গত কয়দিন যাবত বগুড়া নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল মিজানুর রহমান বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ এবং দোকানে দোকানে গিয়ে ঈদ সালামি নামে চাঁদা দাবি করে আসছেন কনস্টেবল মিজানুর রহমান ।
ভুক্তভোগী গৌতম কুমার শীল (২০) পিতা গোকুল চন্দ্র শীল, গ্রাম সাবগ্রাম পালপাড়া, বগুড়া। তিনি দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিার বিশেষ প্রতিনিধি কে জানান তার কাছ থেকে ২৫০ দুইলক্ষ পঞ্চাশ হাজার ( আড়াইলক্ষ )টাকা নিয়েছে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে,। এ বিষয়ে গৌতম কুমার শীল কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমাকে পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে মিজানুর রহমান নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল আমার মামার থেকে আরাইলক্ষ টাকা বুঝিয়ে নেয় তাহার মামার বাড়িতে, সর্বমোট তার সাথে কন্টাক হয় ৫ লক্ষ টাকার। আড়াই লক্ষ টাকা অগ্রিম দিতে হবে আর বাকি টাকা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাওয়ার পরে পরিশোধ করতে হবে,। এই বলে তার কাছ থেকে কাগজপত্র ডকুমেন্ট সবকিছু নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল পদে বগুড়া জেলায় অনলাইনে আবেদন নিজেই করেন মিজানুর রহমান এবং অনলাইন কাগজের ফটো দেখায় গৌতম কুমার শীল কে।
মিজানুর রহমান আরো জানায় তাকে মাঠেও যেতে হবে না বাড়িতে বসেই সে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পাবে যদি আরও ২ লক্ষ টাকা দেয় । গৌতম কুমার শীল জানায় যেহেতু আমার হাতে ব্লেড দিয়ে কাটা আছে তাই আমি মাঠে যায়ে আনফিট হওয়ার ভয়ে তাকে আরো দুই লাখ টাকা দেওয়ার শিকার হই,। এ বিষয়ে যখন সে জানতে পারেন পুরোটাই মিথ্যা এবং ভুয়া সাজানো তখন তিনি নারুলি পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নাজমুল হাসানকে বিষয়টি জানান, । সঠিক সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি উপযুক্ত শাস্তি স্বরূপ কনস্টেবল মিজানুর রহমানকে কনস্টেবল নং (৭৫০) পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে তাহার উদ্বোধন ও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে । এবং গৌতম কুমার শীল এর বাবার সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা চুল কেটে খাই অনেক কষ্ট করে ধার কব্জা করে টাকা দিয়েছি এখন এর টাকা টেনশনে আমি প্রায় অসুস্থ এর সঠিক বিচার চাই ।
এদিকে কয়দিন যাবত কনস্টেবল মিজানুর রহমান নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ক্লোজ হয়ে পুলিশ লাইনে যাওয়ার বিষয়টি গোপন রাখেন সেই সুযোগে প্রায় তিন থেকে চারটি দোকানে এসে ঈদ সালামীর নামে দশ থেকে ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে ।
সাবগ্রাম ঝরনা টেলিকম, মানিক ইলেকট্রিক, আরাধ্যা মেডিকেল হল এসে তাদেরকে ঈদ সালামীর নামে টাকার দাবি করে ইহার উপযুক্ত প্রমাণস্বরূপ এলাকাবাসী সাক্ষী রয়েছেন বলে জানা গেছে । ভুক্তভোগী দোকানদারদের সাথে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সাথে কথা বললে তারা বলেন তাকে মাঝে মাঝে টাকা পয়সা দিতে হতো তবে এত বেশি পরিমাণ না একহাজার থেকে দুই হাজার টাকা করে তাকে মাঝে মাঝে দিতাম । এ বিষয়ে দোকানদারদের সাথে কথা বললে কেন টাকা দিতেন- কনস্টেবল মিজানুর রহমান ব্যক্তিগতভাবে নাকি রাতের বেলায় টহল দেয় দোকান ঘর পাহারা দেয় এজন্য তাদেরকে এই টাকা দিতে হতো । যেহেতু আমাদের মার্কেটে কোন সিকিউরিটি নেই বা নাইট গার্ড নেই সেজন্য দিতাম ।
এ বিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মইনুদ্দিন সাথে যোগাযোগ করলে তিনি পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে বলেন, পরবর্তীতে সদর সার্কেল পুলিশ অফিসার সাথে কথা বললে তিনি একই কথা বলেন ।
এ বিষয়ে কনস্টেবল মিজানুর রহমান সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায় না পরবর্তী পুলিশ লাইনে খোঁজখবর নিয়ে তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে কৌশলে এড়িয়ে যান ।
ভুক্তভোগীদের দাবি তারা কনস্টেবল মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনগত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যপ্ত করেন দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সঞ্জয় চন্দ্র শীলের নিকট বিষয়টি পুলিশ সুপার মহোদয় বরাবর জানানোর জন্য অনুরোধ জানান দোকানদাররা ।
০৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
বগুড়া জেলা বিশেষ প্রতিনিধি (সঞ্জয় চন্দ্র শীল)
বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল মিজানুর রহমান চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা আত্বসাত এবং দোকানে দোকানে গিয়ে চাঁদাবাজি দাবি ।
Tag :
জনপ্রিয়