২৯ জুন রবিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অর্থ মন্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত “দৈনিক ভিত্তিতে সাময়িক শ্রমিক নিয়মিতকরণ নীতিমালা-২০২৫”বাতিল এবং কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী বিএডিসিসহ সকল কৃষি ফার্ম শ্রমিককে নিয়মিতকরণসহ ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের কৃষি শ্রমিক সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আজিজুল হক ও সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছরোয়ার। সমাবেশে সারা বাংলাদেশ থেকে আগত বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা অবিলম্বে নিম্নোক্ত ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান-
১ বিএডিসি শ্রমিকসহ সকল গবেষণা খামারে নিয়োজিত অনিয়মিত শ্রমিকদের কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী নিয়মিতকরণের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করা।
২ বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে নিয়মিত শ্রমিককে দৈনিক মজুরি ১০০০ টাকা ও অনিয়মিতদের জন্য ৯৫০ টাকা নির্ধারণ করা।
৩ নিয়োগ অবসানে প্রতি পূর্ণ বছরের ৬০ দিনের হারে মজুরি প্রদান। ৪ প্রফিডেন্ট ফান্ড চালু করা। ৫ বিএডিসিসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বিভিন্ন খামার,গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণীত শ্রমিক ব্যাবস্থাপনা ম্যানুয়াল এর কৃষি ফার্ম শ্রমিক নিয়োগ ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ২০১৭ এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (অদ্যাবধি সংশোধিত) সমন্বয় করে আইন প্রণয়ন করা। ৬ মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করা ৭ প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর কৃষি ফার্ম শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য সুবিধাদি আন্তঃমন্ত্রণালয় স্ট্যান্ডিং কমিটি ও বাংলাদেশ কৃষি ফার্ম শ্রমিক ফেডারেশনের সাথে আলোচনায় নির্ধারণ করা।৮ হেক্টর প্রতি ৭ জন নির্ধারণ। ৯ ত্রিশ দিনের অর্ধেক নববর্ষ ভাতা প্রদান। ১০ পার্বত্য অঞ্চলে ৫০ শতাংশ পাহাড়ী ভাতা প্রদান। ১১ রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করা। ১২ স্বাস্থ্যবীমাসহ চিকিৎসা ভাতা চালু করা। শ্রমিক অবসর বা মৃত্যর পর নিয়োগের ক্ষেত্রে পোষ্যদের অগ্রাধিকার প্রদান।