১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেখা নেই বৃষ্টির , আমন রোপনে দুশ্চিন্তায় রংপুরের কৃষক

  • প্রকাশিত ০৭:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • ১৪ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর : আষাঢ়ের রীতিমতো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা না পেলেও আমন রোপণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা। প্রকৃতির আশীবার্দ বৃষ্টির উপর নির্ভর করে আবাদ হওয়া আমন ধানের বীজতলা তৈরি করছেন তারা। রংপুর অঞ্চলে আমন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। কেউ সেচ দিচ্ছেন আবার কেউবা জমি তৈরিতে ফুসরত পাচ্ছেন না। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পুষ্ট চারা পেতে আমন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত এই অঞ্চলের কৃষকরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের ব্যস্ততা। সেচ দেয়া নিয়েতারা বলছেন,আমন ধান আবাদ করা হয় কম খরচে শুধুমাত্র আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির উপর নির্ভর করে। বৃষ্টির পানিতে খরচ অনেক কম হয়, লাভবান হওয়া যায় আমন ধানে। যদিও এবার আষাঢ়ের শুরুর থেকে শেষের দিকেও বৃষ্টির দেখা না মিললেও বীজতলা তৈরিতে থেমে নেই তারা। লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত শ্রম দিচ্ছেন বীজতলা তৈরিতে। লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন বীজতলায়। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা না পেলে সেচে ভর্তুকি দিয়ে আমান আবাদে ব্যয় বেশি তাদের।

রংপুর কৃষি সম্প্রদায়ণ অধিদপ্তরের তথ্য সূত্রে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৬ লাখ ২০ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ১ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর, গাইবান্ধায় ১ লাখ ৩৩হাজার ৯৪০ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ১ লাখ ২০ হাজার ৫০০ হেক্টর, লালমনিরহাটে ৮৬হাজার হেক্টর এবং নীলফামারীতে ১ লাখ ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে।

এদিকে রংপুরের জুম্মাপাড়ার কৃষক রহিজ মিয়া বলেন, হামরা আবাদ সুবাদ করিয়া প্যাট বাঁচাই। বৃষ্টির দিক তাকেয়া আমন ধান করা খায়। এলাও বৃষ্টি তেমন হয় নাই, কিন্তু আড়াই দোন জমির জইনতে বীজতলা তৈরি করা হওছে বাকিটা আল্লাহর উপর। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমন ধানের বীজতলার যত্ন নেওয়া। কয়দিন পর হাতে রোপনের জইনতে আবার পরেও বৃষ্টির পানির খুব দরকার হইবে। নাইলে নিজের ঘরের থাকি সেচ দিয়া পোষবার নায়। তবুও করার কিছু নাই, হারা আবাদ করা মানুষ প্যাটের জইনতে লোকসান হইলেও করার নাগবে।

রংপুরের বোতলা পাড়ার কৃষক জাদু মিয়া বলেন, দশ দোন জমিত প্রতিবারে আমন আবাদ করি। এবার তো সময়মত ঝড়ির দেখা নাই। তবুও আমন চারা রোপনের বীজতলা তৈয়ার করা হওচে এলা আল্লাহ ভরসা। ঝড়ি যদি হয় ভাল নাহলেতো ঘরের টাকা খরচ করি পোষপার নায়।

এদিকে রংপুরের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ১৬ জুলাই থেকে ২১ পর্যন্ত টানা বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

গংগাচড়ায় হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে পুলিশ #হত্যাকারীদের সাথে পুলিশ ও ফরেনসিক ডাক্তার আয়শা পারভীনের যোগসাজশ #প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে হত্যাকারীরা

দেখা নেই বৃষ্টির , আমন রোপনে দুশ্চিন্তায় রংপুরের কৃষক

প্রকাশিত ০৭:৩৪:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর : আষাঢ়ের রীতিমতো কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা না পেলেও আমন রোপণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা। প্রকৃতির আশীবার্দ বৃষ্টির উপর নির্ভর করে আবাদ হওয়া আমন ধানের বীজতলা তৈরি করছেন তারা। রংপুর অঞ্চলে আমন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও শ্রমিকরা। কেউ সেচ দিচ্ছেন আবার কেউবা জমি তৈরিতে ফুসরত পাচ্ছেন না। কৃষি বিভাগের পরামর্শে পুষ্ট চারা পেতে আমন বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত এই অঞ্চলের কৃষকরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের ব্যস্ততা। সেচ দেয়া নিয়েতারা বলছেন,আমন ধান আবাদ করা হয় কম খরচে শুধুমাত্র আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির উপর নির্ভর করে। বৃষ্টির পানিতে খরচ অনেক কম হয়, লাভবান হওয়া যায় আমন ধানে। যদিও এবার আষাঢ়ের শুরুর থেকে শেষের দিকেও বৃষ্টির দেখা না মিললেও বীজতলা তৈরিতে থেমে নেই তারা। লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে প্রতিনিয়ত শ্রম দিচ্ছেন বীজতলা তৈরিতে। লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন বীজতলায়। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা না পেলে সেচে ভর্তুকি দিয়ে আমান আবাদে ব্যয় বেশি তাদের।

রংপুর কৃষি সম্প্রদায়ণ অধিদপ্তরের তথ্য সূত্রে, রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৬ লাখ ২০ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রংপুরে ১ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর, গাইবান্ধায় ১ লাখ ৩৩হাজার ৯৪০ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ১ লাখ ২০ হাজার ৫০০ হেক্টর, লালমনিরহাটে ৮৬হাজার হেক্টর এবং নীলফামারীতে ১ লাখ ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে।

এদিকে রংপুরের জুম্মাপাড়ার কৃষক রহিজ মিয়া বলেন, হামরা আবাদ সুবাদ করিয়া প্যাট বাঁচাই। বৃষ্টির দিক তাকেয়া আমন ধান করা খায়। এলাও বৃষ্টি তেমন হয় নাই, কিন্তু আড়াই দোন জমির জইনতে বীজতলা তৈরি করা হওছে বাকিটা আল্লাহর উপর। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমন ধানের বীজতলার যত্ন নেওয়া। কয়দিন পর হাতে রোপনের জইনতে আবার পরেও বৃষ্টির পানির খুব দরকার হইবে। নাইলে নিজের ঘরের থাকি সেচ দিয়া পোষবার নায়। তবুও করার কিছু নাই, হারা আবাদ করা মানুষ প্যাটের জইনতে লোকসান হইলেও করার নাগবে।

রংপুরের বোতলা পাড়ার কৃষক জাদু মিয়া বলেন, দশ দোন জমিত প্রতিবারে আমন আবাদ করি। এবার তো সময়মত ঝড়ির দেখা নাই। তবুও আমন চারা রোপনের বীজতলা তৈয়ার করা হওচে এলা আল্লাহ ভরসা। ঝড়ি যদি হয় ভাল নাহলেতো ঘরের টাকা খরচ করি পোষপার নায়।

এদিকে রংপুরের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ১৬ জুলাই থেকে ২১ পর্যন্ত টানা বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে।