এসআই-এর বিরুদ্ধে আব্দুল্লাহ আল মামুন, বৃহত্তর নোয়াখালীটাকার বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ।
নোয়াখালীর চরজব্বর থানায় পরোয়ানার এক আসামিকে ১৬ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার বিকেলে চরজুবলী ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ওয়াসিম মিয়াকে আটক করে এ টাকা আদায় করেন এসআই রফিক।
আসামি ওয়াছিম মিয়া (৫৫) চরজুবলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। তার স্থানীয় বাজারে হার্ডওয়্যারের দোকান রয়েছে।
ভুক্তভোগীর মেয়ের জামাই আবদুল মন্নান বলেন, আমার শ্বশুরের নামে পল্লী বিদ্যুতের ১৯ হাজার ৪৫৬ টাকা বিল বকেয়া ছিল। বিদ্যুৎ অফিস এ টাকার জন্য মামলা দায়ের করে। আমার শ্বশুর ওই বিল পরিশোধ করে মামলা তুলে নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করে।
এদিকে ওই মামলার পরোয়ানা নিয়ে আমার শ্বশুর ওয়াছিম মিয়াকে গ্রেফতার করতে যান এসআই রফিক। পরে তিনি সব শুনে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। অন্যথায় আসামিকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নেওয়ার ভয় দেখান। পরে ১৬ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে এসআই রফিক থানায় ফেরত যান।
তবে ওয়াছিম মিয়ার স্ত্রী নাসিমা বেগম বলেন, আগের দিন টাকা নেওয়ার পর শনিবার রাতেও চরজব্বর থানার চার পুলিশ বাড়িতে এসে ওয়াছিম মিয়ার খোঁজ করেন। তিনি বাড়িতে নেই বলার পরও ঘরে তন্নতন্ন করে তল্লাশি করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, পরোয়ানা পাওয়ার পর এক সোর্সের মাধ্যমে আসামি ওয়াছিমের খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেছি। পরে নিউজ না করার জন্য বিভিন্নভাবে তদবিরও করেন তিনি।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কাওছার আলম ভুইঁয়া বলেন, থানার পরিদর্শকের (তদন্ত) কাছে ভুক্তভোগীরা মৌখিক অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকলে এসআই এবং সোর্স সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।