০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুট ওভার ব্রীজ কাজে আসছে না, রংপুর মহাসড়কে রেলিং না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

  • প্রকাশিত ০৩:৫৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • ১৩ বার দেখা হয়েছে

আহসান হাবিব মিলন রংপুর থেকে : রংপুরে এক বছরেও নেয়া হয়নি জুলাই অভ্যুত্থানে ভেঙে ফেলা রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা পারাপার বন্ধের রেলিং এর কাজ। ধরাবাঁধা নিয়ম না মেনেই ফুট ওভার ব্রীজ ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলিংবিহীন রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা৷ এতে করে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
ট্রাফিক আইনের শাসন ও সিটি কর্পোরেশনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে ব্যস্ততম নগরী রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চৌরাস্তার মোড়ে দেখা যায়, রেলিং না থাকার কারণে ঝুঁকি নিয়ে বেপরোয়া ভাবে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের চিত্র।

মহাসড়কের পাশে বেষ্টনী না থাকায় অসতর্কতাবশত দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রাস্তা পারাপার হচ্ছে জনসাধারণ। সেইসাথে যানবাহন চালকদেরকে মানতে হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। ভারী যানবাহন চলাচলের অন্যতম এই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের চৌরাস্তার মোড়ে বেষ্টনী মেরামত অতিব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত পোষণ করেন স্থানীয়রা।

ঝুঁকি জেনেও রাস্তা পার হওয়া কয়েকজন তরুণ বলেন, গণ অভ্যুত্থানের পর থেকে রেলিং ভেঙে পরে আছে তাই তাড়াতাড়ি রাস্তা পারাপারের জন্য ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছি। ফুটওভার ব্রিজে পার হতে অনেক সময় লাগে। খুব দ্রুত রাস্তার ডিভাইডারে রেলিং দেয়া হোক আমরা বাধ্য হবো ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে।

এবিষয়ে রংপুর মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু প্রতিবেদককে বলেন,রংপুর সিটি কর্পোরেশনের পরিকল্পনার অভাবে এই মোড়ে যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ড্রাইভারদের। এছাড়াও কোটি কোটি টাকায় নির্মিত ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে না পথচারীরা। জীবন ঝুঁকি নিয়ে তীব্র যানজটের মধ্যেই জনসাধারণ মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,এখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও যানবাহন চালকসহ পথচারীদের ট্রাফিক আইন না মানার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেন তিনি। এছাড়াও ট্রাফিক পুলিশের ব্যর্থতায় আইনের বাধ্যবাধকতা বা প্রতিবদ্ধকতার তোয়াক্কা করছেন না পথচারীরা। ফলে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ব্যস্ততম কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল মোড়ের দুর্ভোগ।

এই দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা নিরসনে জনসাধারণের নিরাপত্তায় ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, নিয়মভঙ্গ করলেই জরিমানার উদ্যোগ সহ রাস্তায় রেলিং স্থাপন আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন।

ট্রাফিক আইনের শাসন ও নিরাপদে সুশৃঙ্খল ভাবে জনসাধারণের রাস্তা পারাপারের বিষয়ে মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার আব্দুর রশিদ প্রতিবেদককে বলেন,আমরা এসংক্রান্ত বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ও সড়ক ভবন কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

এবিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, মহাসড়কের যাবতীয় বিষয় দেখেন সড়ক ভবন, তারপরেও বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে অতিশীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

দোহারে এক রাতে ২ বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে চলে যায়

ফুট ওভার ব্রীজ কাজে আসছে না, রংপুর মহাসড়কে রেলিং না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

প্রকাশিত ০৩:৫৮:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

আহসান হাবিব মিলন রংপুর থেকে : রংপুরে এক বছরেও নেয়া হয়নি জুলাই অভ্যুত্থানে ভেঙে ফেলা রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা পারাপার বন্ধের রেলিং এর কাজ। ধরাবাঁধা নিয়ম না মেনেই ফুট ওভার ব্রীজ ব্যবহার না করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলিংবিহীন রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা৷ এতে করে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
ট্রাফিক আইনের শাসন ও সিটি কর্পোরেশনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে ব্যস্ততম নগরী রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চৌরাস্তার মোড়ে দেখা যায়, রেলিং না থাকার কারণে ঝুঁকি নিয়ে বেপরোয়া ভাবে পথচারীদের রাস্তা পারাপারের চিত্র।

মহাসড়কের পাশে বেষ্টনী না থাকায় অসতর্কতাবশত দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রাস্তা পারাপার হচ্ছে জনসাধারণ। সেইসাথে যানবাহন চালকদেরকে মানতে হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। ভারী যানবাহন চলাচলের অন্যতম এই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের চৌরাস্তার মোড়ে বেষ্টনী মেরামত অতিব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত পোষণ করেন স্থানীয়রা।

ঝুঁকি জেনেও রাস্তা পার হওয়া কয়েকজন তরুণ বলেন, গণ অভ্যুত্থানের পর থেকে রেলিং ভেঙে পরে আছে তাই তাড়াতাড়ি রাস্তা পারাপারের জন্য ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছি। ফুটওভার ব্রিজে পার হতে অনেক সময় লাগে। খুব দ্রুত রাস্তার ডিভাইডারে রেলিং দেয়া হোক আমরা বাধ্য হবো ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে।

এবিষয়ে রংপুর মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু প্রতিবেদককে বলেন,রংপুর সিটি কর্পোরেশনের পরিকল্পনার অভাবে এই মোড়ে যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় ড্রাইভারদের। এছাড়াও কোটি কোটি টাকায় নির্মিত ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে না পথচারীরা। জীবন ঝুঁকি নিয়ে তীব্র যানজটের মধ্যেই জনসাধারণ মহাসড়ক পারাপার হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,এখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও যানবাহন চালকসহ পথচারীদের ট্রাফিক আইন না মানার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেন তিনি। এছাড়াও ট্রাফিক পুলিশের ব্যর্থতায় আইনের বাধ্যবাধকতা বা প্রতিবদ্ধকতার তোয়াক্কা করছেন না পথচারীরা। ফলে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ব্যস্ততম কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল মোড়ের দুর্ভোগ।

এই দুর্ভোগ ও দুর্ঘটনা নিরসনে জনসাধারণের নিরাপত্তায় ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, নিয়মভঙ্গ করলেই জরিমানার উদ্যোগ সহ রাস্তায় রেলিং স্থাপন আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন।

ট্রাফিক আইনের শাসন ও নিরাপদে সুশৃঙ্খল ভাবে জনসাধারণের রাস্তা পারাপারের বিষয়ে মহানগর ট্রাফিক পুলিশের উপকমিশনার আব্দুর রশিদ প্রতিবেদককে বলেন,আমরা এসংক্রান্ত বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ ও সড়ক ভবন কর্মকর্তাদের সাথে কথা হয়েছে বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

এবিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা বলেন, মহাসড়কের যাবতীয় বিষয় দেখেন সড়ক ভবন, তারপরেও বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে অতিশীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।