০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ আমির হোসেন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী,

গাজীপুর কালিয়াকৈর টানা বর্ষণে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি স্থায়ী জলাবদ্ধতা,

  • প্রকাশিত ১২:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • ৬১ বার দেখা হয়েছে

গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ ৭ নং ওয়ার্ড ঢং বাং উলু সারা এলাকায় গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ওলো সারা এলাকায় কালিয়াকৈর উপজেলায় ১০টি এলাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি। রূপ নিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতার অপরিকল্পিতভাবে সেচ প্রকল্প নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশনের খালগুলো বেদখলে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার হরিণহাটি কালামপুর , ও ওলো সারা হাবিবপুর , দক্ষিণপাড়া,বারুইপাড়া ,মৌচাক ভান্ডারা ,মাঝুখান পৌরসভার এবং ইউনিয়নের আশপাশের এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কারো কারো বাড়ির উঠোনেই পানি। কারো বাড়িতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পরিমাণ। অনেকের বসত ঘরে ৩-৪ ফুট পানি। রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। গবাদি পশু অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। বাড়িতে পানি উঠায় কেউ কেউ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বাঁশের মাচার ওপর বসবাস করছেন। কয়েকটি শিল্প কারখানায়ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে গেছে। সেসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। এছাড়া শিল্প কারখানার নির্গত ক্যামিকেল ও দুর্গন্ধযুক্ত কালো পানিতে দূষণ হয়ে রোগাক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। নারী ও শিশুরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের সংস্কার কাজের বর্জ্য ফেলে পানি নিষ্কাশনের খাল বন্ধ করে দেওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাতে মসজিদে নামাজ পড়া যাচ্ছে না ও কবরস্থানেও লাশ দাফন করা যাচ্ছে না। ওলো পূর্ব পাড়া জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া অসম্ভব হয়েছে মসজিদের ইমাম বলেন,বহু আবেদন ও নিবেদন করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
ওলো সারা এলাকার সাইফুল বলেন, ‘একদিকে বিধিনিষেধ অপরদিকে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় অতি কষ্টে চলছে নিম্নআয়ের মানুষের। শিল্প কারখানার নির্গত বর্জ্যে পানি নিষ্কাশন খালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। শিল্প কারখানার নির্গত গরম পানি জলাবদ্ধতায় মিশে গেছে। তাতে জলাবদ্ধতার পানি কুচকুচে কালো রঙ ধারণ করেছে। এ পানিতে হাঁটাচলা করতে গিয়ে মানুষ চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পানির কীট-পতঙ্গসহ মাছ মরে যাচ্ছে। আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। উলু সাড়া এলাকায় বসবাসরত গৃহিণী নুরবানু বেগম বলেন
আমাদের বাড়ি ঘরে হাঁটু সমান পানি উঠেছে। ঘর থেকে বের হতে পারছি না। চুলায় আগুন জ্বালাতে পারি না। বিশুদ্ধ পানি নেই। সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে বাড়ির অনেক ভাড়াটিয়া এ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।গুলো সারা এলাকার বসবাসরত নুরবানু বেগম বলে
গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা শিল্প কলকারখানা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত। সে কারণে জমির দাম বেশি। তুলনামূলকভাবে নিচু জমির দাম কম। তাই অনেকেই নিচু অঞ্চলে কম দামে জমি ক্রয় করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করছেন। আর সে কারণেই নির্মিত ঘর বাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
ওগুলো সাড়া পূর্বপারা এলাকায় বসবাসরত নূর মোহাম্মদ বলেন ১৪-১৫ বছর ধরে এখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বাঁচতে হচ্ছে। ওলো সারা এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ওখানকার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা সময়মত মেশিন চালু না রাখায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।মিসেস উর্মি আক্তার বলেন, আমার টেনশন একটাই সেটা হলো আমার ছোট ছোট বাচ্চা ওদেরকে নিয়ে সর্বসময় আমার দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় দ্রুত এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে শুধু আমার কথাই বলি না আশে পাশের মানুষগুলো স্বস্তির পাই।

Tag :
জনপ্রিয়

মোঃ আমির হোসেন, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী,

গাজীপুর কালিয়াকৈর টানা বর্ষণে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি স্থায়ী জলাবদ্ধতা,

প্রকাশিত ১২:৪৬:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ ৭ নং ওয়ার্ড ঢং বাং উলু সারা এলাকায় গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ওলো সারা এলাকায় কালিয়াকৈর উপজেলায় ১০টি এলাকায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দি। রূপ নিয়েছে স্থায়ী জলাবদ্ধতার অপরিকল্পিতভাবে সেচ প্রকল্প নির্মাণ এবং পানি নিষ্কাশনের খালগুলো বেদখলে ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার হরিণহাটি কালামপুর , ও ওলো সারা হাবিবপুর , দক্ষিণপাড়া,বারুইপাড়া ,মৌচাক ভান্ডারা ,মাঝুখান পৌরসভার এবং ইউনিয়নের আশপাশের এলাকায় এখন জলাবদ্ধতা। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কারো কারো বাড়ির উঠোনেই পানি। কারো বাড়িতে হাঁটু থেকে কোমর সমান পরিমাণ। অনেকের বসত ঘরে ৩-৪ ফুট পানি। রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। গবাদি পশু অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। বাড়িতে পানি উঠায় কেউ কেউ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বাঁশের মাচার ওপর বসবাস করছেন। কয়েকটি শিল্প কারখানায়ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে গেছে। সেসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির অভাব। এছাড়া শিল্প কারখানার নির্গত ক্যামিকেল ও দুর্গন্ধযুক্ত কালো পানিতে দূষণ হয়ে রোগাক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। নারী ও শিশুরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
ঢাকা- টাঙ্গাইল মহাসড়কের সংস্কার কাজের বর্জ্য ফেলে পানি নিষ্কাশনের খাল বন্ধ করে দেওয়ায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তাতে মসজিদে নামাজ পড়া যাচ্ছে না ও কবরস্থানেও লাশ দাফন করা যাচ্ছে না। ওলো পূর্ব পাড়া জামে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া অসম্ভব হয়েছে মসজিদের ইমাম বলেন,বহু আবেদন ও নিবেদন করেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
ওলো সারা এলাকার সাইফুল বলেন, ‘একদিকে বিধিনিষেধ অপরদিকে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় অতি কষ্টে চলছে নিম্নআয়ের মানুষের। শিল্প কারখানার নির্গত বর্জ্যে পানি নিষ্কাশন খালগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। শিল্প কারখানার নির্গত গরম পানি জলাবদ্ধতায় মিশে গেছে। তাতে জলাবদ্ধতার পানি কুচকুচে কালো রঙ ধারণ করেছে। এ পানিতে হাঁটাচলা করতে গিয়ে মানুষ চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পানির কীট-পতঙ্গসহ মাছ মরে যাচ্ছে। আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। উলু সাড়া এলাকায় বসবাসরত গৃহিণী নুরবানু বেগম বলেন
আমাদের বাড়ি ঘরে হাঁটু সমান পানি উঠেছে। ঘর থেকে বের হতে পারছি না। চুলায় আগুন জ্বালাতে পারি না। বিশুদ্ধ পানি নেই। সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে বাড়ির অনেক ভাড়াটিয়া এ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে।গুলো সারা এলাকার বসবাসরত নুরবানু বেগম বলে
গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা শিল্প কলকারখানা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত। সে কারণে জমির দাম বেশি। তুলনামূলকভাবে নিচু জমির দাম কম। তাই অনেকেই নিচু অঞ্চলে কম দামে জমি ক্রয় করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করছেন। আর সে কারণেই নির্মিত ঘর বাড়িতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
ওগুলো সাড়া পূর্বপারা এলাকায় বসবাসরত নূর মোহাম্মদ বলেন ১৪-১৫ বছর ধরে এখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। পানির সঙ্গে যুদ্ধ করে আমাদের বাঁচতে হচ্ছে। ওলো সারা এলাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ওখানকার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা সময়মত মেশিন চালু না রাখায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।মিসেস উর্মি আক্তার বলেন, আমার টেনশন একটাই সেটা হলো আমার ছোট ছোট বাচ্চা ওদেরকে নিয়ে সর্বসময় আমার দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় দ্রুত এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে শুধু আমার কথাই বলি না আশে পাশের মানুষগুলো স্বস্তির পাই।