০২:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে আলীকদম ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন।

  • প্রকাশিত ১০:৫৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • ১২৭ বার দেখা হয়েছে

সুজন ভট্টাচার্য্য,স্টাফ রিপোর্টারঃ

গত ১৫ মে ২০২৫ইং বৃহস্পতিবার আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ও তিন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন।

প্রতিবাদলিপিতে চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বলেন, তদন্ত কমিটির আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত না করেই এই ধরনের একটি সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করা আদৌ যৌক্তিক কিনা তা আমার বোধগম্য নয়।

এই ধরনের একটি সংবাদ অত্র ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলার জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমি মনে করি।

আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আমার এবং আমার পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমানিত হয়ে থাকলে আমি এবং আমরা আইনে প্রদত্ত শাস্তি ভোগে বাধ্য।

যে বা যারা কোন প্রকার উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে অতি উৎসাহী হয়ে তদন্ত কমিটির কোন প্রকার অনুমতি বা বক্তব্য ছাড়া এই ধরনের একটি সংবাদ প্রকাশ করেছেন, জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি না ছড়াতে তার বা তাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইলো।

চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকে অর্থাৎ ২০০৮ সাল থেকে যেসকল জনসাধারন ভোটার হয়েছেন আমি তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটার হতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রদত্ত চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট-সহ প্রয়োজনীয় সেবা দিয়েছি। যা তাদের নাগরিক অধিকার। প্রত্যয়ন পত্রের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক গত ২৪মার্চ ২০২৫ইং তারিখে আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল যার স্মারক নংঃ ০৫.৪২.০৩০৪.০০০০.০৭.০০২.২৫-১৮৮, আমরা ২৮ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে তার যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করেছি যার স্মারক নংঃ ১১৩৫/২০২৪-২০২৫।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে ২০২৫ইং তারিখে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে রোহিঙ্গা ভোটারে জালিয়াতি প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি/আলীকদমে অবৈধ উপায়ে রোহিঙ্গাদের ভোটার, তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত-সহ আরো বিভিন্ন শিরোনামে আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ও ইউপি সদস্য সন্তোষ কান্তি দাশ, আবদুল মতিন এবং জাকের হোসেনের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি এখনো চুড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা না দিলেও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক অগ্রীম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বা প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, রোহিঙ্গা ভোটার প্রসঙ্গে তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে আমরা এখনো মাঠ পর্যায়ে তদন্ত শেষ করিনি। তদন্ত শেষ করে আমরা অচিরেই রিপোর্ট জমা দেবো। কেউ যদি অতিউৎসাহী হয়ে এবিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করে থাকে এতে আমাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।

Tag :
জনপ্রিয়

রাজউকের মোবাইল কোর্টের সংবাদ সংগ্রহ করায় গনমাধ্যম কর্মীকে আঘাত

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে আলীকদম ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন।

প্রকাশিত ১০:৫৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

সুজন ভট্টাচার্য্য,স্টাফ রিপোর্টারঃ

গত ১৫ মে ২০২৫ইং বৃহস্পতিবার আলীকদম সদর ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ও তিন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন।

প্রতিবাদলিপিতে চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বলেন, তদন্ত কমিটির আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন প্রকাশের পূর্বে প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত না করেই এই ধরনের একটি সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করা আদৌ যৌক্তিক কিনা তা আমার বোধগম্য নয়।

এই ধরনের একটি সংবাদ অত্র ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলার জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমি মনে করি।

আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আমার এবং আমার পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমানিত হয়ে থাকলে আমি এবং আমরা আইনে প্রদত্ত শাস্তি ভোগে বাধ্য।

যে বা যারা কোন প্রকার উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে অতি উৎসাহী হয়ে তদন্ত কমিটির কোন প্রকার অনুমতি বা বক্তব্য ছাড়া এই ধরনের একটি সংবাদ প্রকাশ করেছেন, জনসাধারণের মাঝে বিভ্রান্তি না ছড়াতে তার বা তাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ রইলো।

চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন আরো বলেন, আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকে অর্থাৎ ২০০৮ সাল থেকে যেসকল জনসাধারন ভোটার হয়েছেন আমি তাদের পরিবারের সদস্যদের ভোটার হতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রদত্ত চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট-সহ প্রয়োজনীয় সেবা দিয়েছি। যা তাদের নাগরিক অধিকার। প্রত্যয়ন পত্রের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক গত ২৪মার্চ ২০২৫ইং তারিখে আমাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল যার স্মারক নংঃ ০৫.৪২.০৩০৪.০০০০.০৭.০০২.২৫-১৮৮, আমরা ২৮ মার্চ ২০২৫ইং তারিখে তার যথাযথ ব্যাখ্যা প্রদান করেছি যার স্মারক নংঃ ১১৩৫/২০২৪-২০২৫।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মে ২০২৫ইং তারিখে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে রোহিঙ্গা ভোটারে জালিয়াতি প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি/আলীকদমে অবৈধ উপায়ে রোহিঙ্গাদের ভোটার, তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত-সহ আরো বিভিন্ন শিরোনামে আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন ও ইউপি সদস্য সন্তোষ কান্তি দাশ, আবদুল মতিন এবং জাকের হোসেনের বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি এখনো চুড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা না দিলেও স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক অগ্রীম একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বা প্রতিবেদনে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

এদিকে এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা জানান, রোহিঙ্গা ভোটার প্রসঙ্গে তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে আমরা এখনো মাঠ পর্যায়ে তদন্ত শেষ করিনি। তদন্ত শেষ করে আমরা অচিরেই রিপোর্ট জমা দেবো। কেউ যদি অতিউৎসাহী হয়ে এবিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করে থাকে এতে আমাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই।