০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ফয়সাল মবিন পলাশ:

কুমিল্লায় একই রশিতে ঝুলছিল মা-ছেলের লাশ

  • প্রকাশিত ০৭:৩১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৩ বার দেখা হয়েছে

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নদীয়াবাদ গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত রাবেয়া বেগম (২৬) নবীয়াবাদ গ্রামের প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী ও পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। তাঁর ছেলের নাম আব্দুল্লাহ (৩)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী আব্দুল মতিন পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাবেয়া বেগমকে বিয়ে করেন। তাঁদের সাংসারিক জীবনে তিন বছর বয়সী আব্দুল্লাহ একমাত্র ছেলেসন্তান। প্রবাস থেকে আব্দুল মতিন ছুটিতে বাড়িতে এসে গত এক বছর আগে আবারও প্রবাসে চলে যান তিনি। গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো একসময় রাবেয়া বেগম তাঁর বসতঘরের পাশে থাকা ছোট একটি ঘরের কাঠের আঁড়ার সঙ্গে একই রশিতে মা ও ছেলে আত্মহত্যা করে।
আজ সকালে নামাজ পড়তে উঠে রাবেয়া বেগমের শ্বশুর আলী আকবর একই রশিতে মা ও ছেলের লাশ ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পারিবারিক কলহ বা অন্যান্য কোনো ঘটনা চোখে পড়েনি তাঁদের। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন, এটি একমাত্র তাঁর স্বামী বলতে পারবেন। কারণ, রাবেয়া বেগমের শ্বশুর-শাশুড়ি দুজনই বৃদ্ধ, তাঁদের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার কথা নয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাযাবে।

Tag :
জনপ্রিয়

মধুপুরে সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে সওদাগরদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

ফয়সাল মবিন পলাশ:

কুমিল্লায় একই রশিতে ঝুলছিল মা-ছেলের লাশ

প্রকাশিত ০৭:৩১:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নদীয়াবাদ গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত রাবেয়া বেগম (২৬) নবীয়াবাদ গ্রামের প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী ও পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে। তাঁর ছেলের নাম আব্দুল্লাহ (৩)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী আব্দুল মতিন পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাবেয়া বেগমকে বিয়ে করেন। তাঁদের সাংসারিক জীবনে তিন বছর বয়সী আব্দুল্লাহ একমাত্র ছেলেসন্তান। প্রবাস থেকে আব্দুল মতিন ছুটিতে বাড়িতে এসে গত এক বছর আগে আবারও প্রবাসে চলে যান তিনি। গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো একসময় রাবেয়া বেগম তাঁর বসতঘরের পাশে থাকা ছোট একটি ঘরের কাঠের আঁড়ার সঙ্গে একই রশিতে মা ও ছেলে আত্মহত্যা করে।
আজ সকালে নামাজ পড়তে উঠে রাবেয়া বেগমের শ্বশুর আলী আকবর একই রশিতে মা ও ছেলের লাশ ঝুলতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনের লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পারিবারিক কলহ বা অন্যান্য কোনো ঘটনা চোখে পড়েনি তাঁদের। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন, এটি একমাত্র তাঁর স্বামী বলতে পারবেন। কারণ, রাবেয়া বেগমের শ্বশুর-শাশুড়ি দুজনই বৃদ্ধ, তাঁদের সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার কথা নয়।
বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাযাবে।