০৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আনভিল বাপ্পি - ঘোড়াঘাট প্রতিনিধিঃ

ঘোড়াঘাটে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত ০২:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • ৪৮ বার দেখা হয়েছে

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট হিলি মোড়ে ওসমানপুর সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯মে) বিকালে উপজেলা চত্বরে ওসমানপুর, খোদাদাতপুর, হায়দারনগর, আফছারাবাদ, নুরজাহানপর কলোনী বাসীর পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন, আফছারাবাদ কলোনীর বাসিন্দা সহকারী অধ্যাপক জালাল উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তৎকালীন ভারত স¤্রাট অধীনে ভারতীয় মুসলিম সৈনিকগণ পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে আগত মুসলিম রিফিউজি সৈনিক ও তাদের পরিবারবর্গকে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে তৎকালীন সরকার ৬৮/৪ অফ ৫২-৫৩ নং এল.এ কেসমূলে অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে স্থায়ীভাবে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে বসবাস ও চাষাবাদের জন্য প্রত্যেক মহাজেরদরকে ৫ একর করে জমি বরাদ্দ প্রদান করে। এতে আমাদের মৌরশগণ বাড়িঘর নির্মাণ করে খাজনা-খারিজ ও এস.এ খতিয়ান প্রস্তুত করে। পরবর্তীতে সন সন খাজনাদি প্রদান করে আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে ভোগদখল করে আসতেছি। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষ মিলিটারী ফ্যামিলি রিহ্যাবিলিটেশন অফিস (এম.এফ.আর.ও) কর্তৃপক্ষ উক্ত জমি বেআইনী স্বত্ব দাবি করে বিধি বহির্ভূত ৯৯ বৎসরের জন্য লিজ/কবুলিয়াত নেওয়ার জন্য জুলুম করে আসছে। আমরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বর্তমান আর.এস জরিপে ২৯, ৩০ ও ৩১ বিধি ধারায় কেস দিয়ে উক্ত জমি তাদের নামে রেকর্ড করার জোর অপচেষ্টা চালিয়ে কৌশলে হুমকি প্রদর্শণ করে আসছে। ইতোমধ্যে ওসমানপুরে একটি সেনা ক্যাম্প স্থাপন করেছে।
বর্তমানে আমরা মহাজের পরিবার সহ বন্যা কবলিত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নিঃস্ব ও অসহায় হাজার হাজার পরিবার চরম উৎকন্ঠা, আতঙ্কিত অবস্থায় নিরাপত্তা হীনতায় মানবেতর জীবনযাপন করতেছি। এ অবস্থায় সেনা ক্যাম্প করায় আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদে জানাচ্ছি।
অপরদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কলোনী বাসীর পক্ষ ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে সমবেত হাজার হাজার জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, এখানে একটি সুন্দর ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। এটিই শেষ আলোচনা নয়। সবাইকে শান্ত থেকে বিষয়টি মোকাবেলা করতে হবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

শেষে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে কোন আলোচনা করতে হলে প্রয়োজনে আমার নিকট আসবেন। আমি তাদের সাথে কথা বলে আপনাদের আলোচনার ব্যবস্থা করে দিবো।
এ সময় মোঃ নায়িম সহ ভুক্তভোগীরা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃক পক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করে বিষয়টি সমাধানের জোর দাবি জানান।

Tag :
জনপ্রিয়

জীবনের হিসেব মিলাতে গিয়ে ভালোবাসার কাছে প্রেমিক প্রেমিকারা নিজেদের সংযত রেখেছে।

আনভিল বাপ্পি - ঘোড়াঘাট প্রতিনিধিঃ

ঘোড়াঘাটে সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত ০২:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট হিলি মোড়ে ওসমানপুর সেনা ক্যাম্প স্থাপনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯মে) বিকালে উপজেলা চত্বরে ওসমানপুর, খোদাদাতপুর, হায়দারনগর, আফছারাবাদ, নুরজাহানপর কলোনী বাসীর পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন, আফছারাবাদ কলোনীর বাসিন্দা সহকারী অধ্যাপক জালাল উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তৎকালীন ভারত স¤্রাট অধীনে ভারতীয় মুসলিম সৈনিকগণ পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে আগত মুসলিম রিফিউজি সৈনিক ও তাদের পরিবারবর্গকে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে ১৯৫৩ সালে তৎকালীন সরকার ৬৮/৪ অফ ৫২-৫৩ নং এল.এ কেসমূলে অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে স্থায়ীভাবে পুর্নবাসনের লক্ষ্যে বসবাস ও চাষাবাদের জন্য প্রত্যেক মহাজেরদরকে ৫ একর করে জমি বরাদ্দ প্রদান করে। এতে আমাদের মৌরশগণ বাড়িঘর নির্মাণ করে খাজনা-খারিজ ও এস.এ খতিয়ান প্রস্তুত করে। পরবর্তীতে সন সন খাজনাদি প্রদান করে আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে ভোগদখল করে আসতেছি। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষ মিলিটারী ফ্যামিলি রিহ্যাবিলিটেশন অফিস (এম.এফ.আর.ও) কর্তৃপক্ষ উক্ত জমি বেআইনী স্বত্ব দাবি করে বিধি বহির্ভূত ৯৯ বৎসরের জন্য লিজ/কবুলিয়াত নেওয়ার জন্য জুলুম করে আসছে। আমরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বর্তমান আর.এস জরিপে ২৯, ৩০ ও ৩১ বিধি ধারায় কেস দিয়ে উক্ত জমি তাদের নামে রেকর্ড করার জোর অপচেষ্টা চালিয়ে কৌশলে হুমকি প্রদর্শণ করে আসছে। ইতোমধ্যে ওসমানপুরে একটি সেনা ক্যাম্প স্থাপন করেছে।
বর্তমানে আমরা মহাজের পরিবার সহ বন্যা কবলিত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নিঃস্ব ও অসহায় হাজার হাজার পরিবার চরম উৎকন্ঠা, আতঙ্কিত অবস্থায় নিরাপত্তা হীনতায় মানবেতর জীবনযাপন করতেছি। এ অবস্থায় সেনা ক্যাম্প করায় আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদে জানাচ্ছি।
অপরদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কলোনী বাসীর পক্ষ ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেন। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে সমবেত হাজার হাজার জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, এখানে একটি সুন্দর ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। এটিই শেষ আলোচনা নয়। সবাইকে শান্ত থেকে বিষয়টি মোকাবেলা করতে হবে। এছাড়া সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা কাউকে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

শেষে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ইউএনও রফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে কোন আলোচনা করতে হলে প্রয়োজনে আমার নিকট আসবেন। আমি তাদের সাথে কথা বলে আপনাদের আলোচনার ব্যবস্থা করে দিবো।
এ সময় মোঃ নায়িম সহ ভুক্তভোগীরা বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃক পক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করে বিষয়টি সমাধানের জোর দাবি জানান।