১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনসমুদ্রে পরিণত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

  • প্রকাশিত ০৫:১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’র আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’, ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে পুরো সোহরাওয়ার্দী‌ ময়দান প্রকম্পিত হচ্ছে।

চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা। অনেকের হাতে রয়েছে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’- স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড।

কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী, জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকে।

বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ।

উপস্থিত হয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল করিম ও দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্টের আয়োজনে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ঘোষণাপত্রে ইসরাইলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানানো হয়।

একই সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ এর পেছনের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানান সমাবেশে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যৌথবাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায়।

কর্মসূচির আয়োজকরা জানান, নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত গড়ে তুলতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

জনসমুদ্রে পরিণত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

প্রকাশিত ০৫:১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ‘মার্চ ফর গাজা’র আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শনিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’, ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ স্লোগানে পুরো সোহরাওয়ার্দী‌ ময়দান প্রকম্পিত হচ্ছে।

চারপাশে শোভা পাচ্ছে লাল-সবুজ আর সাদা-কালো রঙের পতাকা। অনেকের হাতে রয়েছে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো’, ‘গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’- স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড।

কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী, জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকে।

বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আব্দুস সালাম আজাদ।

উপস্থিত হয়েছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল করিম ও দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্টের আয়োজনে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে ঘোষণাপত্র পাঠ করেছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ঘোষণাপত্রে ইসরাইলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানানো হয়।

একই সঙ্গে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ এর পেছনের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানান সমাবেশে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যৌথবাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায়।

কর্মসূচির আয়োজকরা জানান, নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত গড়ে তুলতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর