্রণয়ন, সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ এবং বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা ও রুটিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন

করেন।

সমন্বয়কারী ও পরামর্শদাতা:বিভিন্ন মতবিরোধ দেখা দিলে প্রধান শিক্ষক সমন্বয়ের মাধ্যমে সংহতি বজায় রাখেন এবং শিক্ষার্থীদের তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রয়োজনীয় উপদেশ দিয়ে সহায়তা করেন।

লেখকঃ

মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ

প্রধান শিক্ষক

বাঁশখালী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।