০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
খায়রুল আলম বিপ্লব :

আওয়ামীলীগ নেতার প্রভাবে প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছেমতো স্কুল পরিচালনা

  • প্রকাশিত ০৮:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৯ বার দেখা হয়েছে

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হারিয়ারকুঠি ইউনিয়নের চাঁদেরপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সহিদার রহমান বাট্টুর প্রভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: ফারজানা আফরোজ নিজের ইচ্ছেমতো স্কুল পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রধান শিক্ষক নিয়মিত রংপুরে অবস্থান করায় স্কুলে উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কখনও সকাল ১১টায়, আবার কখনও ১০টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তিনি সকাল ১০টায় উপস্থিত হন।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৭ জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও ওইদিন উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২ জন শিক্ষক উম্মে কুলসুম ও মো: নুরুল হক। বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৯৩ জন শিক্ষার্থী থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৬ জন।
প্রধান শিক্ষক মোছা: ফারজানা আফরোজ উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, তিনি নিয়মিত ও যথাসময়ে বিদ্যালয়ে আসেন।

এদিকে অফিস সহকারী কাম নৈশপ্রহরী এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সহিদার রহমান বাট্টু বলেন, যখন দল ক্ষমতায় ছিল তখন রাজনীতি করতাম। এখন তো আর দল ক্ষমতায় নাই।

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা শিলভীয়া খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানলাম।

তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভঙ্গ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা

খায়রুল আলম বিপ্লব :

আওয়ামীলীগ নেতার প্রভাবে প্রধান শিক্ষকের ইচ্ছেমতো স্কুল পরিচালনা

প্রকাশিত ০৮:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হারিয়ারকুঠি ইউনিয়নের চাঁদেরপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সহিদার রহমান বাট্টুর প্রভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: ফারজানা আফরোজ নিজের ইচ্ছেমতো স্কুল পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

প্রধান শিক্ষক নিয়মিত রংপুরে অবস্থান করায় স্কুলে উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি কখনও সকাল ১১টায়, আবার কখনও ১০টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিদ্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তিনি সকাল ১০টায় উপস্থিত হন।
বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ মোট ৭ জন শিক্ষক কর্মরত থাকলেও ওইদিন উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২ জন শিক্ষক উম্মে কুলসুম ও মো: নুরুল হক। বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৯৩ জন শিক্ষার্থী থাকার কথা থাকলেও উপস্থিত ছিলেন মাত্র ৬ জন।
প্রধান শিক্ষক মোছা: ফারজানা আফরোজ উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, তিনি নিয়মিত ও যথাসময়ে বিদ্যালয়ে আসেন।

এদিকে অফিস সহকারী কাম নৈশপ্রহরী এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সহিদার রহমান বাট্টু বলেন, যখন দল ক্ষমতায় ছিল তখন রাজনীতি করতাম। এখন তো আর দল ক্ষমতায় নাই।

এ বিষয়ে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাগমা শিলভীয়া খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানলাম।

তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।