০৮:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রাজিয়া সুলতানাঃ

চট্টগ্রাম গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালের খুঁটির জোর কোথায় – ১০ বছরের অধিক সময় একই স্থানে পদায়িত

  • প্রকাশিত ০৩:৪০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • ১৮ বার দেখা হয়েছে

২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলেও দেশের গণপূর্ত অধিদপ্তর গুলোকে আওয়ামী দোসর থেকে নিয়ন্ত্রন মুক্ত করা যায়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের দশ মাস পেরিয়ে গেলেও সারা দেশের মতো এখনো আওয়ামী নিয়ন্ত্রনমুক্ত হয়নি চট্টগ্রাম গণপূর্তের ই/এম বিভাগ ১। সেখানে এখনো গত ১৫ বছরের আওয়ামী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ঠিকাদারদের মধ্যেই ভাগ বাটোয়ারা হচ্ছে সরকারের সকল প্রকল্পের কাজ। আর এসবের সকল কুকর্মের হোতা নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল। সহকর্মী ও সাধারণ ঠিকাদারদের মাঝে দাপটের সাথে বলে বেড়ান, উপদেষ্টা আমলারা সব আমার পকেটে। পারলে আমাকে এখান থেকে সরাক দেখি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/ এম বিভাগ ১ এ টানা ১০ বছরের অধিক সময় কাজ করে আসছেন বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল। ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেলেও তাদের দোসর কর্তৃক নিয়োগকৃত ও আজ্ঞাবহ প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালকে গত দশ মাসেও তার জায়গা থেকে সরানো যায়নি। এখনো তিনি চট্টগ্রামে আওয়ামী মদদপুষ্ট ঠিকাদারদের দিয়ে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন তার দুর্নীতি।

জনমনে প্রশ্ন, তার খুঁটির জোর কি শেখ হাসিনার চাইতেও বেশি? নইলে এখনো তিনি কিভাবে স্বপদে বহাল থেকে দেদারসে তার দুর্নীতির কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন? নাকি ভোল পাল্টে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা ও আমলাদের ম্যানেজ করে নিরবে ঘাঁপটি মেরে বসে আছেন? শুধু তাই নয়, কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায়শই তিনি নিজ কার্যালয়ে বসে জুলাই যোদ্ধাদের তীব্র গালমন্দ করেন।

চট্টগ্রামে গণপূর্ত বিভাগে যোগ দিয়েই পতিত স্বৈরাচার সরকারের কুমিল্লা আসনের এমপি আ.ক.ম. বাহার উদ্দিনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল। সেই সখ্যতার সুবাদে বাহারের বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজ নিজেই তদারকি শুরু করেন। পুরষ্কার স্বরূপ পতিত অবৈধ এম.পি. বাহার উদ্দিনের সুপারিশে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদায়িত হন। চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগেই সহকারি প্রকৌশলী থেকে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং অবশেষে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদায়িত হন তিনি। একই বিভাগে কিভাবে পরপর দুটো পদোন্নতি লাভ করে তিনি তার দুর্নিতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তা এক বিরাট প্রশ্ন।

বঞ্চিত যোগ্য ঠিকাদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ আমলে দুর্নীতির যে মহোৎসব চলেছে, সে সময়টায় না হয় তার পক্ষে এটা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও কিভাবে তিনি বহাল থেকে পূর্বের মতোই তার পছন্দমত আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদারদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ বন্টন করছেন তা নিরূপণ করা অতীব জরুরী।

দীর্ঘ সময় একই জায়গায় কাজ করার ফলে তার সাথে অতীত স্বৈরাচার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ঠিকাদারদের সাথে ব্যাপক সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এসব ফ্যাসিস্টের দোসর ও সন্ত্রাসী ঠিকাদারদের মধ্যে কাজ বন্টন হওয়ার কারণে গত ১৫ বছরের বঞ্চিত যোগ্য ঠিকাদাররা কাজ না পেয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দিনতিপাত করছেন।

পতিত স্বৈরাচারী সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল অস্ট্রেলিয়াতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে লিয়েনে স্থায়ী বসবাস ও পাশাপাশি কাজ করার জন্য আবেদনও করেন। লিয়েন হতে এসে আবার পুনরায় চট্টগ্রামে পোষ্টিং বাগিয়ে নিয়েছেন। নিজ চেম্বারে বসে জুলাই যোদ্ধাদের নিয়মিত তিরষ্কার মূলক কথা বলে থাকেন। তাছাড়া এখন পর্যন্ত স্বৈরাচার আমলের আশীর্বাদপুষ্ট ঠিকাদারদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারী আবাসিক ভবন নির্মান প্রকল্পে স্বৈরাচার এর দোসর পতিত কৃষিমন্ত্রী টাংগাইল-ধনবাড়ি-মধুপুর আসনের অবৈধ সাংসদ আব্দুর রাজ্জাকের পারিবারিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুরানী কন্সট্রাকশন এর যে সকল আইটেম এর মূল্য বাজার মূল্য হতে ১০ গুন বেশি দর ধরা হয়েছে, সে সকল আইটেম বাজার মূল্য যাচাই না করে এবং প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ৩/৪ গুন বেশি নেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে যে সকল আইটেম এর মূল্য কম টাকা দর ধরা হয়েছে সে সকল আইটেম এর কাজ না করিয়ে বিল হতে কর্তন করা হয়েছে। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমানে লাভবান হয়েছে এবং প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালকে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা প্রদান করেছে।

অন্যদিকে প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল বঞ্চিত যোগ্য ঠিকাদারদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যাবহার করছেন প্রতিনিয়ত। তাদের কাজে বিভিন্নভাবে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। তাদেরকে নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী একাধিক ঠিকাদার এই প্রতিবেদককে তাদের কষ্টের কথা জানান। ব্যাপক হতাশা প্রকাশ করে তারা বলেন, চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম বিভাগে এখনো পতিত হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও আরো কিছু সিনিয়র কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় সন্ত্রাসী ঠিকাদারদের সাথে মিলেমিশ কাজ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। প্রকল্পের টাকা চুরি করে নিজেরা আরাম আয়েশে জীবন যাপন করছে। আর আমরা গত ১৬-১৭ বছর কাজ না পেয়ে ব্যাপক নির্যাতনের মুখে কোনরকম বেঁচে আছি। আমাদের মতো রানিং ঠিকাদারদের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।

তারা আরো বলেন, আওয়ামী দোসর বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালকে এখান থেকে না সরালে একদিকে যেমন প্রকল্পের টাকা চুরি হয়ে দেশের ক্ষতি হবে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আরো বেশি করে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব আমলাদের কাছে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে আমাদের অনুরোধ চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম বিভাগের (১) নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালকে অনতিবিলম্বে বরখাস্ত করে তার দুর্নীতির তদন্তের ব্যবস্থা করা হোক।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম বিভাগ ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল এর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Tag :
জনপ্রিয়

গংগাচড়ায় হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে পুলিশ #হত্যাকারীদের সাথে পুলিশ ও ফরেনসিক ডাক্তার আয়শা পারভীনের যোগসাজশ #প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে হত্যাকারীরা

রাজিয়া সুলতানাঃ

চট্টগ্রাম গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালের খুঁটির জোর কোথায় – ১০ বছরের অধিক সময় একই স্থানে পদায়িত

প্রকাশিত ০৩:৪০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলেও দেশের গণপূর্ত অধিদপ্তর গুলোকে আওয়ামী দোসর থেকে নিয়ন্ত্রন মুক্ত করা যায়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের দশ মাস পেরিয়ে গেলেও সারা দেশের মতো এখনো আওয়ামী নিয়ন্ত্রনমুক্ত হয়নি চট্টগ্রাম গণপূর্তের ই/এম বিভাগ ১। সেখানে এখনো গত ১৫ বছরের আওয়ামী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী ঠিকাদারদের মধ্যেই ভাগ বাটোয়ারা হচ্ছে সরকারের সকল প্রকল্পের কাজ। আর এসবের সকল কুকর্মের হোতা নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল। সহকর্মী ও সাধারণ ঠিকাদারদের মাঝে দাপটের সাথে বলে বেড়ান, উপদেষ্টা আমলারা সব আমার পকেটে। পারলে আমাকে এখান থেকে সরাক দেখি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/ এম বিভাগ ১ এ টানা ১০ বছরের অধিক সময় কাজ করে আসছেন বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল। ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেলেও তাদের দোসর কর্তৃক নিয়োগকৃত ও আজ্ঞাবহ প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালকে গত দশ মাসেও তার জায়গা থেকে সরানো যায়নি। এখনো তিনি চট্টগ্রামে আওয়ামী মদদপুষ্ট ঠিকাদারদের দিয়ে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন তার দুর্নীতি।

জনমনে প্রশ্ন, তার খুঁটির জোর কি শেখ হাসিনার চাইতেও বেশি? নইলে এখনো তিনি কিভাবে স্বপদে বহাল থেকে দেদারসে তার দুর্নীতির কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন? নাকি ভোল পাল্টে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা ও আমলাদের ম্যানেজ করে নিরবে ঘাঁপটি মেরে বসে আছেন? শুধু তাই নয়, কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায়শই তিনি নিজ কার্যালয়ে বসে জুলাই যোদ্ধাদের তীব্র গালমন্দ করেন।

চট্টগ্রামে গণপূর্ত বিভাগে যোগ দিয়েই পতিত স্বৈরাচার সরকারের কুমিল্লা আসনের এমপি আ.ক.ম. বাহার উদ্দিনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল। সেই সখ্যতার সুবাদে বাহারের বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজ নিজেই তদারকি শুরু করেন। পুরষ্কার স্বরূপ পতিত অবৈধ এম.পি. বাহার উদ্দিনের সুপারিশে নির্বাহী প্রকৌশলী পদে পদায়িত হন। চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগেই সহকারি প্রকৌশলী থেকে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এবং অবশেষে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পদায়িত হন তিনি। একই বিভাগে কিভাবে পরপর দুটো পদোন্নতি লাভ করে তিনি তার দুর্নিতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন তা এক বিরাট প্রশ্ন।

বঞ্চিত যোগ্য ঠিকাদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রশ্ন, আওয়ামী লীগ আমলে দুর্নীতির যে মহোৎসব চলেছে, সে সময়টায় না হয় তার পক্ষে এটা করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও কিভাবে তিনি বহাল থেকে পূর্বের মতোই তার পছন্দমত আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদারদের মধ্যে প্রকল্পের কাজ বন্টন করছেন তা নিরূপণ করা অতীব জরুরী।

দীর্ঘ সময় একই জায়গায় কাজ করার ফলে তার সাথে অতীত স্বৈরাচার সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ঠিকাদারদের সাথে ব্যাপক সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। আর এসব ফ্যাসিস্টের দোসর ও সন্ত্রাসী ঠিকাদারদের মধ্যে কাজ বন্টন হওয়ার কারণে গত ১৫ বছরের বঞ্চিত যোগ্য ঠিকাদাররা কাজ না পেয়ে নিঃস্ব অবস্থায় দিনতিপাত করছেন।

পতিত স্বৈরাচারী সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল অস্ট্রেলিয়াতে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে লিয়েনে স্থায়ী বসবাস ও পাশাপাশি কাজ করার জন্য আবেদনও করেন। লিয়েন হতে এসে আবার পুনরায় চট্টগ্রামে পোষ্টিং বাগিয়ে নিয়েছেন। নিজ চেম্বারে বসে জুলাই যোদ্ধাদের নিয়মিত তিরষ্কার মূলক কথা বলে থাকেন। তাছাড়া এখন পর্যন্ত স্বৈরাচার আমলের আশীর্বাদপুষ্ট ঠিকাদারদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারী আবাসিক ভবন নির্মান প্রকল্পে স্বৈরাচার এর দোসর পতিত কৃষিমন্ত্রী টাংগাইল-ধনবাড়ি-মধুপুর আসনের অবৈধ সাংসদ আব্দুর রাজ্জাকের পারিবারিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নুরানী কন্সট্রাকশন এর যে সকল আইটেম এর মূল্য বাজার মূল্য হতে ১০ গুন বেশি দর ধরা হয়েছে, সে সকল আইটেম বাজার মূল্য যাচাই না করে এবং প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও ৩/৪ গুন বেশি নেওয়া হয়েছে। পক্ষান্তরে যে সকল আইটেম এর মূল্য কম টাকা দর ধরা হয়েছে সে সকল আইটেম এর কাজ না করিয়ে বিল হতে কর্তন করা হয়েছে। ফলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমানে লাভবান হয়েছে এবং প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালকে অবৈধভাবে আর্থিক সুবিধা প্রদান করেছে।

অন্যদিকে প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল বঞ্চিত যোগ্য ঠিকাদারদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যাবহার করছেন প্রতিনিয়ত। তাদের কাজে বিভিন্নভাবে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। তাদেরকে নানা ভাবে মানসিক নির্যাতন করে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী একাধিক ঠিকাদার এই প্রতিবেদককে তাদের কষ্টের কথা জানান। ব্যাপক হতাশা প্রকাশ করে তারা বলেন, চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম বিভাগে এখনো পতিত হাসিনা সরকারের মদদপুষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী ও আরো কিছু সিনিয়র কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় সন্ত্রাসী ঠিকাদারদের সাথে মিলেমিশ কাজ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। প্রকল্পের টাকা চুরি করে নিজেরা আরাম আয়েশে জীবন যাপন করছে। আর আমরা গত ১৬-১৭ বছর কাজ না পেয়ে ব্যাপক নির্যাতনের মুখে কোনরকম বেঁচে আছি। আমাদের মতো রানিং ঠিকাদারদের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে।

তারা আরো বলেন, আওয়ামী দোসর বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালকে এখান থেকে না সরালে একদিকে যেমন প্রকল্পের টাকা চুরি হয়ে দেশের ক্ষতি হবে, অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আরো বেশি করে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিব আমলাদের কাছে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে আমাদের অনুরোধ চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম বিভাগের (১) নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামালকে অনতিবিলম্বে বরখাস্ত করে তার দুর্নীতির তদন্তের ব্যবস্থা করা হোক।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম গণপূর্ত ই/এম বিভাগ ১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান ইবনে কামাল এর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।