০৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কালাই জয়পুরহাট প্রতিনিধি :

চলাচলের অনুপযোগী অবহেলিত ১ কি.মি. মাটির রাস্তার দুর্ভোগে এলাকাবাসী

  • প্রকাশিত ০৫:৩২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • ১৭ বার দেখা হয়েছে

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের পুনট পূর্বপাড়া থেকে বাশের ব্রীজ পর্যন্ত ১ কি. মি দৈর্ঘ্যের কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। যার ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের প্রায়১০ হাজারের অধিক মানুষ।

মাটির এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই আসা-যাওয়া করছে ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলসহ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে ভ্যান, রিক্সা, মোটর সাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ যাত্রীরা সবসময়ই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে রাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুনট পুর্ব পাড়া থেকে বাঁশের ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও হাটু পরিমাণ গর্ত ও কাঁদামাটি। দুর্ঘটনা এড়াতে হেটে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ।

ব্যাটারী চালিত অটো ভ্যান নিয়ে আসা চালক লাল মিয়া জানান, পুনট,শিকটা,ডিংরাপাড়াসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে প্রায় দশ হাজারের অধিক মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে কিন্তু দীর্ঘদিন থেকেই এ রাস্তাটি কাঁচা আছে, পাকাকরণ করা হয়নি। আমরা ভ্যানে যাত্রী তুলে এ রাস্তা দিয়ে যেতে পারি না রাস্তাটি পাকা হলে সবার ই সুবিধা।

শিকটা গ্রামের এমদাদুল জানান, বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে এক হাঁটু পরিমান কাঁদা, যার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। এ রাস্তা দিয়ে আমাদের মত কৃষকেরা ধান, চাল, আলু কিচকের হাট সহ বিভিন্ন হাটবাজারে সহজে এবং কম সময়ে নিয়ে যেতে পারবে কিন্তু রাস্তা পাকা না থাকায় ৫-৬ কি. মি ঘুরে নিয়ে যেতে হয়। ফলে টাকা ও সময় নস্ট হয়। এ রাস্তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত আমরা সাধারণ মানুষ।

ডিংরাপাড়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মো: তবিজ বলেন ব্রিটিশ আমল থেকে এই রাস্তা থাকলেও আজ পর্যন্ত পাকা হয়নি। বারবার শুধু মেপে যায় কিন্তু রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষা এলেই হাঁটু পরিমাণ কাদা হয়। হেটে যাওয়ার ও উপযোগী থাকেনা। আমরা চলাচল করতে পারিনা খুব কস্ট হয়। সরকার যেন রাস্তাটা করে দেয়।

জানা গেছে ৬০ বছরের বেশি বয়স এ রাস্তাটির কোনো এক কারনে পাকাকরণ হয়নি তবে রাস্তা টি পাকাকরণ হলে আশেপাশে গ্রাম সহ সবার উপকার হবে। আসন্ন বর্ষার আগেই যেন রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হয় সরকারের কাছে এটা ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের দাবি।

এ বিষয়ে উপজেলা ইন্জিনিয়ার মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, কালাই উপজেলার পুনট হাটের রাস্তাটি ইনভেনটরি পূর্ন রাস্তা যার দৈর্ঘ্য আছে ৭১০ মিটার ইতিমধ্যে ৭১০ মিটার রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয়েছে কিন্তু রাস্তাটির দৈর্ঘ্য অনেক বেশি যা কাঁচা অবস্থায় আছে ইনভেনটরিতে দৈর্ঘ্য না থাকার কারণে বাকি অংশ পাকাকরণ এর উদ্যোগ নিতে পারছি না। রাস্তটির দৈর্ঘ্য সংশোধন এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এ রাস্তাটির উন্নয়ন করা সম্ভব না।কালাই জয়পুরহাট প্রতিনিধি ০১৭১৪ ৪২ ১০২৩

Tag :
জনপ্রিয়

রাজউকের মোবাইল কোর্টের সংবাদ সংগ্রহ করায় গনমাধ্যম কর্মীকে আঘাত

কালাই জয়পুরহাট প্রতিনিধি :

চলাচলের অনুপযোগী অবহেলিত ১ কি.মি. মাটির রাস্তার দুর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রকাশিত ০৫:৩২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের পুনট পূর্বপাড়া থেকে বাশের ব্রীজ পর্যন্ত ১ কি. মি দৈর্ঘ্যের কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে। যার ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের প্রায়১০ হাজারের অধিক মানুষ।

মাটির এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিনই আসা-যাওয়া করছে ভ্যান, ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, মোটরসাইকেলসহ ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে ভ্যান, রিক্সা, মোটর সাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাসহ যাত্রীরা সবসময়ই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে রাতে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুনট পুর্ব পাড়া থেকে বাঁশের ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও হাটু পরিমাণ গর্ত ও কাঁদামাটি। দুর্ঘটনা এড়াতে হেটে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ।

ব্যাটারী চালিত অটো ভ্যান নিয়ে আসা চালক লাল মিয়া জানান, পুনট,শিকটা,ডিংরাপাড়াসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে প্রায় দশ হাজারের অধিক মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে কিন্তু দীর্ঘদিন থেকেই এ রাস্তাটি কাঁচা আছে, পাকাকরণ করা হয়নি। আমরা ভ্যানে যাত্রী তুলে এ রাস্তা দিয়ে যেতে পারি না রাস্তাটি পাকা হলে সবার ই সুবিধা।

শিকটা গ্রামের এমদাদুল জানান, বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে এক হাঁটু পরিমান কাঁদা, যার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের। এ রাস্তা দিয়ে আমাদের মত কৃষকেরা ধান, চাল, আলু কিচকের হাট সহ বিভিন্ন হাটবাজারে সহজে এবং কম সময়ে নিয়ে যেতে পারবে কিন্তু রাস্তা পাকা না থাকায় ৫-৬ কি. মি ঘুরে নিয়ে যেতে হয়। ফলে টাকা ও সময় নস্ট হয়। এ রাস্তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত আমরা সাধারণ মানুষ।

ডিংরাপাড়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি মো: তবিজ বলেন ব্রিটিশ আমল থেকে এই রাস্তা থাকলেও আজ পর্যন্ত পাকা হয়নি। বারবার শুধু মেপে যায় কিন্তু রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষা এলেই হাঁটু পরিমাণ কাদা হয়। হেটে যাওয়ার ও উপযোগী থাকেনা। আমরা চলাচল করতে পারিনা খুব কস্ট হয়। সরকার যেন রাস্তাটা করে দেয়।

জানা গেছে ৬০ বছরের বেশি বয়স এ রাস্তাটির কোনো এক কারনে পাকাকরণ হয়নি তবে রাস্তা টি পাকাকরণ হলে আশেপাশে গ্রাম সহ সবার উপকার হবে। আসন্ন বর্ষার আগেই যেন রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হয় সরকারের কাছে এটা ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের দাবি।

এ বিষয়ে উপজেলা ইন্জিনিয়ার মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, কালাই উপজেলার পুনট হাটের রাস্তাটি ইনভেনটরি পূর্ন রাস্তা যার দৈর্ঘ্য আছে ৭১০ মিটার ইতিমধ্যে ৭১০ মিটার রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয়েছে কিন্তু রাস্তাটির দৈর্ঘ্য অনেক বেশি যা কাঁচা অবস্থায় আছে ইনভেনটরিতে দৈর্ঘ্য না থাকার কারণে বাকি অংশ পাকাকরণ এর উদ্যোগ নিতে পারছি না। রাস্তটির দৈর্ঘ্য সংশোধন এর জন্য আবেদন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এ রাস্তাটির উন্নয়ন করা সম্ভব না।কালাই জয়পুরহাট প্রতিনিধি ০১৭১৪ ৪২ ১০২৩