০৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
খুলনা ব্যুরো :

কয়রায় শালিশি বৈঠকে সাংবাদিকদের উপর হামলা

  • প্রকাশিত ০৭:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ১৪ বার দেখা হয়েছে

খুলনার কয়রা উপজেলায় সালিশ বিচারে হামলা চালিয়ে একজনকে মেরে গুরুতর ভাবে আহত করে সালিশ বিচার করতে আসা নেতা। ০৫/০৫/২০২৫ গতকাল সকাল ৭.৩০-৮.৩০ মিনিটের দিকে ঠাকুরের চক গ্রামের মনোরজ্ঞন বাহাদুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ঠাকুরের চক গ্রামের মনোরজ্ঞন বাহাদুরের ছেলে( সুব্রত বাহাদুর) এর সাথে প্রতিবেশী বিকাশ বাহাদুর ও বিজন বাহাদুর এর সাথে জমি নিয়ে কিঞ্চিৎ ঝামেলা ছিল, সেটা তারা দুই পক্ষ মিমাংসার জন্য উদ্দোগ নেয়। এ কারনে তারা ০৫/০৫/২০২৫ তারিখে সকাল ৭.৩০-৮.৩০ এ সালিশি বসা হয় গ্রামের কিছু মানুষ ডেকে,সালিশী শুরু হয় সালিশি উপস্থিত ছিলেন কবিদাস বাহাদুর, রনজিত বাহাদুর, মনোরজ্ঞন বাহাদুর, সুব্রত বাহাদুর, বিকাশ বাহাদুর, বিধান বাহাদুর, বিজন বাহাদুর, এবং তরুন কান্তি মন্ডল।সালিসি শুরু হওয়ার পর পরই একই গ্রামের শংকরের ছেলে তরুন কান্তি মন্ডল (সরকারি কয়রা মহিলা কলেজের প্রভাষক) বিজন বাহাদুরকে বলতে থাকে জমির ঝামেলা মিটাস না কেন? তখন বিজন বাহাদুর(কপোতাক্ষ কলেজে চাকুরীরত) বলেন জমি সে যেখানে কিনেছে সে সেখানে দখল করুক এতে বিজন বাহাদুরের পরিবার কেউ বাঁধা তো দিচ্ছে না,তখন তরুন কান্তি মন্ডল বিজন বাহাদুরকে বলেন এ তুই চুপ থাক তোরে কে ডাকছে, কি জন্য আসছিস, তখন বিজন বাহাদুর বলে আমার জায়গা নিয়ে ঝামেলা আমি আসব না তা কি তুই আসবি? এটা বলার সাথে সাথে তরুন কান্তি মন্ডল চেয়ার দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে,এবং পরবর্তীতে এর থেকে ভয়াবহ পরিনতি করে ছাড়বে বলে হুমকি দিতে থাকে। তখন বিজন বাহাদুর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে তার আত্নীয় স্বজন কয়রার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করে এখনো অবধি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া এই তরুন কান্তি মন্ডল বিজন বাহাদুর ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর দীর্ঘদিন থেকে হুমকি দিয়ে আসছিল,স্থানীয়রা জানান তরুন এর ব্যক্তিগত রাগ থেকে বিজন বাহাদুরকে মেরে রক্তাক্ত করেন।সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক অপরাধীর বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় মানুষ সহ আহতের পরিবার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

Tag :
জনপ্রিয়

খেলাধুলা যেন স্রষ্টার গোলামিকে ভুলিয়ে না দেয় : শামসুজ্জামান হেলালী

খুলনা ব্যুরো :

কয়রায় শালিশি বৈঠকে সাংবাদিকদের উপর হামলা

প্রকাশিত ০৭:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

খুলনার কয়রা উপজেলায় সালিশ বিচারে হামলা চালিয়ে একজনকে মেরে গুরুতর ভাবে আহত করে সালিশ বিচার করতে আসা নেতা। ০৫/০৫/২০২৫ গতকাল সকাল ৭.৩০-৮.৩০ মিনিটের দিকে ঠাকুরের চক গ্রামের মনোরজ্ঞন বাহাদুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ঠাকুরের চক গ্রামের মনোরজ্ঞন বাহাদুরের ছেলে( সুব্রত বাহাদুর) এর সাথে প্রতিবেশী বিকাশ বাহাদুর ও বিজন বাহাদুর এর সাথে জমি নিয়ে কিঞ্চিৎ ঝামেলা ছিল, সেটা তারা দুই পক্ষ মিমাংসার জন্য উদ্দোগ নেয়। এ কারনে তারা ০৫/০৫/২০২৫ তারিখে সকাল ৭.৩০-৮.৩০ এ সালিশি বসা হয় গ্রামের কিছু মানুষ ডেকে,সালিশী শুরু হয় সালিশি উপস্থিত ছিলেন কবিদাস বাহাদুর, রনজিত বাহাদুর, মনোরজ্ঞন বাহাদুর, সুব্রত বাহাদুর, বিকাশ বাহাদুর, বিধান বাহাদুর, বিজন বাহাদুর, এবং তরুন কান্তি মন্ডল।সালিসি শুরু হওয়ার পর পরই একই গ্রামের শংকরের ছেলে তরুন কান্তি মন্ডল (সরকারি কয়রা মহিলা কলেজের প্রভাষক) বিজন বাহাদুরকে বলতে থাকে জমির ঝামেলা মিটাস না কেন? তখন বিজন বাহাদুর(কপোতাক্ষ কলেজে চাকুরীরত) বলেন জমি সে যেখানে কিনেছে সে সেখানে দখল করুক এতে বিজন বাহাদুরের পরিবার কেউ বাঁধা তো দিচ্ছে না,তখন তরুন কান্তি মন্ডল বিজন বাহাদুরকে বলেন এ তুই চুপ থাক তোরে কে ডাকছে, কি জন্য আসছিস, তখন বিজন বাহাদুর বলে আমার জায়গা নিয়ে ঝামেলা আমি আসব না তা কি তুই আসবি? এটা বলার সাথে সাথে তরুন কান্তি মন্ডল চেয়ার দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে,এবং পরবর্তীতে এর থেকে ভয়াবহ পরিনতি করে ছাড়বে বলে হুমকি দিতে থাকে। তখন বিজন বাহাদুর রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে তার আত্নীয় স্বজন কয়রার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করে এখনো অবধি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া এই তরুন কান্তি মন্ডল বিজন বাহাদুর ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর দীর্ঘদিন থেকে হুমকি দিয়ে আসছিল,স্থানীয়রা জানান তরুন এর ব্যক্তিগত রাগ থেকে বিজন বাহাদুরকে মেরে রক্তাক্ত করেন।সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক অপরাধীর বিচার দাবি করেছেন স্থানীয় মানুষ সহ আহতের পরিবার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল।