হিন্দুরা সংগঠন করে কিন্তু সংঘটিত হতে পারে না।!
আমার দেখা গত ১ দশকে ১০০০ এরও বেশি নতুন নতুন নামে বেনামে সংগঠন গড়ে উঠেছে, গড়ে উঠেছে হাজারো কমিটি, নেতা-নেতৃত্ব, কিন্তু একজনও সূর্যসেন, প্রীতিলতা, বিনয়, বাদল, দীনেশ তৈরি হয়নি!!
তৈরি হয়নি সামগ্রিক হিন্দু জাতি রক্ষার্থে আদর্শিক আত্মনিবেদিতপ্রাণ কোন নিষ্কাম নায়ক! যে শতসম্মুখ সমরে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে জাতিকে আলোর পথ দেখাবে! ভেঙে দিবে হিন্দু জাতির উপর প্রায় শত বছরের শৃংখল।
ভোরের সূর্যের মতো আকাশকে ভেদ করে নেতৃত্বের আলো ছড়িয়ে নেতার আবির্ভাব হলেও দুপুর গড়ানোর আগেই দালালি, চাটুকারিতা আর স্বার্থচিন্তার চাদরে জড়িয়ে সন্ধ্যার অন্ধকারে ভিন্ন রূপের প্রকাশ! এ যেন কেবলি চকচকে কাঁচের মধ্য হীরার অবয়ব!!
বিভিন্ন নামে-বেনামে সংগঠন গড়ে উঠলেও ছবির রাজনীতি (সেলফিবাজী) কিংবা আত্মজাহির রাজনীতির মধ্যই নেতাদের সীমাবদ্ধ থাকতে দেখা যায়, যা কখনো কোনো জাতিসত্তা রক্ষায় ভূমিকা রেখেছে ইতিহাসে অস্তিত্ব নেই।
তবে কখনোবা কালেভদ্রে ২/১জন হিন্দুনেতা নামক কালপুরুষের দেখা মিললেও কাকড়ার দল পিছন থেকে টেনে হিচরে তাকে নামিয়ে দেয়।
বর্তমান বাজারে ‘হিন্দুনেতা’ শব্দটি শুনলেই সাধারণ হিন্দুরা ভয়ে আঁতকে উঠে, এ আবার কে আসলো আমাদের নিয়ে নতুন করে ছিনিমিনি খেলতে!!
সাধারণ হিন্দুরা বারবার ভুল নেতৃত্বের ওপর ভরসা করে ঠকেছে, ঠকতে ঠকতে তারা নিঃস্ব, সর্বশান্ত, এখন দিশেহারা।
যেখানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, শ্রীরামচন্দ্রের মতো ত্রিভুবন জয়ী মহারাজনীতিবিদ, মহাযোদ্ধা হিন্দুদের আদর্শ, সেখানে নেতৃত্বহীন, স্বার্থপরতায়পূর্ণ হিন্দু সমাজ! এর থেকে হিন্দুদের লজ্জার আর কিছুই হয়না।
চলবে…..