০৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এম. মসিউর রহমান মিলন :

জায়লস্করে পুলিশের চাঁদা আদায় করেছে মাটিদস্যুরা

  • প্রকাশিত ০৮:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮ বার দেখা হয়েছে

৬ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৬টা জায়লস্করে একটি এনজিও অফিসে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের জন্য ৪০ হাজার টাকা আদায় করেছে আজাদ ও নেজাম নামে দুই মাটিদস্যু। এরা জায়লস্করের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বলে পরিচিত। এদের বিরুদ্ধে রয়েছে ডজনখানেক খুন, রাহাজানি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, গরু চুরি, ছাগল চুরি সহ নানা অভিযোগের মামলা। এই দুই জন সন্ত্রাসীদের এলাকায় ডাকাত নেজাম ও ডাকাত আজাদ বলে জানে।
দাগনভূঞা উপজেলাধীন উত্তর জায়লস্কর গ্রামের মুকবুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জাফর তার মালিকীয় দখলীয় মৎস্য খামার হইতে মাটি কাটার জন্য দাগনভূঞার ইউএনও নিকট হইতে লিখিত অনুমতি নেয়। সে হিসেবে বিগত ৫ এপ্রিল রাতে জাফর উক্ত মৎস্য খামার হইতে মাটি কাটার উদ্যোগ নিলে মাটি পরিবহনের ট্রাক খামারের নরম মাটির কাঁদায় বার বার আটকে যায়। এতে সে ট্রার্গেট মোতাবেক মাটি পরিবহন করতে পারেননি। সে মাত্র ৫১ হাজার টাকার মাটি বিক্রি করতে সফল হয়। পরের দিন ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী আজাদ ও নেজাম জায়লস্কর বাজারে জাফরের এনজিও’র অফিসে জাফরের উপর চড়াও হয়। এরা পুলিশের চাঁদা, সন্ত্রাসী চাঁদা ও পরিবহন খরচ বাবত ৫০ হাজার টাকা দাবী করে জাফরের কাছে। টাকা না দিলে জাফরকে মারধরের ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওরা। পরে অনেক জোর জবরদস্তি ও দরকষাকষির মাধ্যমে সর্বশেষ ৪০ হাজার টাকা আদায় করে নিয়েছে এ সন্ত্রাসীরা। অত্র প্রতিবেদক ও সাংবাদিক আরিফ উদ্দিনের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিকরা পুলিশের চাঁদা নিয়ে প্রশ্ন তুললে পুলিশকে এ বাবতে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দেয়া হয়েছে বলে দাবী করেছে আজাদ ও নেজাম। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী জাফরের সাথে কথা বললে ৫ এপ্রিল রাতেই এরা ১০ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে বলে দাবী করলেন জাফর। ঘটনার সময় অত্র প্রতিবেদক দাগনভূঞা থানার ওসিকে ঘটনাটি জানালে তিনি থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।

Tag :
জনপ্রিয়

দুই লাখ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ! বগুড়া শেরপুর থানার এসআই জাহাঙ্গীর ক্লোসড

এম. মসিউর রহমান মিলন :

জায়লস্করে পুলিশের চাঁদা আদায় করেছে মাটিদস্যুরা

প্রকাশিত ০৮:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

৬ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৬টা জায়লস্করে একটি এনজিও অফিসে প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের জন্য ৪০ হাজার টাকা আদায় করেছে আজাদ ও নেজাম নামে দুই মাটিদস্যু। এরা জায়লস্করের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বলে পরিচিত। এদের বিরুদ্ধে রয়েছে ডজনখানেক খুন, রাহাজানি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, গরু চুরি, ছাগল চুরি সহ নানা অভিযোগের মামলা। এই দুই জন সন্ত্রাসীদের এলাকায় ডাকাত নেজাম ও ডাকাত আজাদ বলে জানে।
দাগনভূঞা উপজেলাধীন উত্তর জায়লস্কর গ্রামের মুকবুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জাফর তার মালিকীয় দখলীয় মৎস্য খামার হইতে মাটি কাটার জন্য দাগনভূঞার ইউএনও নিকট হইতে লিখিত অনুমতি নেয়। সে হিসেবে বিগত ৫ এপ্রিল রাতে জাফর উক্ত মৎস্য খামার হইতে মাটি কাটার উদ্যোগ নিলে মাটি পরিবহনের ট্রাক খামারের নরম মাটির কাঁদায় বার বার আটকে যায়। এতে সে ট্রার্গেট মোতাবেক মাটি পরিবহন করতে পারেননি। সে মাত্র ৫১ হাজার টাকার মাটি বিক্রি করতে সফল হয়। পরের দিন ৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় সন্ত্রাসী আজাদ ও নেজাম জায়লস্কর বাজারে জাফরের এনজিও’র অফিসে জাফরের উপর চড়াও হয়। এরা পুলিশের চাঁদা, সন্ত্রাসী চাঁদা ও পরিবহন খরচ বাবত ৫০ হাজার টাকা দাবী করে জাফরের কাছে। টাকা না দিলে জাফরকে মারধরের ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় ওরা। পরে অনেক জোর জবরদস্তি ও দরকষাকষির মাধ্যমে সর্বশেষ ৪০ হাজার টাকা আদায় করে নিয়েছে এ সন্ত্রাসীরা। অত্র প্রতিবেদক ও সাংবাদিক আরিফ উদ্দিনের উপস্থিতিতে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাংবাদিকরা পুলিশের চাঁদা নিয়ে প্রশ্ন তুললে পুলিশকে এ বাবতে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দেয়া হয়েছে বলে দাবী করেছে আজাদ ও নেজাম। এ বিষয়ে ভূক্তভোগী জাফরের সাথে কথা বললে ৫ এপ্রিল রাতেই এরা ১০ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছে বলে দাবী করলেন জাফর। ঘটনার সময় অত্র প্রতিবেদক দাগনভূঞা থানার ওসিকে ঘটনাটি জানালে তিনি থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন।