০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবারের কোরবানির ঈদে সৌদি উটের বিশেষ আকর্ষণ

  • প্রকাশিত ১০:১২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • ১১৯ বার দেখা হয়েছে

মোঃ আমজাদ হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

সকল মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষের বছরে দুটি খুশির দিন বা ঈদ রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম একটি দিন বা ঈদ হচ্ছে ঈদুল আযহা। ঈদ মানে আনন্দ বা খুশি আর আযহা শব্দের অর্থ হচ্ছে কোরবানি করা বা উৎসর্গ করা। আর এই কুরবানি কে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মৈজ্জারটেক গরুর হাটে মিলছে বিশাল দেহের অধিকারী সাতটি সৌদি উট। আর বিশাল দেহের অধিকারী এই উট গুলো দেখতে ভীড় করছে প্রতিদিন হাজার স্থানীয়রা। সাধারণত আমরা দেখতে পাই বউ সন্তান মিলে পার্কে কিংবা পর্যটন এলাকা গুলোতে ঘুরতে যায়। কিন্তু মৈজ্জারটেক গরু ছাগলের হাটে এটার বিপরীত চিত্র আমরা দেখতে পাই এখানে বিক্রেতারা তাদের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আসে একটি গরু কিংবা ছাগল ক্রয় করবে তার পাশাপাশি এই বিশাল দেহের অধিকারী উট গুলো কে একটি বার হলেও দেখবে।

আর এই উট গুলো আনা হয়েছিল যশোরের সীমান্তবর্তী বেনাপোলের শার্শা উপজেলার পটুখালী গ্রামের খামার মালিক নাসির হোসেনের খামার থেকে।এসব উটের উচ্চতা গড়ে প্রায় ১২ থেকে ১৬ ফুট যা সাধারণ মানুষের কাছে অনেক বিস্ময়কর। এ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই একটি উট বিক্রি হয়ে গেছে, যার বাজার মূল্য উঠেছে ৩৩ লাখ টাকা। খামার মালিক নাসির হোসেন আমাদের জানান, দেশে অনেকেই মনে করেন উট লালন পালন করা কঠিন কিন্তু নিয়মিত পরিচর্যা এবং সঠিক খাবার দিলে সেটা সম্ভব। আমার খামারের উট এখন দেশের সবচেয়ে বড় কুরবানির পশু হিসেবে পরিচিত এটা আমার জন্য বড়ই সাফল্যের। সাথে সাথে খরচের দিক থেকেও রয়েছে বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি উট আমদানি সহ লালন পালন নিয়ে আমার ব্যয় হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তবুও তিনি আশা করেন মানুষ উটের কোরবানি বিষয়ে আরো আগ্রহী হলে ভবিষ্যতে দেশের বড় পরিসরে উট পালন করা সম্ভব হবে।

মৈজ্জারটেক হাটে বর্তমানে তিনটি উট দৃশ্যমান রয়েছে। খামার মালিক নাসির হোসেন আমাদের জানান ,তিনি সর্বমোট সাতটি উট এ হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। প্রতিটি উটের জন্য তিনি বাজার মূল্য ধরেছেন ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা করে। আর মৈজ্জারটেক এই বিখ্যাত পশুর হাটে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন স্থানীয় সহ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা হাজার হাজার ক্রয়-বিক্রেতা। এবারের এই কোরবানির ঈদে এই‌ উট কে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে জমে উঠেছে অন্যরকমের এক ভিন্ন চিন্তা ভাবনা। যা আমাদের আগামীর ঈদগুলোকে আরো ভিন্নতায় পৌঁছে দিবে।

Tag :
জনপ্রিয়

এবারের কোরবানির ঈদে সৌদি উটের বিশেষ আকর্ষণ

প্রকাশিত ১০:১২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

মোঃ আমজাদ হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

সকল মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষের বছরে দুটি খুশির দিন বা ঈদ রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম একটি দিন বা ঈদ হচ্ছে ঈদুল আযহা। ঈদ মানে আনন্দ বা খুশি আর আযহা শব্দের অর্থ হচ্ছে কোরবানি করা বা উৎসর্গ করা। আর এই কুরবানি কে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মৈজ্জারটেক গরুর হাটে মিলছে বিশাল দেহের অধিকারী সাতটি সৌদি উট। আর বিশাল দেহের অধিকারী এই উট গুলো দেখতে ভীড় করছে প্রতিদিন হাজার স্থানীয়রা। সাধারণত আমরা দেখতে পাই বউ সন্তান মিলে পার্কে কিংবা পর্যটন এলাকা গুলোতে ঘুরতে যায়। কিন্তু মৈজ্জারটেক গরু ছাগলের হাটে এটার বিপরীত চিত্র আমরা দেখতে পাই এখানে বিক্রেতারা তাদের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আসে একটি গরু কিংবা ছাগল ক্রয় করবে তার পাশাপাশি এই বিশাল দেহের অধিকারী উট গুলো কে একটি বার হলেও দেখবে।

আর এই উট গুলো আনা হয়েছিল যশোরের সীমান্তবর্তী বেনাপোলের শার্শা উপজেলার পটুখালী গ্রামের খামার মালিক নাসির হোসেনের খামার থেকে।এসব উটের উচ্চতা গড়ে প্রায় ১২ থেকে ১৬ ফুট যা সাধারণ মানুষের কাছে অনেক বিস্ময়কর। এ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাই একটি উট বিক্রি হয়ে গেছে, যার বাজার মূল্য উঠেছে ৩৩ লাখ টাকা। খামার মালিক নাসির হোসেন আমাদের জানান, দেশে অনেকেই মনে করেন উট লালন পালন করা কঠিন কিন্তু নিয়মিত পরিচর্যা এবং সঠিক খাবার দিলে সেটা সম্ভব। আমার খামারের উট এখন দেশের সবচেয়ে বড় কুরবানির পশু হিসেবে পরিচিত এটা আমার জন্য বড়ই সাফল্যের। সাথে সাথে খরচের দিক থেকেও রয়েছে বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। প্রতিটি উট আমদানি সহ লালন পালন নিয়ে আমার ব্যয় হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তবুও তিনি আশা করেন মানুষ উটের কোরবানি বিষয়ে আরো আগ্রহী হলে ভবিষ্যতে দেশের বড় পরিসরে উট পালন করা সম্ভব হবে।

মৈজ্জারটেক হাটে বর্তমানে তিনটি উট দৃশ্যমান রয়েছে। খামার মালিক নাসির হোসেন আমাদের জানান ,তিনি সর্বমোট সাতটি উট এ হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। প্রতিটি উটের জন্য তিনি বাজার মূল্য ধরেছেন ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা করে। আর মৈজ্জারটেক এই বিখ্যাত পশুর হাটে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছেন স্থানীয় সহ দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসা হাজার হাজার ক্রয়-বিক্রেতা। এবারের এই কোরবানির ঈদে এই‌ উট কে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে জমে উঠেছে অন্যরকমের এক ভিন্ন চিন্তা ভাবনা। যা আমাদের আগামীর ঈদগুলোকে আরো ভিন্নতায় পৌঁছে দিবে।