০৭:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ আমজাদ হোসেন,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে ফুটওভার ব্রীজের সিঁড়ি দুই টুকরো হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

  • প্রকাশিত ০৩:৫৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
  • ১৮ বার দেখা হয়েছে

চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় আর আর টেক্সটাইল এলাকায় মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ফুট ওভার ব্রিজের সিঁড়ি দুই টুকরো হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। আর আর টেক্সটাইল এলাকায় দুই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে একটি হলো আর আর টেক্সটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্যটি আর আর টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয় এই দুটি বিদ্যালয়ে রয়েছে প্রায় ১৪০০ এর মত শিক্ষার্থী। আর এই ব্রিজটি করা হয় মূলত এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। এই ব্রিজটি শুভ উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ১৮ই অক্টোবর। যেন শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারে কোন প্রকার ঝুঁকি না থাকে। কেননা এই বিদ্যালয়টি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে যে মহাসড়কে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ গাড়ি চলাচল করে। হঠাৎ একটি মালবাহী ট্রাক এসে এই ফুটওভার ব্রীজের পশ্চিম পাশে ধাক্কা দেয় ফলে পশ্চিম পাশের সিঁড়িটি দুই টুকরো হয়ে পড়ে আর তাই এখন এই ফুটওভার ব্রিজটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আর তাই এখন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের।

আর আর টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ফারহানা রহমান দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার প্রতিনিধিকে বলেন, গত ১৬ই মে ২০২৫ইং ভোর ০৫:৪০ মিনিটের সময় একটি মালবাহী ট্রাক এসে ধাক্কা দেয় এই ফুটওভার ব্রীজটির পশ্চিম পাশে ফলে পশ্চিম পাশের সিঁড়িটি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে। তিনি সাথে সাথে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসির নিকট এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী অফিসারের নিকট ব্রীজটির ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুই জায়গায় দুটি আবেদন করেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার আশ্বাস এবং সুফল পাননি বলে তিনি জানান। তাই তিনি এখন অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা পারাপারের নিরাপত্তার জন্য তিনি দুজন লোক নিয়োগ করেন।তবে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় রাস্তা পারাপারে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারছেন না বলে তিনি আমাদের বলেন।

পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এই বিষয়ে অনেক ক্ষুব্ধ হয়ে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার প্রতিনিধিকে বলেন, তাদের ছেলে মেয়েদের এখন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে তাই সরকার যেন এই ফুটওভার ব্রীজটি যেন অতি দ্রুত সংস্কার করে দেন।

আর আর টেক্সটাইল এলাকায় এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে দেশের স্বুনামধন্য দুইটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা এর মধ্যে একটি হলো জিপিএইস ইস্পাত এবং ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এ দুটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি এই শ্রমিকরাও তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য এই ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করত। সড়ক দুর্ঘটনায় এই ব্রীজটির সিঁড়ি দুই টুকরো হয়ে যাওয়ায় তারা এখন বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। তাই এই দুই কোম্পানির শ্রমিকরা সরকারকে অতি দ্রুত ফুটওভার ব্রীজটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কুমিরা সড়ক শাখার নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিম উদ্দিন দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার প্রতিনিধিকে বলেন, এই বিষয়ে তিনি বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসির মাধ্যমে পরিবহনের মালিকের সাথে কথা বলেন এবং পরিবহন মালিক এই ব্রীজটি অতি দ্রুত সংস্কার করে দিবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।

Tag :
জনপ্রিয়

শ্রীলঙ্কা তে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাজিক ফ্যাস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি, উপস্থাপক হিসেবে যোগ দেন সংগীত শিল্পী রবিন আহমেদ।

মোঃ আমজাদ হোসেন,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :

চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডে ফুটওভার ব্রীজের সিঁড়ি দুই টুকরো হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার

প্রকাশিত ০৩:৫৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় আর আর টেক্সটাইল এলাকায় মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় ফুট ওভার ব্রিজের সিঁড়ি দুই টুকরো হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। আর আর টেক্সটাইল এলাকায় দুই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে একটি হলো আর আর টেক্সটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অন্যটি আর আর টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয় এই দুটি বিদ্যালয়ে রয়েছে প্রায় ১৪০০ এর মত শিক্ষার্থী। আর এই ব্রিজটি করা হয় মূলত এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র করে। এই ব্রিজটি শুভ উদ্বোধন করা হয় ২০২৩ সালের ১৮ই অক্টোবর। যেন শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপারে কোন প্রকার ঝুঁকি না থাকে। কেননা এই বিদ্যালয়টি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে যে মহাসড়কে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ গাড়ি চলাচল করে। হঠাৎ একটি মালবাহী ট্রাক এসে এই ফুটওভার ব্রীজের পশ্চিম পাশে ধাক্কা দেয় ফলে পশ্চিম পাশের সিঁড়িটি দুই টুকরো হয়ে পড়ে আর তাই এখন এই ফুটওভার ব্রিজটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আর তাই এখন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের।

আর আর টেক্সটাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ফারহানা রহমান দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার প্রতিনিধিকে বলেন, গত ১৬ই মে ২০২৫ইং ভোর ০৫:৪০ মিনিটের সময় একটি মালবাহী ট্রাক এসে ধাক্কা দেয় এই ফুটওভার ব্রীজটির পশ্চিম পাশে ফলে পশ্চিম পাশের সিঁড়িটি সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়ে। তিনি সাথে সাথে বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসির নিকট এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী অফিসারের নিকট ব্রীজটির ক্ষতিপূরণ চেয়ে দুই জায়গায় দুটি আবেদন করেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার আশ্বাস এবং সুফল পাননি বলে তিনি জানান। তাই তিনি এখন অনেক দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা পারাপারের নিরাপত্তার জন্য তিনি দুজন লোক নিয়োগ করেন।তবে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় রাস্তা পারাপারে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারছেন না বলে তিনি আমাদের বলেন।

পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এই বিষয়ে অনেক ক্ষুব্ধ হয়ে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার প্রতিনিধিকে বলেন, তাদের ছেলে মেয়েদের এখন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে তাই সরকার যেন এই ফুটওভার ব্রীজটি যেন অতি দ্রুত সংস্কার করে দেন।

আর আর টেক্সটাইল এলাকায় এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে দেশের স্বুনামধন্য দুইটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা এর মধ্যে একটি হলো জিপিএইস ইস্পাত এবং ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এ দুটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি এই শ্রমিকরাও তাদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য এই ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করত। সড়ক দুর্ঘটনায় এই ব্রীজটির সিঁড়ি দুই টুকরো হয়ে যাওয়ায় তারা এখন বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হচ্ছে। তাই এই দুই কোম্পানির শ্রমিকরা সরকারকে অতি দ্রুত ফুটওভার ব্রীজটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কুমিরা সড়ক শাখার নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিম উদ্দিন দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রার প্রতিনিধিকে বলেন, এই বিষয়ে তিনি বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসির মাধ্যমে পরিবহনের মালিকের সাথে কথা বলেন এবং পরিবহন মালিক এই ব্রীজটি অতি দ্রুত সংস্কার করে দিবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।