দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, বাংলাদেশ এডিটরস ফোরামের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান কবি অশোক ধরকে বারবার প্রাণ নাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে ১৫১,মতিঝিল দখলে নেওয়ার চক্রান্ত করেছে ভূমি দুস্য ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরন। তথ্য মতে জানা যায় যে ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরণ একজন ভূমিদুস্য ঢাকা শহরের একাধিক সরকারি জায়গা দখল করে বিভিন্ন প্রভাবশালী মহল কে ব্যবহার করে দখল করে কোটি কোটি টাকা মালিক হয়েছে। তার মধ্যে ১৫১ মতিঝিল ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে কিছু অংশ দখল করে গণপূর্তের এই জায়গাটি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে । সূত্রে জানা যায় অশোক ধর ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস হইতে জনাব সাইফুল কাদেরের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা অগ্রিম প্রদান করে এবং ২০ লক্ষ টাকা অবকাঠামো অফিসের কাজে ইনভেস্ট করে ১৫১ মতিঝিল ভাড়া নিয়ে পত্রিকার অফিস চালিয়ে আসছে। হঠাৎ করে ২০১৯ সালে ২৬ শে অক্টোবর ১৫০/১৬০ জন ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে ১৫১ মতিঝিলে ৫জন ভাড়াটিয়া সহ সাইফুল কাদের উপর হামলা করে। ১৫১ মতিঝিল পাঁচজন ভাড়াটিয়ার মধ্যে একজন অশোক কুমার ধর দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। সন্ত্রাসীরা পত্রিকার অফিস এবং সম্পাদকের উপর হামলা করে পত্রিকা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ,সিসি ক্যামেরার ডিভিআর নিয়ে যায়। পত্রিকা অফিসে হামলা করে সম্পাদক কে প্রাণ নাসের হুমকি দেওয়ার পর ২৮ শে অক্টোবর ২০১৯ সালে ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরনের নামে মতিঝিল থানায় জিডি করা হয় সম্পাদক অশোক ধর নিজেই বাদী হয়ে। জিডি নং: ১৯৭৩ । তারিখ: ২৮/১০/২০১৯
২০১৯ সালে ২৬ শে অক্টোবর পুরো জায়গাটি দখলে নিতে না পেরে তারপর থেকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার সম্পাদক ও প্রকাশক কবি অশোক ধরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরন প্রথমে ২০২০ সালে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার সম্পাদক অশোক ধর সহ পাঁচজন ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে মামলা করে। সেই মামলায় কোন সাক্ষীর প্রমাণ আদালতে হাজির করতে না পেরে এ মামলা থেকে গত ১০ই আগস্ট ২০২৫ পাঁচজন জন বেকসুর খালাস পায়।চাঁদাবাজি মামলা দেওয়ার পরপরই ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরন ডিবি সিআইডি ও পিবিআই সহ বিভিন্ন জায়গায় দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক অশোক ধর সহ পাঁচ জন ভাড়াটিয়া বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কোন কাগজপত্র দেখাতে না পেরে সবকোথাও সুবিধা করতে পারে নাই। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে ভূমিদস্যু হিরণ সাইফুল কাদেরকে কেয়ারটেকার বানিয়েমিথ্যাতথ্যদিয়ে ভাড়া পাবে বলে আদালতে মামলা করে। আদালতে মামলা করলে মতিঝিল থানার কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বড় অংকের ঘুষ খেয়ে হিরনের পক্ষে রিপোর্ট দেয়। এ মামলায় বর্তমানে হয়রানির স্বীকার দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক সহ মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মিন্টু, রফিকুল ইসলাম, সুমন চন্দ্র রায়, বেলাল হোসেন সাব্বির এবং আল কাদেরের ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক সাইফুল কাদের। তথ্যেজানা যায় সাইফুল কাদের এর বাবা আব্দুল কাদের গণপূর্ত থেকে ১৫১,মতিঝিল লিজ নেন। একপর্যায়ে আব্দুল কাদের এ লিজকৃত ১৫১,মতিঝিল গণপূর্ত জায়গাটি পুনরায় নবায়ন না করলে অটোমেটিক গণপূর্ত খ তফশিলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। নিজের ভূমি দূশ্য ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরণ এই ঘটনাটি জেনে গণপূর্তের এ জায়গাটি ২০১৯ সালে ১৫০/১৬০ জন সন্ত্রাসী দ্বারা জায়গাটি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। সেদিন সাইফুল কাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে তার অফিসটি দখলে নেয়। ৫ ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর ২৩/১/২০২৫ সালে আবারো দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার অফিস এবং সম্পাদক অশোকধরের উপর ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা করে।
জিডি নং: ১৯৩১ তারিখ: ২৩-০১-২০২৫
২০১৯ সাল এর ২৬ অক্টোবর থেকে ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এবং নানাভাবে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক অশোক ধর এর উপর প্রাণনাশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যা ১৫১, মতিঝিলের আশপাশের লোকজন তদন্ত সূত্রে জানায়। তদন্তে আরো জানা যায় গণপূর্তের এই জায়গা খ তফশিলে জানার পর দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার নামে বরাদ্দ পাওয়ার আবেদন করে।এই ছাড়া ও কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধা ও ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরন ও গণপূর্তে আবেদন করেন।২০২২সালে গণপূর্তের কর্তৃপক্ষ দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক কে নোটিশ দেয়া হয়। আবেদন করার পর দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা নামে ওয়াসার লাইন ও বিদ্যুৎ এর লাইন নাহয়। দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা নামে পত্রিকার সকল কাগজপত্র ১৫১, মতিঝিল এর ঠিকানা। দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা নামে ১৫১ মতিঝিল ঠিকানায় ট্রেড লাইসেন্স। এছাড়াও এই ১৫১ মতিঝিল ঠিকানায় সাপ্তাহিক কালধারা ও নব্বইয়ের গণ অভ্যুত্থানের শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদের নামে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আজকের জেহাদ বের করা হয়।অথচ ভূমিদস্যু ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরন সম্পূর্ণ ভূয়া মালিক সেজে আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভাড়া দাবি করে মামলা প্রদান করে। হিরন ২০১৬ সাল থেকে ভাড়া দাবি করে। কোনো ভাড়া টিয়া ভাড়া না দিয়ে এত বছর থাকতে পারে। দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কবি অশোক ধর ২০১৯ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত ভাড়া প্রদান করে সাইফুল কাদের কাছে।এই ছাড়া মনিরুল ইসলাম মিন্টু২০০৮ সাল থেকে আগষ্ট ২০১৯,রফিকুল ইসলাম ২০০৫ সাল থেকে সেপ্টেম্বর মাস ২০১৯, সুমন কুমার রায় ২০১১থেকে আগষ্ট ২০১৯পর্যন্ত সাইফুল কাদেরের কাছে। সূত্র মতে ইমতিয়াজ উদ্দিন হিরন এই ভাবে সরকারি জায়গা দখল করে বহু নীরিহ লোক কে হয়রানি করছে যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরপেক্ষ তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
