১২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাঁশখালী প্রতিনিধি :

এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে সাবেক এমপি মোস্তাফিজ এর সহযোগী বেলাল

  • প্রকাশিত ০৬:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • ৭১ বার দেখা হয়েছে

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী বিভিন্ন মামলার আসামী চাঁদাবাজ ও মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা সন্ত্রাসী বেলাল। অথচ তার ভয়েই ২০২৪ সালের জুলাই থেকে- আগস্ট পর্যন্ত অজানা আতঙ্কে ছিল ছাত্র-জনতা। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রথম কয়েকদিন বেলাল গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও এখন প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ এর এমপি মোস্তাফিজ ও আওয়ামী লীগ নেতা লিটনের অনুসারী এই বেলাল প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অজানা কারণে তাকে গ্রেপ্তার করছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এই সন্ত্রাসী বেলাল সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বাঁশখালীর চাম্বল বাজারে সংঘটিত ছাত্রজনতার ওপর হামলার ঘটনায় সংঘর্ষের পূর্ব মুহুর্তে জলদী উপজেলা থেকে মিছিল সহকারে যোগ দেন এই সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগ এর দালাল বেলাল সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্র-আন্দোলন বিরোধী নানা স্লোগান দেন তারা। পরে চাম্বল বাজার এলাকায় গিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারীর কয়েকজন সদস্য বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট চাম্বল বাজারে আমরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে যোগদান করি। সেদিন আমাদের সাথে যোগ দেয় বিভিন্ন কলেজের ছাত্ররাও। কিন্তু মোস্তাফিজ ও লিটনের অনুসারী সন্ত্রাসী বেলাল এর নেতৃত্বে শতাধিক আওয়ামী কর্মীসমর্থক আমাদের ব্যানারে ছিঁড়ে ফেলে। সেদিন আমাদের কয়েকজনের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এতকিছুর পরও বেলাল এখন বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলমের বিশেষ সহযোগী হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বেলাল ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নিজেকে কখনো সাংবাদিক, আবার কখনো সমাজ কর্মী পরিচয় দিচ্ছেন।

মনোয়ার নামে এক যুবদল নেতা বলেন, “ স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই বেলাল আওয়ামী লীগ এর রাজনীতির সাথে সক্রিয় থাকাকালিন সময় এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছেন। তবে ৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কয়েকদিন সে গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন, সবকিছু ম্যানেজ হয়ে গেছে।”

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পূর্বে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নিজ এলাকায় পুলিশের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে করিয়েছেন গ্রেপ্তার। রাজনৈতিক পরিচয়ের অপব্যবহার করে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জায়গা দখলসহ নানান অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এই সন্ত্রাসী বেলাল। বর্তমানে তাকে চট্টগ্রাম শহরস্থ বহদ্দারহাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।

Tag :
জনপ্রিয়

সাতকানিয়া পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৫১ কোটি ৮২ লাখ বাজেট ঘোষণা শিক্ষা খাতে মাত্র ২৬ লাখ।

বাঁশখালী প্রতিনিধি :

এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে সাবেক এমপি মোস্তাফিজ এর সহযোগী বেলাল

প্রকাশিত ০৬:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী বিভিন্ন মামলার আসামী চাঁদাবাজ ও মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা সন্ত্রাসী বেলাল। অথচ তার ভয়েই ২০২৪ সালের জুলাই থেকে- আগস্ট পর্যন্ত অজানা আতঙ্কে ছিল ছাত্র-জনতা। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর প্রথম কয়েকদিন বেলাল গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও এখন প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ এর এমপি মোস্তাফিজ ও আওয়ামী লীগ নেতা লিটনের অনুসারী এই বেলাল প্রকাশ্যে চলাফেরা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অজানা কারণে তাকে গ্রেপ্তার করছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁশখালী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এই সন্ত্রাসী বেলাল সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারী। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বাঁশখালীর চাম্বল বাজারে সংঘটিত ছাত্রজনতার ওপর হামলার ঘটনায় সংঘর্ষের পূর্ব মুহুর্তে জলদী উপজেলা থেকে মিছিল সহকারে যোগ দেন এই সন্ত্রাসী ও আওয়ামী লীগ এর দালাল বেলাল সহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় ছাত্র-আন্দোলন বিরোধী নানা স্লোগান দেন তারা। পরে চাম্বল বাজার এলাকায় গিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারীর কয়েকজন সদস্য বলেন, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট চাম্বল বাজারে আমরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে যোগদান করি। সেদিন আমাদের সাথে যোগ দেয় বিভিন্ন কলেজের ছাত্ররাও। কিন্তু মোস্তাফিজ ও লিটনের অনুসারী সন্ত্রাসী বেলাল এর নেতৃত্বে শতাধিক আওয়ামী কর্মীসমর্থক আমাদের ব্যানারে ছিঁড়ে ফেলে। সেদিন আমাদের কয়েকজনের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এতকিছুর পরও বেলাল এখন বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

অভিযোগ উঠেছে, বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলমের বিশেষ সহযোগী হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বেলাল ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নিজেকে কখনো সাংবাদিক, আবার কখনো সমাজ কর্মী পরিচয় দিচ্ছেন।

মনোয়ার নামে এক যুবদল নেতা বলেন, “ স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই বেলাল আওয়ামী লীগ এর রাজনীতির সাথে সক্রিয় থাকাকালিন সময় এলাকার বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছেন। তবে ৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কয়েকদিন সে গা ঢাকা দিলেও বর্তমানে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন, সবকিছু ম্যানেজ হয়ে গেছে।”

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পূর্বে দেশব্যাপী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নিজ এলাকায় পুলিশের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে করিয়েছেন গ্রেপ্তার। রাজনৈতিক পরিচয়ের অপব্যবহার করে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জায়গা দখলসহ নানান অপরাধ মূলক কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন এই সন্ত্রাসী বেলাল। বর্তমানে তাকে চট্টগ্রাম শহরস্থ বহদ্দারহাট এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।