জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে ছাদ থেকে পলেস্তার খসে পড়ে পড়লে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের ভৌত অবকাঠামোর অবনতির ফলেই এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর ২ টার সময় হঠাৎ করেই মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের ছাদের একটি বড় অংশের পলেস্তার খসে পড়ার সময় বিকট শব্দ । এতে প্রাণঘাতি না হলেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে,কালাই উপজেলা দুর্ঘটনাটি ঘটেছে স্বাস্থ্য সেই কমপ্লেক্সে পুরাতন ভবনে, যা নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। ভবনটির ছাদ ও কাঠামো ভেতরে ধসে পড়ার মতো অবস্থা তৈরি হলেও, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে সেটি আজ মৃতুকূপে পরিণত হয়েছে।
পরবর্তীতে, ২০০৬ সালে প্রধান তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি নতুন ভবন নির্মাণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও, পুরাতন ভবনটি এখনও নির্ভরশীলতার জায়গায় রয়ে গেছে, যা প্রশাসনিক অবহেলার একটি বাস্তব উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।
হাসপাতালের পরিছন্নতা কর্মীরা জানান, কল্পনা আখতার, আনোয়ারা বেগম, আশা মাসি জানান, র্দীঘদিন থেকে হাসপাতালে ফাটল দেখা গেছে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।
দুই বছর বয়সী শিশু মারিয়ার মা জীবন নেসা বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে বেডে বসে ছিলাম। হটাৎ করে ৩নং বেডের উপর ছাদের পরেস্তার খসে পরে। অল্পের জন্য বেডের রোগীরা বেচে যায়। বাকি রোগী ও স্বজনরা দ্রত ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে বাইরে চলে যায়।
উপজেলার ঝামুটপুর গ্রামের নাসরীন সুলতানা বলেন, আমি উচ্চ রক্তচাপের কারণে গতকাল হাস্পাতালে ভর্তি হই। আজ দুপুরে হটাৎ করেই আমার পাশের বেডের ছাদের পরেস্তার খসে পরে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য আবাসিক কমপ্লেক্সে মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাহিদ নাজনীন ডেইজি বলেন, আজ হটাৎ করেই মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের ৩ নং বেডের ছাদের পলেস্তার খসে পড়ে যায় । উর্ধতন কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। তারা বলেছেন দ্রত এর সমস্যা সমাধান করা হবে। এবং ওই ওর্য়াডের রোগীদের বাহিরে বাড়ান্দায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
০৮:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
কালাই (জয়পুরহাট ) প্রতিনিধি :
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাদ ধস আতঙ্কে দৌড়ে দেয় রোগী ও স্বজনরা
Tag :
জনপ্রিয়