০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে কিশোরগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি

  • প্রকাশিত ০৬:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : জেলায় প্রচণ্ড তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি এসেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে জেলা শহরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় মুসলধারে বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো হাওয়া দেখা গেছে। এ বৃষ্টির পর কিছুটা প্রশান্তি অনুভব করেছেন স্থানীয়রা। তবে, জেলার হাওরাঞ্চলের কৃষকদের ধারণা বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টি বা বজ্রপাত হলে বোরো ধান কাটার সমস্যা হবে।

জেলার নিকলি আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে কিশোরগঞ্জ জেলায় তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি। সেই সাথে তাপদাহও ছিল কয়েকদিন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, যা গতকাল সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

এছাড়াও তিনি জানান, আগামী শুক্রবার ও শনিবারে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ তাপদাহের মাধ্যে বৃষ্টির আগমন স্থানীয় খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে। তবে, হাওরাঞ্চলের কৃষকরা চিন্তিত রয়েছেন বোরো ধান কাটা নিয়ে। ভারী বৃষ্টিপাত বা শিলা বৃষ্টি শুরু হলে ধান কর্তন এবং মাড়াইয়ে বিপত্তি সৃষ্টি হতে পারে।

নিকলী হাওরের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, এখন ভারী বৃষ্টিপাত বা শিলা বৃষ্টি হলে ধানের উৎপাদন নষ্ট হতে পারে। এতে আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

অবশেষে কিশোরগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশিত ০৬:২০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : জেলায় প্রচণ্ড তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি এসেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে জেলা শহরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় মুসলধারে বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ো হাওয়া দেখা গেছে। এ বৃষ্টির পর কিছুটা প্রশান্তি অনুভব করেছেন স্থানীয়রা। তবে, জেলার হাওরাঞ্চলের কৃষকদের ধারণা বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টি বা বজ্রপাত হলে বোরো ধান কাটার সমস্যা হবে।

জেলার নিকলি আবহাওয়া অফিসের বেলুন মেকার আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে কিশোরগঞ্জ জেলায় তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি। সেই সাথে তাপদাহও ছিল কয়েকদিন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, যা গতকাল সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

এছাড়াও তিনি জানান, আগামী শুক্রবার ও শনিবারে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ তাপদাহের মাধ্যে বৃষ্টির আগমন স্থানীয় খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে। তবে, হাওরাঞ্চলের কৃষকরা চিন্তিত রয়েছেন বোরো ধান কাটা নিয়ে। ভারী বৃষ্টিপাত বা শিলা বৃষ্টি শুরু হলে ধান কর্তন এবং মাড়াইয়ে বিপত্তি সৃষ্টি হতে পারে।

নিকলী হাওরের কৃষক হাবিবুর রহমান জানান, এখন ভারী বৃষ্টিপাত বা শিলা বৃষ্টি হলে ধানের উৎপাদন নষ্ট হতে পারে। এতে আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর