০৪:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মনিরুজ্জামান মিন্টু :

গোবিন্দগঞ্জে মামলার আসামী গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত ০৬:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • ২১ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস, দখল ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে রবিউল ইসলাম খাজাসহ তাদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহিমাগঞ্জের আলিয়া কামিল মাদ্রাসা রোডের রাজুর মোড়ে সুজনের চায়ের দোকানে তিনি ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক চা পান করছিলেন। হঠাৎ রবিউল ইসলাম খাজার ছেলে অনিক সেখানে এসে উত্তেজনাকর আচরণ শুরু করে। অনিক তাকে উদ্দেশ্য করে অভিযোগ করে যে, তিনি নাকি খাজার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ইসমাইল হোসেন তার কথার সত্যতা যাচাই করতে অনুরোধ করলে অনিক রাগত কণ্ঠে তাকে হুমকি দিয়ে বলে, “তোর মামা আবু বক্কর সিদ্দিক তো তোর পাশে নাই, তোকে মেরে গরুর গোশত দিয়ে ভাত খাব।

এর কিছুক্ষণ পরেই অনিকসহ আরও ২/৩ জন ব্যক্তি এসে ইসমাইল হোসেনের উপর হামলা চালায়, যা স্থানীয় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও দৃশ্যমান। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে ঘটনার এখানেই শেষ হয়নি। ইসমাইল হোসেন জানান, দোকান ত্যাগ করে বাসার দিকে যাওয়ার সময় রবিউল ইসলাম খাজা ও তার ছেলে অনিক নেতৃত্বে ১০০-১২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাকে ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। এ সময় ইসমাইল, রাফেল, বুলবুল ও জাকিরকে হত্যার হুমকি দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়। সশস্ত্র এই হামলা থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে গিয়ে সোহেল নামে তার চাচাতো ভাই মাদ্রাসার ভেতরে আশ্রয় নিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। তারা সোহেলকে মৃত ভেবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ ঘটনায় আরও ৭-৮ জন আহত হন, যারা বর্তমানে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরে, ৯ জুন গোবিন্দগঞ্জ থানায় রবিউল ইসলাম খাজা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করেন, মামলার পরও খাজা বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। উপরন্তু, ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রবিউল ইসলাম খাজা মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের নামে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়, যা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারও করা হয়।

তিনি প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে রবিউল ইসলাম খাজা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এবং তাদের মিথ্যা প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাশেন, আলাউদ্দিন, নাইস, প্লাবন, সাব্বির, আসাদুজ্জামান, মোঃ রাকিব সাইমন,উজ্জ্বল, ফিরোজ,রাশেদ,মাহি, রেজুয়ান সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

Tag :
জনপ্রিয়

দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা সম্পাদক ও প্রকাশক কবি অশোক ধর কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মঞ্জুর হোসেন ঈসা

মনিরুজ্জামান মিন্টু :

গোবিন্দগঞ্জে মামলার আসামী গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত ০৬:৩৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই গ্রামের দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাস, দখল ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে চলেছে রবিউল ইসলাম খাজাসহ তাদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৭ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহিমাগঞ্জের আলিয়া কামিল মাদ্রাসা রোডের রাজুর মোড়ে সুজনের চায়ের দোকানে তিনি ও স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক চা পান করছিলেন। হঠাৎ রবিউল ইসলাম খাজার ছেলে অনিক সেখানে এসে উত্তেজনাকর আচরণ শুরু করে। অনিক তাকে উদ্দেশ্য করে অভিযোগ করে যে, তিনি নাকি খাজার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ইসমাইল হোসেন তার কথার সত্যতা যাচাই করতে অনুরোধ করলে অনিক রাগত কণ্ঠে তাকে হুমকি দিয়ে বলে, “তোর মামা আবু বক্কর সিদ্দিক তো তোর পাশে নাই, তোকে মেরে গরুর গোশত দিয়ে ভাত খাব।

এর কিছুক্ষণ পরেই অনিকসহ আরও ২/৩ জন ব্যক্তি এসে ইসমাইল হোসেনের উপর হামলা চালায়, যা স্থানীয় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও দৃশ্যমান। পরে স্থানীয়রা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে ঘটনার এখানেই শেষ হয়নি। ইসমাইল হোসেন জানান, দোকান ত্যাগ করে বাসার দিকে যাওয়ার সময় রবিউল ইসলাম খাজা ও তার ছেলে অনিক নেতৃত্বে ১০০-১২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাকে ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। এ সময় ইসমাইল, রাফেল, বুলবুল ও জাকিরকে হত্যার হুমকি দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়। সশস্ত্র এই হামলা থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে গিয়ে সোহেল নামে তার চাচাতো ভাই মাদ্রাসার ভেতরে আশ্রয় নিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। তারা সোহেলকে মৃত ভেবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ ঘটনায় আরও ৭-৮ জন আহত হন, যারা বর্তমানে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অবস্থান করছেন। পরে, ৯ জুন গোবিন্দগঞ্জ থানায় রবিউল ইসলাম খাজা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করেন, মামলার পরও খাজা বাহিনীর সদস্যরা প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। উপরন্তু, ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে রবিউল ইসলাম খাজা মহিমাগঞ্জ আলিয়া কামিল মাদ্রাসার অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের নামে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়, যা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারও করা হয়।

তিনি প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে রবিউল ইসলাম খাজা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এবং তাদের মিথ্যা প্রচারণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাশেন, আলাউদ্দিন, নাইস, প্লাবন, সাব্বির, আসাদুজ্জামান, মোঃ রাকিব সাইমন,উজ্জ্বল, ফিরোজ,রাশেদ,মাহি, রেজুয়ান সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।