স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বগুড়ায় মহাসমাবেশ করেছে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কলোনী এলাকায় বগুড়া পলিটেকনিকের সামনে সাতমাথা-বনানী সড়কে তারা এ কর্মসূচি পালন করে। এতে সরকারি পলিটেকনিকের পাশাপাশি আরও চারটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
এ কর্মসূচির কারনে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কের দুই পাশে অটোরিকশা, ইজিবাইক, বাস, ব্যক্তিগত গাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন আটকে পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।
বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান বলেন, সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করায় ভোগান্তি এড়াতে ঢাকা বগুড়া রুটে চলাচলকারী দূরপাল্লার বাস, শেরপুরু বগুড়া রুটের গেটলক বাসসহ সব যানবাহন চালকদের সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এড়িয়ে বনানীু শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ুমোহাম্মদ আলী হাসপাতাল বিকল্প সড়ক হয়ে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, কারিগরি শিক্ষা খাতে যেসব বৈষম্য রয়েছে, আমরা চাই সরকার সেগুলো দূর করুক। আমাদের দাবি দ্রুত মেনে নিন, তা হলে আমরা রাজপথ ছেড়ে দেব।
গতকাল শনিবার পূর্বঘোষিত ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন ও প্রতীকী প্রতিবাদ করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে মূল ফটকে লাল কাপড় টাঙিয়ে দিয়ে নতুন কর্মসূচি হিসেবে রোববারের মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কুমিল্লায় সহপাঠীদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাদের ছয় দফা দাবি যুক্তিসঙ্গত হলেও এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা হয়নি।”
গত শুক্রবার দুপুরে ছয় দফা দাবি আদায়ে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে গণমিছিল করেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে মশাল মিছিল করেন।
এর আগে, ১৫ এপ্রিল শহরের সাতমাথায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চলবে এবং প্রয়োজন হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর