গত আট মাসে এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পে আউটসোর্সিং খাতে প্রায় হাজারখানেক জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং হচ্ছে । এই বিশাল নিয়োগে কোটি কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রশীদ মিয়ার বিশেষ ক্যাশিয়ার মশিউল আলম,কথিত মিডিয়া কনসালটেন্ট আবু ফাত্তাহ ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকের দিকে। প্রধান প্রকৌশলী পরিবর্তনের পর এলজিইডি ভবনের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে ঘুষের টাকা দেওয়া চাকরি প্রত্যাশী অনেক প্রার্থীরা। তারা খুঁজছে মশিউল আলম ও আবু ফাত্তাহকে। এলজিইডিতে নিয়োগ, বদলি ও প্রমোশন বানিজ্য নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন এলজিইডি ‘সমাচার’ প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা। আজকের পর্বে প্রকাশ করা হচ্ছে নিয়োগ বানিজ্য।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের(এলজিইডি) উন্নয়ন কাজ পরিচালনার জন্য রয়েছে প্রায় দেড়’শ প্রকল্প। প্রতিটি প্রকল্পে রয়েছে আউটসোর্সিং জনবল। চলতি বছরের শুরু থেকে বর্তমান অবদি ডজন খানেক নতুন প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এসব প্রকল্পের কয়েকটিতে ইতোমধ্যে জনবল নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। চলমান রয়েছে কয়েকটি প্রকল্পের জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া। নিয়োগ চলমান রয়েছে জলবায়ু প্রকল্পের,এই প্রকল্পে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হবে ৩৭৫ জন। এর মধ্যে সহকারী প্রকৌশলী ৯২ জন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ৪৮, কার্য সহকারী ৮৯, সুসোলজিস্ট ৪৬, ফোটোগ্রাফি সার্ভেয়ার ৪৪, অফিস পিয়োন ৪৪ ও অন্যান্য ছোট পদে ১২ জন একই ভাবে টুলু প্রকল্পে ৫০ জন এবং এলজিইডির সর্ব বৃহৎ প্রকল্প RUTDP, এই প্রকল্পের নিয়োগ সংখ্যা ৩০০ জন। এর মধ্যে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ৮৫ , কার্য সহকারী ৮৫ জন,বাকি গুলো অন্যান্য পদে। এছাড়াও ছোট ছোট কিছু প্রকল্পে ও পুরন প্রকল্পে শূন্য সাপেক্ষে কিছু নিয়োগ হয়েছে এবং প্রক্রিয়া চলমান।
এই বিশাল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে মশিউল ও ফাত্তাহ চাকরি দেয়ার নামে লুটে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। সূত্র জানায় ফাত্তাহ ও মশিউল দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকরি প্রার্থীদের সংগ্রহ করে। উভয়ের বাড়ি সিরাজগঞ্জ ও সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়ার বাড়িও সিরাজগঞ্জে এবং পরিচয় দিত মশিউল রশীদ মিয়ার বিশেষ সহকারী ও ফাত্তাহ মিডিয়া কনসালটেন্ট। তারা আরও বলত প্রধান প্রকৌশলী জনবল সংগ্রহের দায়িত্ব তাদের দিয়েছেন। এভাবে মানুষ পটিয়ে সিভি নিত এবং ঘুষের টাকা সংগ্রহ করত। ঘুষের রেট সহকারী প্রকৌশলী পাঁচ লাখ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী তিন লাখ,কার্য সহকারী দুই লাখ,সুসোলজিস্ট ৩-৪ লাখ, অন্যান্য পদে দুই লাখ হারে প্রায় আড়াইশ মানুষের নিকট থেকে নগদ টাকা নিয়েছেন বলে জানা যায়। এই সব সিভি প্রধান প্রকৌশলীকে দিয়ে মার্ক করার জন্য বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতেন মশিউল ও ফাত্তাহ। এসব সিভির একটি বড় অংশ মশিউল প্রধান প্রকৌশলীর বাসায় যেয়ে ‘ব্যবস্থা নিন’ লিখিয়ে নিতেন। বাকি সিভি মার্ক করাতেন সহকারী প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ও স্টাফ অফিসার মাহবুব মোর্শেদকে দিয়ে।এই দুই জনের দায়িত্ব প্রধান প্রকৌশলীর নিকট আসা ভিজিটরদের নিয়োন্ত্রন করা। কখন কাকে প্রধান প্রকৌশলীর সাথে সাক্ষাতের জন্য পাঠাবে সেটা ঠিক করা অথচ এই দুই জনকে দেখা যেত একটু সময় সুযোগ পেলেই একগাট্টি সিভি নিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর সামনে ধরা এবং তাতে মার্ক করানো। সূত্র জানায় মান্নান ও মাহবুব প্রতিটা সিভি লেখানো বাবদ মশিউল ও ফাত্তাহ পেমেন্ট দিতে বিশ হাজার টাকা। সহকারী প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ও স্টাফ অফিসার মাহবুব মোর্শেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে কোন সংবাদ কর্মী প্রধান প্রকৌশলীর সাথে সাক্ষাতের জন্য গেলে বেশিরভাগ সময় তাদের ভিজিটিং কার্ড প্রধান প্রকৌশলীকে দেখায় না বরং স্যার ব্যস্ত আছে আজ দেখা হবেনা বলে ফিরিয়ে দেন। রশীদ মিয়া বিদায়ের শেষ দিকে আব্দুল মান্নানকে গাজীপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর পোস্টিংয়ের ব্যাস্থা করে গেছেন। সূত্র জানায় এই মান্নান ব্রাক্ষ্মনবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী থাকা অবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ হয় এর পর থেকে তিনি সাংবাদিক বিদ্বেষী হয়ে পড়েন।
আব্দুর রশীদ মিয়ার বিদায়ের পর প্রতিদিন কিছু মানুষ মশিউল ও ফাত্তাহ কে খুঁজছেন। এলজিইডি ভবনে ঢুকতে না পেরে বাইরের রাস্তায় ও ফুটপাতে তাদের ঘুরতে দেখা যায়। এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় কয়েক জনের ,এদের মধ্যে একজন এসেছেন ফরিদপুর থেকে তার নাম শরিফুল ইসলাম প্রাইভেট থেকে ডিপ্লমা সিভিল পাশ। শরিফুল বলেন দুই মাস হল আমি টাকা ও সিভি দিয়েছিলাম পাশের ভবনের দুই তলার মিডিয়া ইউনিটের প্রধান আবু ফাত্তাহ স্যারের নিকট। লোকমুখে শুনলাম সব প্রকল্পের ইন্টারভিউ হয়ে গেছে আমাকে ডাকল না। কত টাকা দিয়েছেন জানতে চাইলে শফিকুল বলেন তিন লাখ টাকা দিয়েছি। কথা হয় শিউলি আক্তার নামে বিএসসি পাশ একজন চাকরি প্রার্থীর সাথে। বগুড়ার মেয়ে শিউলি এলজিইডি ভবনে এসেছে তার ছোট ভাই শিমুলকে নিয়ে। তিনি বলেন আমার এক পরিচিত জনের মাধ্যমে প্রধান প্রকৌশলী বিশেষ সহকারী মশিউল আলমের কাছে তিন লাখ টাকা ও সিভি দিয়েছি। সিভির টপ পেজের ফটোকপি দেখালেন তাতে ‘ব্যবস্থা নিন’ মার্ক করেছেন
জলবায়ুর প্রকল্পের পিডি ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে।প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়ার স্বাক্ষর ও সীল লাগানো আছে সিভিতে ।শিউলি বললেন , মশিউল আমাকে বলেছিলেন রশীদ মিয়া আরো এক বছর চীফ ইঞ্জিনিয়ার আছেন। জলবায়ু প্রকল্পের ইন্টারভিউ হয়েগেছে আপনাকে ডেকে ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন,তাকে ইন্টারভিউতে ডাকেনি। এখানে এসেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন শুনলাম প্রধান প্রকৌশলী পরিবর্তন হয়েছেন ,আমি বার বার ফোন দিয়ে মশিউলকে পাচ্ছিনা কিন্তু ভবনে ঢুকতে দিচ্ছে না ।শুনলাম মশিউল অফিস করে না।কথা হয় পাবনার সাথিয়া উপজেলার সামসুল আলমের সাথে তিনি প্রায় চার মাস পূর্বে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়েছে মশিউলকে কার্য সহকারী পদে চাকরির জন্য টাকা ও সিভি দিয়েছেন। তিনি ‘বলেন দুইটি গরু পালত আমার মা অভাবের সংসার আমাদের, চাকরি করে একটু সুখের মুখ দেখার আশায় গরু দুটি বিক্রি করে ও আরো এক লাখ টাকা সুদে এনে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়েছি। হঠাৎ মশিউল স্যারের মোবাইল বন্ধ এখানে এসেছি তার সাথে দেখা করতে কিন্তু তাকে পেলাম না শুনলাম তিনি ঢাকা ছেড়ে দিয়েছেন’। আরো কয়েক জনের সাথে কথা হয় সকলের একই কথা চাকরির জন্য মশিউলকে টাকা দিয়েছন কেউ দিয়েছেন ফাত্তাহকে কিন্তু চাকরি হচ্ছেনা।
কথা হয় কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর সাথে,একজন সিনিয়র সাংবাদিক এই প্রতিবেদকের নিকট বলেন , রশীদ মিয়া এই ৭/৮ মাসে আমার পাঁচটি সিভিতে’ ব্যবস্থা নিন’ লিখে দিয়েছেন। একটি মার্ক করেছেন রিভার প্রকল্পে,একটি ক্ষুদ্র পানিসম্প প্রকল্পে,একটি জলবায়ু প্রকল্পে ,একটি টুলু প্রকল্পে ও একটিতে আর ইউ টি ডি পি। শুনলাম সব প্রকল্পের নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়েছে কিন্তু আমার একজনকেও ডাকেনি। কথা হয় আরো ৩/৪ জন সাংবাদিককের সাথে প্রত্যেকে অভিযোগ করেন রশীদ মিয়া সিভিতে সুন্দরভাবে লিখেছেন কিন্তু কাজ হয়নি। সূত্র জানায় টুলু প্রকল্পে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগের সার সংক্ষেপে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তার আশি ভাগ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করেছেন।
সূত্র জানায় RUTDP তে নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে ইন্টারভিউ সম্পন্ন করা হয়েছে,নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু হবে। সূত্র আরো জানায়, এই প্রকল্পের নিয়োগে পিডি নিজেই ঘুষ নিচ্ছেন। এর পরিমান উপ-সহকারী প্রকৌশলী তিন লাখ,কার্য সহকারী আড়াই লাখ টাকা হারে ঘুষ নিচ্ছেন। সূত্র জানায় জলবায়ু প্রকল্পের ৩৭৫ জনের মধ্যে ২৫০ জন সরাসরি প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া লোক দিয়েছেন এবং প্রত্যেকের নিকট থেকে গড়ে চার লাখ টাকা হিসেবে প্রায় দশ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। একই ভাবে টুলু ও অন্যান্য ছোট প্রকল্পের আশি ভাগ নিয়োগ সরাসরি সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দিতে বাধ্য করেছেন পিডিকে।
নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায় RUTDP’র নিয়োগে পিডির সাথে রশীদ মিয়ার চুক্তি হয় ফিফটি ফিফটি।মোট জনবলের অর্ধেক দিবেন পিডি ও বাকি অর্ধেক তিনি। পিডি এই শর্তে প্রথমে রাজি না হলে রশীদ মিয়া ওই প্রকল্পের পিডি পরিবর্তনের জন্য মন্ত্রণালয়ে তদবির শুরু করেন এবং পিডি হিসাবে যাকে নির্বাচন করেন তার নিকট থেকে বিশ কোটি টাকায় চুক্তির পাঁচ কোটি টাকা অগ্রীম নেন। উপায়ান্তর না পেয়ে পিডি রশীদ মিয়ার শর্তে রাজি হন।এই প্রকল্পের ফার্ম নিয়োগে রয়েছে ঘাপলা। টেন্ডার নোটিশ ও সিডিউল বিশ্লেষণে দেখা যায় কলকারখা অধিদপ্তরের লাইসেন্স মাস্ট ও এই লাইসেন্সর বয়স নূন্যতম বয়স তিন বছর হতে হবে এবং তিনটি ভ্যাটট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে হবে অথচ তাদের নির্বাচিত ফার্ম এলকেএস এস এইচ আরসির বয়স মাত্র এক বছর এবং একটি মাত্র রিটার্ন দাখিল করেছে। সূত্র জানায় সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া অবসরে চলে যাওয়ায় পিডি ও তার সাথে যে মৌখিক চুক্তি ছিল তা এখন আর কার্যকর রাখবেন না। এখন সমস্ত নিয়োগ হবে পিডির ইচ্ছামত।
কে এই মশিউল: তিনি একজন উপ সহকারী প্রকৌশলী।বাড়ি সিরাজগঞ্জ। চাকরির শুরু হয় আউটসোর্সিংয়ে পরবর্তীতে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে জিওবি ভুক্ত হন। চাকরি জীবনের শুরু থেকেই পোস্টিং সিরাজগঞ্জে। আওয়ামী লীগের শাসনামলের পুরো সময় সিরাজগঞ্জের এমপি মিল্লাত,হেনরি,জয়ের সাথেই থাকতেন আর অন্যের লাইসেন্সে ঠিকাদারি করতেন। আর রশীদ মিয়ার ফুটফারমাস খাটতেন এবং তার বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহীর বাড়ি ও সম্পদের দেখভাল করছেন। কখনো একটি এমবি লিখেননি এই মশিউল। যখনি আওয়ামী লীগের পতন হয় তখন রশীদ মিয়া তাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন মৌখিক পেষনে। রশীদ মিয়া বিদায়ের পূর্ব মুহূর্তে মশিউল সহ ২৫ জনের প্রমোশন হয়। সূত্র জানায় এখন সে সিরাজগঞ্জে গা ঢাকা দিয়ে আছে এবং অন লাইনে জয়নিং দিয়ে সিরাজগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে পোস্টিংয়ের তদবির করছেন।
কে এই ফাত্তাহ: আবু ফাত্তাহ ২০১০ সালে এলজিইডির কনসালটেন্ট হিসাবে চাকরি শুরু করেন। সূত্র জানায় তার নিয়োগ হয় ফেসিলেটর হিসেবে কিন্তু তিনি কখনো নিয়োগ দাতা প্রকল্পের ফেসিলেটরের দায়িত্ব পালন করেননি। এইচ এস সি পাশ ফাত্তাহ বি এ পাশের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে দীর্ঘদিন মোটা অংকের বেতন ভোগ করছেন। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মহসিন তাকে চাকরি থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে আলী আক্তার প্রধান প্রকৌশলী হলে তাকে ম্যানেজ করে আবার চাকরি ফিরে পান। তাকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশিত হলে আবার তাকে চাকরিচ্যুৎ করা হয়। আবার চাকরি ফিরে পাবার জন্য লবিং করছেন শোনা যাচ্ছে UDCGP’ পুত নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ফাত্তাহ সম্পাদিত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘সত্য সমাচার’ এর সাংবাদিক পরিচয়ে ওই প্রকল্পের ডিপিডি বর্তমান পিডিকে নিউজ করার হুমকি দেয়। এই প্রতিবেদকে মশিউলের বক্তব্য নিতে তার সেল ফোনে বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। ফাত্তাহ অফিস সুত্রে জানা যায় তিনি উমরাহ পালনে সৌদি আরবে আরবে আছেন।
পরের পর্বে প্রকাশ করা হবে মশিউলের প্রমোশন বানিজ্য।