কাজী ফারুক: ন্যাশনাল ক্রেডিট লিঃ (এনসিএল) দিয়ে যাত্রা শুরু। বিশিষ্ট ব্যাংকার মুজিবুল হায়দার চৌধুরী ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা। পূবালী ব্যাংক লিঃ থেকে অবসরে যাওয়ার পর মুজিবুল হায়দার চৌধুরী প্রথমে বেসরকারী খাতে অত্যাধুনিক সাজসজ্জা সম্বলিত ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘদিন চলে আসা পিতলের টোকেন বাদ দিয়ে চেকের সাথে একটি বাড়তি অংশ জুড়ে দেন। সেই অংশটিই টোকেন হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এভাবে আরো অনেক বিষয়ে ব্যাংকিং জগতে পরিবর্তন আনেন। পরবর্তীতে সরকারী মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংক সহ অপরাপর বেসরকারি ব্যাংক গুলো মুজিবুল হায়দার চৌধুরীর নতুন মডেল অনুসরণ করেন। যা এখনও অব্যাহত আছে। উক্ত ব্যাংকে ফেনীর কৃতি সন্তান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মোয়াজ্জেম হোসেন, রুস্তম আলী গং কে পরিচালক করেন। নিজে ব্যাংকটির শীর্ষ পদে থেকে ব্যাংকটিকে অনেক দূর এগিয়ে নেন। যদিও তাঁর অবর্তমানে সম্প্রতি ব্যাংকটি সংকটে পড়েছে। এক পর্যায়ে মুজিবুল হায়দার চৌধুরী ন্যাশনাল ব্যাংক ছেড়ে ন্যাশনাল ক্রেডিট লিঃ (এনসিএল) প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯১ সনের পরে তখনকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, প্রখ্যাত সাংবাদিক (ভয়েস অব আমেরিকা) গিয়াস কামাল চৌধুরীর সহযোগীতায় এনসিএল কে পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক রূপে ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কর্মাস ব্যাংক লিঃ নামকরণ করেন। বর্তমানে ব্যাংকটির নাম ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কর্মাস ব্যাংক পিএলসি।
কিছুদিন আগে উক্ত ব্যাংকের দুই পরিচালক ঋণ খেলাপের দায়ে (চেয়ারম্যান সহ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অপসারিত হলে, আলহাজ্ব নুরুন নেওয়াজ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি ইলেক্ট্রো মার্ট লিঃ এরও চেয়ারম্যান। তিনি ব্যাংকটির বিষয়ে আন্তরিক ও সৎ হলেও, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিন ক্ষেত্র বিশেষে চেয়ারম্যানের কথা শুনছেন না। সামনাসামনি চেয়ারম্যানকে সম্মান করলেও চেয়ারম্যানের দেয়া সিদ্ধান্ত কৌশলে এড়িয়ে চলেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নিজস্ব চিন্তা ও সিদ্ধান্তেই ব্যাংকটি পরিচালিত হয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালকের একক সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যাংকটি পরিচালিত হওয়ার কারণে। ব্যাংকটিতে কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দেয়। ফলে চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দ্বন্দ্বের প্রভাব ব্যাংকটির অন্যখাত সহ গ্রাহক পর্যায়েও পড়েছে!