০৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারেক রহমান : আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসুরী

  • প্রকাশিত ১০:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫
  • ৫৬ বার দেখা হয়েছে

অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এক দীর্ঘ এবং লড়াইয়ের ইতিহাস, যেখানে একে একে আসছে বিপ্লব, আন্দোলন, সংগ্রাম, এবং অটল বিশ্বাস। প্রতিটি মুহূর্তে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে দেশের জনগণ, যেখানে তাঁদের নেতৃত্বে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকজন বিশিষ্ট নেতা, যাদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নাম এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো গাঢ়ভাবে খচিত।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাস কখনো মসৃণ ছিল না। একদিকে সামরিক শাসন, অন্যদিকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা, এবং এর মাঝে দেশের রাজনীতির এক কঠিন সংগ্রাম। এর মাঝে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে এক অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে উঠেছে, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শুধুমাত্র সুরক্ষিত করেনি, বরং তা নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করেছে।

বেগম খালেদা জিয়া শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের এক অটল প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, বরং গণতন্ত্রের এক শক্তিশালী আন্দোলনে পরিণত হয়। খালেদা জিয়ার শাসনকাল ছিল বাংলাদেশে এক অন্ধকার সময়ের প্রতিচ্ছবি, যেখানে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি নিজের শক্তি এবং সাহস দিয়ে জনগণের জন্য একটি মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক অনিবার্য সংগ্রামে রূপ নিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার নাম এক শৌর্যগাথার মতো। তিনি এক দমনমূলক শাসন ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়ে তা পরাজিত করেছিলেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানকে ইতিহাস কখনো ভুলবে না। যখন একনায়কতন্ত্র, দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন দেশকে গ্রাস করছিল, খালেদা জিয়া জনগণের পক্ষ থেকে সেই অন্ধকার থেকে মুক্তির একটি আলো জ্বালিয়েছিলেন।

তারেক রহমান, যিনি শুধু খালেদা জিয়ার পুত্র নন, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক যুগান্তকারী নেতা, তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি এক নতুন শক্তি অর্জন করেছে। তারেক রহমানের রাজনীতিতে প্রবেশ একটি বিপ্লবী মুহূর্তের সূচনা ছিল। তার উদ্যম, নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক মনন দেশে নতুনভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য উৎসাহ জোগায়। তিনি কোন রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নয়, বরং জনগণের জন্য রাজনীতি করতে গিয়ে নতুন দিশা দেখিয়েছেন।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে, বিএনপি এক সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশে এক নতুন বিপ্লবের শুরু করেছে। তার শৃঙ্খলা, সংগঠন এবং সাহসিকতা তাঁকে দেশের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি যেভাবে ছাত্রসমাজকে একত্রিত করেছেন, তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য এক জাগরণের সূচনা করেছেন, তা অনস্বীকার্য। তিনি বিএনপির কার্যক্রমে একটি নতুন প্রাণ ঢালেন, যেখানে জনগণের অধিকার এবং তাদের মুক্তির জন্য প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল সুদৃঢ় এবং নিরলস।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে, গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ছাত্র আন্দোলন, জনগণের মুক্তি, এবং একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে একটি নতুন দিশা দেখিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্ব ছিল সাহসী, দৃঢ়, এবং অটল, যা দেশের জনগণের মনে এক নতুন আশার সৃষ্টি করেছে।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিপ্লবী মুহূর্ত সৃষ্টি হয়। কোটা সংস্কার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্রসমাজ পথে নেমে আসে। তবে এই আন্দোলন ছিল কেবল ছাত্রদের নয়, এটি ছিল দেশের প্রতিটি নাগরিকের আন্দোলন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে, ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে গণঅভ্যুত্থান শুরু করে, যার ফলে দেশের স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে।

গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক বিশাল মাইলফলক। এখানে তারেক রহমানের ভূমিকা ছিল অসীম গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ভিডিও বার্তা, বক্তব্য এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা দেশবাসীকে একটি ঐতিহাসিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করেছে। ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে, তাঁদের অধিকার এবং গণতন্ত্রের জন্য এক অনবদ্য সংগ্রামে অংশ নিয়েছিল। এই সংগ্রামটি ছিল, শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, এটি ছিল একটি আদর্শিক যুদ্ধ—এটি ছিল জনগণের জন্য, দেশের জন্য এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য।

এই অভ্যুত্থান ছিল শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ, যেখানে ছাত্র-জনতা নিজেদের মুক্তির জন্য একতাবদ্ধ হয়ে ওঠে এবং গণতন্ত্রের প্রতীকে বিশ্বাস স্থাপন করে। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংগ্রাম নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গণতন্ত্রের পক্ষে একটি মহান দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সংগ্রাম বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক বিপ্লবী অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। খালেদা জিয়া যেভাবে গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল আস্থা রেখেছিলেন, তারেক রহমানও একইভাবে তার মা’র পথে চলতে গিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার এক অটল সংকল্প নিয়ে কাজ করেছেন।

এটি একটি চলমান সংগ্রাম, যা শুধুমাত্র একদিনের না। বাংলাদেশের জনগণের সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ। তবে, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে সংগ্রামী ঐক্য এবং রাজনৈতিক শক্তির ভিত্তি তৈরি হয়েছে, তা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।

এই দীর্ঘ পথচলায়, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এবং বাংলাদেশের জনগণ এক বিপ্লবী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। আজ, যখন দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিকে তাকানো হয়, তখন সবার মনে এক দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে যে, এই সংগ্রামের প্রতিটি পদক্ষেপ গণতন্ত্রের পথে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।

এক নতুন সংগ্রাম, যেখানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সংগ্রাম শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি একটি আদর্শিক বিপ্লব। বাংলাদেশের ভবিষ্যত এই সংগ্রামের ধারায় গড়বে এবং গণতন্ত্রের পথেই দেশের অগ্রগতি হবে।

লেখক : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী, মানবতন্ত্র (হোমোক্রেসি) তত্ত্বের প্রবর্তক, কবি ও সমাজবিজ্ঞানী।

Tag :
জনপ্রিয়

তারেক রহমান : আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসুরী

তারেক রহমান : আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসুরী

প্রকাশিত ১০:৩৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস এক দীর্ঘ এবং লড়াইয়ের ইতিহাস, যেখানে একে একে আসছে বিপ্লব, আন্দোলন, সংগ্রাম, এবং অটল বিশ্বাস। প্রতিটি মুহূর্তে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে দেশের জনগণ, যেখানে তাঁদের নেতৃত্বে দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েকজন বিশিষ্ট নেতা, যাদের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নাম এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো গাঢ়ভাবে খচিত।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ইতিহাস কখনো মসৃণ ছিল না। একদিকে সামরিক শাসন, অন্যদিকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা, এবং এর মাঝে দেশের রাজনীতির এক কঠিন সংগ্রাম। এর মাঝে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে এক অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন গড়ে উঠেছে, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শুধুমাত্র সুরক্ষিত করেনি, বরং তা নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করেছে।

বেগম খালেদা জিয়া শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের এক অটল প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, বরং গণতন্ত্রের এক শক্তিশালী আন্দোলনে পরিণত হয়। খালেদা জিয়ার শাসনকাল ছিল বাংলাদেশে এক অন্ধকার সময়ের প্রতিচ্ছবি, যেখানে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি নিজের শক্তি এবং সাহস দিয়ে জনগণের জন্য একটি মুক্ত এবং গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এক অনিবার্য সংগ্রামে রূপ নিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার নাম এক শৌর্যগাথার মতো। তিনি এক দমনমূলক শাসন ব্যবস্থার মুখোমুখি হয়ে তা পরাজিত করেছিলেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানকে ইতিহাস কখনো ভুলবে না। যখন একনায়কতন্ত্র, দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন দেশকে গ্রাস করছিল, খালেদা জিয়া জনগণের পক্ষ থেকে সেই অন্ধকার থেকে মুক্তির একটি আলো জ্বালিয়েছিলেন।

তারেক রহমান, যিনি শুধু খালেদা জিয়ার পুত্র নন, বরং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক যুগান্তকারী নেতা, তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি এক নতুন শক্তি অর্জন করেছে। তারেক রহমানের রাজনীতিতে প্রবেশ একটি বিপ্লবী মুহূর্তের সূচনা ছিল। তার উদ্যম, নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক মনন দেশে নতুনভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য উৎসাহ জোগায়। তিনি কোন রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য নয়, বরং জনগণের জন্য রাজনীতি করতে গিয়ে নতুন দিশা দেখিয়েছেন।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে, বিএনপি এক সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দেশে এক নতুন বিপ্লবের শুরু করেছে। তার শৃঙ্খলা, সংগঠন এবং সাহসিকতা তাঁকে দেশের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি যেভাবে ছাত্রসমাজকে একত্রিত করেছেন, তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য এক জাগরণের সূচনা করেছেন, তা অনস্বীকার্য। তিনি বিএনপির কার্যক্রমে একটি নতুন প্রাণ ঢালেন, যেখানে জনগণের অধিকার এবং তাদের মুক্তির জন্য প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল সুদৃঢ় এবং নিরলস।

তারেক রহমানের নেতৃত্বে, গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ছাত্র আন্দোলন, জনগণের মুক্তি, এবং একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে একটি নতুন দিশা দেখিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্ব ছিল সাহসী, দৃঢ়, এবং অটল, যা দেশের জনগণের মনে এক নতুন আশার সৃষ্টি করেছে।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিপ্লবী মুহূর্ত সৃষ্টি হয়। কোটা সংস্কার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্রসমাজ পথে নেমে আসে। তবে এই আন্দোলন ছিল কেবল ছাত্রদের নয়, এটি ছিল দেশের প্রতিটি নাগরিকের আন্দোলন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে, ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে গণঅভ্যুত্থান শুরু করে, যার ফলে দেশের স্বৈরাচারী শাসনের পতন ঘটে।

গণঅভ্যুত্থান ছিল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক বিশাল মাইলফলক। এখানে তারেক রহমানের ভূমিকা ছিল অসীম গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর ভিডিও বার্তা, বক্তব্য এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষমতা দেশবাসীকে একটি ঐতিহাসিক লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করেছে। ছাত্র-জনতা একত্রিত হয়ে, তাঁদের অধিকার এবং গণতন্ত্রের জন্য এক অনবদ্য সংগ্রামে অংশ নিয়েছিল। এই সংগ্রামটি ছিল, শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, এটি ছিল একটি আদর্শিক যুদ্ধ—এটি ছিল জনগণের জন্য, দেশের জন্য এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য।

এই অভ্যুত্থান ছিল শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ, যেখানে ছাত্র-জনতা নিজেদের মুক্তির জন্য একতাবদ্ধ হয়ে ওঠে এবং গণতন্ত্রের প্রতীকে বিশ্বাস স্থাপন করে। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সংগ্রাম নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গণতন্ত্রের পক্ষে একটি মহান দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সংগ্রাম বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক বিপ্লবী অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। খালেদা জিয়া যেভাবে গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল আস্থা রেখেছিলেন, তারেক রহমানও একইভাবে তার মা’র পথে চলতে গিয়ে গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার এক অটল সংকল্প নিয়ে কাজ করেছেন।

এটি একটি চলমান সংগ্রাম, যা শুধুমাত্র একদিনের না। বাংলাদেশের জনগণের সামনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ। তবে, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে যে সংগ্রামী ঐক্য এবং রাজনৈতিক শক্তির ভিত্তি তৈরি হয়েছে, তা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করবে।

এই দীর্ঘ পথচলায়, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এবং বাংলাদেশের জনগণ এক বিপ্লবী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। আজ, যখন দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিকে তাকানো হয়, তখন সবার মনে এক দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে যে, এই সংগ্রামের প্রতিটি পদক্ষেপ গণতন্ত্রের পথে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।

এক নতুন সংগ্রাম, যেখানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের সংগ্রাম শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি একটি আদর্শিক বিপ্লব। বাংলাদেশের ভবিষ্যত এই সংগ্রামের ধারায় গড়বে এবং গণতন্ত্রের পথেই দেশের অগ্রগতি হবে।

লেখক : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী, মানবতন্ত্র (হোমোক্রেসি) তত্ত্বের প্রবর্তক, কবি ও সমাজবিজ্ঞানী।