১২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
অনিন্দ্য দত্ত নিজস্ব প্রতিবেদক:

আর গান গাইবেন না ফরিদা পারভীন

  • প্রকাশিত ১২:২৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১১ বার দেখা হয়েছে

এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা-সুরমা নদীর তটে’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে প্রেমের কী সাধ আছে বলো’,
‘খাঁচার ভিতর’, ‘বাড়ির কাছে আরশি নগর’ ইত্যাদি গানের কিংবদন্তী সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরলোকগমন করেন।
সঙ্গীতে অবদানের জন্য ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন।অন্ধ
প্রেম চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য ১৯৯৩ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ নারী সঙ্গীত শিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি ফুকুওয়াকা এশীয় সাংস্কৃতিক পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ও অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার পেয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা
পারভীন। কিছুদিন ধরে সপ্তাহে দুই দিন তাকে
ডায়ালাইসিস করাতে হত। গত ২রা সেপ্টেম্বর
নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে মহাখালীর
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার
অবনতি হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে
ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। সে থেকে তিনি
হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে চিকিৎসকদের
সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালে ৩১শে ডিসেম্বর, নাটোরের সিংড়া থানায়।মৃত্যু কালে তার বয়স ছিলো ৭০ বছর, ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর
বয়সে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়।ফরিদা পারভীন প্রখ্যাত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আবু জাফরকে বিয়ে করেন। তিনি চার সন্তানের জননী। তার মেয়ের নাম জিহান ফারিয়া আর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলের নাম ইমাম নিমেরি উপল, মেজ ছেলের নাম ইমাম নাহিল সুমন এবং ছোট ছেলের নাম ইমাম নোমানি রাব্বি।
আবু জাফরের সাথে তার বিচ্ছেদের পরে তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিমের সাথে দ্বিতীয় বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

Tag :
জনপ্রিয়

আলোর যুগে অন্ধকারে আছে রাঙ্গামাটির ৪০ হাজার মানুষ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১০০ টি বিদ্যালয়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সংযোগ চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে অর্ন্তবর্তী সরকার

অনিন্দ্য দত্ত নিজস্ব প্রতিবেদক:

আর গান গাইবেন না ফরিদা পারভীন

প্রকাশিত ১২:২৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা-সুরমা নদীর তটে’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে প্রেমের কী সাধ আছে বলো’,
‘খাঁচার ভিতর’, ‘বাড়ির কাছে আরশি নগর’ ইত্যাদি গানের কিংবদন্তী সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন ২০২৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পরলোকগমন করেন।
সঙ্গীতে অবদানের জন্য ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে একুশে পদক লাভ করেন।অন্ধ
প্রেম চলচ্চিত্রে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য ১৯৯৩ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ নারী সঙ্গীত শিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৮ সালে তিনি ফুকুওয়াকা এশীয় সাংস্কৃতিক পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ও অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার পেয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন ফরিদা
পারভীন। কিছুদিন ধরে সপ্তাহে দুই দিন তাকে
ডায়ালাইসিস করাতে হত। গত ২রা সেপ্টেম্বর
নিয়মিত ডায়ালাইসিসের অংশ হিসেবে মহাখালীর
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
কিন্তু ডায়ালাইসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার
অবনতি হয়। এরপর চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে
ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। সে থেকে তিনি
হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত বুধবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে চিকিৎসকদের
সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালে ৩১শে ডিসেম্বর, নাটোরের সিংড়া থানায়।মৃত্যু কালে তার বয়স ছিলো ৭০ বছর, ১৯৬৮ সালে মাত্র ১৪ বছর
বয়সে ফরিদা পারভীনের পেশাদার সংগীতজীবন শুরু হয়।ফরিদা পারভীন প্রখ্যাত গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী আবু জাফরকে বিয়ে করেন। তিনি চার সন্তানের জননী। তার মেয়ের নাম জিহান ফারিয়া আর তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলের নাম ইমাম নিমেরি উপল, মেজ ছেলের নাম ইমাম নাহিল সুমন এবং ছোট ছেলের নাম ইমাম নোমানি রাব্বি।
আবু জাফরের সাথে তার বিচ্ছেদের পরে তিনি বাংলাদেশের বিখ্যাত বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিমের সাথে দ্বিতীয় বারের মতো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।