স্বদেম বিচিত্রা নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রথম ৯০ দিনের কার্যকালের তার ওপর অর্পিত এটি দায়িত্বের কোনটিই তিনি প্রতিপালন করেননি। আর সংস্থাটিকে দধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপনের প্রশাসক হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএইচএম নূরুল ইসলামকে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রন শাখা গত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ এক অফিস আদেশে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে প্রধানত ৪টি শর্তসাপেক্ষে। শর্তগুলোতে প্রশাসকের কর্মপরিধি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তার মুখ্য দায়িত্বের মধ্যে ছিল সর্বশেষ নির্ধারিত কার্যনিবাহী কমিটির কাছে থেকে সরাসরি দায়িত্বভার গ্রহণ, স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ রেজিস্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬১ বিধিমালা ১৯৬২ এবং সংস্থার অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের অলোকে বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের মধ্যে সংস্থার কার্যনিবাহী কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্প্রকরণ এবং নির্বাচন ও অন্য আনুষ্ঠানিকতা বিধি মোতাবেক সম্ভব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন কার্যনিবাহী কমিটির কাছে সাহিত্বভার হস্তান্তর। এর কোনটিই নূরুল ইসলাম করেননি।
বিধি বহির্ভূতভাবে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বরখাস্তসহ তহবিল তছরুপ করেছেন। ফলে সংস্থাটির কার্যক্রম একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে তার মেয়াদ ও দফা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সাবেক সচিব নূরুল ইসলামকে বেসরকারি সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা উদ্দীপনের জন্য নিয়োগকৃত প্রশাসকের কর্ম মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তরের স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ শাখা কর্তৃক আর কর্মকালের মেয়াদ বৃদ্ধিও কারণে সংস্থাটির একেবারে দাংসের দ্বার প্রায়ে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী গোষ্ঠীর কার্য সুরক্ষা হবে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সপ্তরের চেয়ারমান থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী নূরুল ইসলামকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির অতিরিক্ত দায়িত্ব বৃদ্ধি করে নতুন কোন খড়যন্ত্রের উস্কানি কিনা
নির্ভর যোগ্য সূত্রের তথ্য অনুযায়ী নূরুল ইসলাম তার কর্মজীবন কাটিয়েছেন সূক্ষ্ম যড়যন্ত্রের মাধ্যমে। তার কর্মস্থলে নিজের সুবিধা মতো দায়িত্ব পেতে সুকৌশলে উর্ধ্বতনদের বশীভূত করে স্থায়ী হয়েছেন। তিনি তদবির করে নিজের পছন্দের জায়গায় পোস্টিং নিতেন। সুবিধাভোগী এই কর্মকর্তাকে ২০০৪ সালের ৩ জুন বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের তার বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া অবসরের আদেশকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় প্রদান করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট ২ বিচারপতির আদালত। চাকরি ফিরে পেয়ে দৈনিক প্রথম আলোতে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন দ্বিতীয় মেয়াদে বেপরোয়া হন। এই সাক্ষাৎকার যখন তিনি দেন তখন অবসরে চলে গেছেন এবং সুকৌশলে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন। নূরুল ইসলাম বর্তমানে ড. ইউনুস সরকারের অধীনে জ্বালানি মন্ত্রণালায়ের গ্যাস ট্রান্সমিশন কোং লিঃ এর (জিটিসিএল) চেয়ারম্যান ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উদ্দীপনের প্রশাসক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক সায়িত্ব পালন করছেন।
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবারও তদবির করে এক্সটেশন করে নিয়েছেন। এই সংস্থায় দায়িত্ব নেয়ার পর ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মধ্যেমে এর কর্মকান্ড খাদে নিয়ে গেছেন অথচ যড়যন্ত্রকারী এই এনমাই ইসলাম অভিসিক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগী হিসেবে পরিচিত এন এই খান এবং বর্তমানে এনআই খান লন্ডনে বসে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন বলেও জানা গেছে। দুই ষড়যন্ত্রকারী ধারাবাহিক যড়যন্ত্রের কারণে উদ্দীপন ডুবতে বসেছে বলে এর সাথে সংশ্লিষ্ট অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এদিকে দ্রুত উদ্দীপনের নির্বাচন আয়োজন করতে হাইকোর্টে একটি রীট আবেদন করা হয়েছে। তিনি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ১৫ জন পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং মামলায় সংশ্লিষ্ট আলামত গুলো বিক্রিত করেছেন যা ফৌজধারী অপরাধের সামিল।
স্বদেম বিচিত্রা/এআর