০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সাইফুর মিনা, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান

ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে খুলনা প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী মায়ের সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত ১০:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • ৮ বার দেখা হয়েছে

খালিশপুর হাউজিং এস্টেট এন/ই-৪৮ নং প্লটের
বাসিন্দা মৃত তৈয়ব আলীর স্ত্রী জামিলা বেগম মাদকাসক্ত সন্তানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে খুলনা প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামের হল রুমে ১০মে দুপুর ১২.৩০মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করেন। জামিলা বেগম বিগত ২১শে মার্চ ২০০৪ সালে স্বামীকে হারিয়ে মৃত তৈয়ব আলীর ৪ সন্তান স্ত্রী সহ মোট ০৫ (পাঁচ) জনকে ওয়ারেশ রেখে যান মৃত তৈয়ব আলী, স্ত্রী জামিলা বেগম চার সন্তানের জননী ২০০৪ সালে স্বামীকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে জীবন যুদ্ধ শুরু করেন, মেজো ছেলে রাহাত আলী (জসীম) পরিবারের অবাধ্য হয়ে অসৎ সঙ্গে বেপরোয়া হয়ে ওঠে তখন অসৎ সঙ্গের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের লোকজন ব্যর্থ হন (জসীম) ঘরের সোনাদানা বিভিন্ন সময় চুরি করে আমাদের অতিষ্ঠ করে তোলে এবং তার ভাগের অংশ দাবি করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শালিশের মাধ্যমে মরহুম তৈয়ব আলীর রেখে যাওয়া ব্যবসা ও সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করে তার ভাগের অর্থ বুঝে নেয়। তারপরও সে পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন কার্যক্রমে মাতা জামিলা বেগম অতিষ্ঠ হয়ে সন্তানকে এফিডেভিটের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করে সেই থেকেই সে পরিবারের বর্তমানে কিছুদিন ধরে আবারো বেপরোভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকিধমকি প্রদর্শন করে আসছে। কতটা নিকৃষ্ট হলে গর্ভধারিনী মায়ের গায়ে হাত তোলে একপর্যায়ে পরিবারের ছেলে মেয়ে সকলকে নিয়ে জামিলা বেগম খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হন পরিবারকে বাঁচাতে এবং উক্ত ঘটনা পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামিলা বেগম এর কন্যা রাবেয়া খাতুন লাকী এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জামিলা বেগম বলেন আমি একজন স্বামীহারা বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ, অসহায় নারী। আমার নেশাগ্রস্থ, উশৃংখল, আইন অমান্যকারী, বিপদগামী, অপ্রকৃতস্থ অসৎ সঙ্গের সঙ্গী, সন্ত্রাসী প্রকৃতির ছেলে মোঃ রাহাত আলী (জসীম) ৩৯- এর নানাবিধ নির্যাতন থেকে নিজেকে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে রক্ষায় মা হিসেবে জীবনের ভয়ে ভীত হয়ে আপনাদের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়েছি। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, আমার মেঝ ছেলে মোঃ রাহাত আলী (জসীম) অসৎ সঙ্গে মিশে, নেশাগ্রস্থ চরম উশৃংখল হয়ে জীবন যাপন শুরু করে, এক পর্যায়ে এসে আমার স্বামীর ত্যাক্ত সম্পত্তির ওয়ারেশ হিসেবে তার অংশ দাবী করে আমাকে এবং আমার অন্যান্য সন্তানদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে এবং অমানসিক নির্যাতন শুরু করে। আমি উপায়ন্ত না পেয়ে আমার অন্যান্য সন্তানদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হই। আমার উক্ত পুত্র মোঃ রাহাত আলী (জসীমের) চাহিত মতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে ও মধ্যস্থতায় আমার স্বামীর ত্যাক্ত সম্পত্তি ও ব্যবসার মূল্য নির্ধারণ করে আমার উক্ত পুত্র জসীমের হায়াহারি মতে অংশ নির্ধারণ করে তার অংশের মূল্য ২,২৫,০০০/- (দুই লক্ষ পচিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করে দেই। যা আমার স্বামীর ত্যাক্ত জেলা খুলনার খালিশপুর থানাধীন রেজিস্ট্রি অফিস ও সিটি কর্পোরেশন খুলনাধীন ১৪ নং গোয়ালপাড়া মৌজার মধ্যে খালিশপুর হাউজিং এস্টেট এন/ই-৪৮ নং প্লটের ৬৯.৫০ বর্গগজ জমির মধ্যে আমার উক্ত পুত্রের অংশ ১৭.৩৫ বর্গগজের মূল্য ১,৭৫,০০০/- (একলক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা এবং ব্যবসার অংশের মূল্য ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা সর্বমোট ২,২৫,০০০/- (দুইলক্ষ পচিশ হাজার) টাকা যার মধ্যে ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা নগদ এবং ২,২০,০০০/- (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা আমার নিজনামীয় হিসাবধারী জনতা ব্যাংক খালিশপুর শাখা হতে ২৬৫০৭৭৪ নম্বর পে-অর্ডারের মাধ্যমে আমার উক্ত পুত্রের জনতা ব্যাংক পোর্ট শাখায় তার একাউন্টে প্রেরণ করা হয়। আমার উক্ত পুত্র জসীম তাহার প্রাপ্য বুঝে পেয়ে ২৫/০২/২০১০ তারিখ উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সম্মুখে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ঘোষণা সম্পাদন করে। আমার উক্ত পুত্র মোঃ রাহাত আলী (জসীম) তৎপর হতে পৃথক বসবাস করে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, আমার উক্ত পুত্র বিভিন্ন সময়ে আমার বাসায় এসে আমাকে, আমার অন্যান্য সন্তান ও পুত্র বধুর নিকট টাকা পয়সা দাবী করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মানসিক নির্যাতন করে। আমার উক্ত পুত্র প্রায়শই আমার বাসায় এসে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ব্যবসায়িক বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। মাঝে মধ্যেই আমার বাসার সামনে এসে বিভিন্ন প্রকার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে আমার জীবন যাপনে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আমার পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীরা তার উক্তরূপ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করায় তাদেরকেও বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি, হুমকী এমনকি অসত্য উক্তিতে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে অযথা হয়রানী করে আসছে। এমনকি তাদেরকে রাস্তাঘাটে চলার পথে অপমান-অপদস্ত করে আসছে। তারা মান-সম্মান হানী এবং জীবননাশের ভয়ে দিনাতিপাত করছে। ইতিপূর্বে আমি উপায়ন্ত না পেয়ে এফিডেভিট করে ঘোষণা প্রদানে তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিন্ন করি। আমি তার গ্রহণকৃত টাকা সংক্রান্তে লীগ্যাল নোটিশ প্রদান করতঃ আইনত দায়মুক্ত হই। যা ০২/০৩/২০১০ তারিখ “দৈনিক পূর্বাঞ্চল” পত্রিকায় প্রকাশ করি। আমার সম্পূর্ণ অবাধ্য ভবঘুরে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত উক্ত পুত্র যত দিন যাচ্ছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তার অত্যাচার নির্যাতনে আমি মানসিক ট্রমায় ভূগছি। আমি তার ভয়ে দিন রাত কখনোই ঘুমাতে পারিনা। এমনকি ঘুমের মধ্যেও আঁতকে উঠি এবং ঘুম ভেঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এমতাবস্থায় আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি যাতে আমার উক্ত পুত্রের অমানবিক নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পারি সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
আমার এ আকুল আবেদন আপনাদের গণমাধ্যমে প্রকাশ করে জীবনের অন্তিম সময়ে একটু স্বস্তিদায়ক জীবন যাপনে সহযোগীতা করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

Tag :
জনপ্রিয়

দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই: খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রনালয়ের-উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার

সাইফুর মিনা, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান

ছেলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে খুলনা প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী মায়ের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত ১০:১৯:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

খালিশপুর হাউজিং এস্টেট এন/ই-৪৮ নং প্লটের
বাসিন্দা মৃত তৈয়ব আলীর স্ত্রী জামিলা বেগম মাদকাসক্ত সন্তানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে খুলনা প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামের হল রুমে ১০মে দুপুর ১২.৩০মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করেন। জামিলা বেগম বিগত ২১শে মার্চ ২০০৪ সালে স্বামীকে হারিয়ে মৃত তৈয়ব আলীর ৪ সন্তান স্ত্রী সহ মোট ০৫ (পাঁচ) জনকে ওয়ারেশ রেখে যান মৃত তৈয়ব আলী, স্ত্রী জামিলা বেগম চার সন্তানের জননী ২০০৪ সালে স্বামীকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে জীবন যুদ্ধ শুরু করেন, মেজো ছেলে রাহাত আলী (জসীম) পরিবারের অবাধ্য হয়ে অসৎ সঙ্গে বেপরোয়া হয়ে ওঠে তখন অসৎ সঙ্গের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পরিবারের লোকজন ব্যর্থ হন (জসীম) ঘরের সোনাদানা বিভিন্ন সময় চুরি করে আমাদের অতিষ্ঠ করে তোলে এবং তার ভাগের অংশ দাবি করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শালিশের মাধ্যমে মরহুম তৈয়ব আলীর রেখে যাওয়া ব্যবসা ও সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করে তার ভাগের অর্থ বুঝে নেয়। তারপরও সে পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন কার্যক্রমে মাতা জামিলা বেগম অতিষ্ঠ হয়ে সন্তানকে এফিডেভিটের মাধ্যমে সম্পর্ক ছিন্ন করে সেই থেকেই সে পরিবারের বর্তমানে কিছুদিন ধরে আবারো বেপরোভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকিধমকি প্রদর্শন করে আসছে। কতটা নিকৃষ্ট হলে গর্ভধারিনী মায়ের গায়ে হাত তোলে একপর্যায়ে পরিবারের ছেলে মেয়ে সকলকে নিয়ে জামিলা বেগম খুলনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের শরণাপন্ন হন পরিবারকে বাঁচাতে এবং উক্ত ঘটনা পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জামিলা বেগম এর কন্যা রাবেয়া খাতুন লাকী এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জামিলা বেগম বলেন আমি একজন স্বামীহারা বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ, অসহায় নারী। আমার নেশাগ্রস্থ, উশৃংখল, আইন অমান্যকারী, বিপদগামী, অপ্রকৃতস্থ অসৎ সঙ্গের সঙ্গী, সন্ত্রাসী প্রকৃতির ছেলে মোঃ রাহাত আলী (জসীম) ৩৯- এর নানাবিধ নির্যাতন থেকে নিজেকে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে রক্ষায় মা হিসেবে জীবনের ভয়ে ভীত হয়ে আপনাদের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হয়েছি। আমি আমার সন্তানদের নিয়ে অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, আমার মেঝ ছেলে মোঃ রাহাত আলী (জসীম) অসৎ সঙ্গে মিশে, নেশাগ্রস্থ চরম উশৃংখল হয়ে জীবন যাপন শুরু করে, এক পর্যায়ে এসে আমার স্বামীর ত্যাক্ত সম্পত্তির ওয়ারেশ হিসেবে তার অংশ দাবী করে আমাকে এবং আমার অন্যান্য সন্তানদের উপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে এবং অমানসিক নির্যাতন শুরু করে। আমি উপায়ন্ত না পেয়ে আমার অন্যান্য সন্তানদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শরণাপন্ন হই। আমার উক্ত পুত্র মোঃ রাহাত আলী (জসীমের) চাহিত মতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পরামর্শে ও মধ্যস্থতায় আমার স্বামীর ত্যাক্ত সম্পত্তি ও ব্যবসার মূল্য নির্ধারণ করে আমার উক্ত পুত্র জসীমের হায়াহারি মতে অংশ নির্ধারণ করে তার অংশের মূল্য ২,২৫,০০০/- (দুই লক্ষ পচিশ হাজার) টাকা পরিশোধ করে দেই। যা আমার স্বামীর ত্যাক্ত জেলা খুলনার খালিশপুর থানাধীন রেজিস্ট্রি অফিস ও সিটি কর্পোরেশন খুলনাধীন ১৪ নং গোয়ালপাড়া মৌজার মধ্যে খালিশপুর হাউজিং এস্টেট এন/ই-৪৮ নং প্লটের ৬৯.৫০ বর্গগজ জমির মধ্যে আমার উক্ত পুত্রের অংশ ১৭.৩৫ বর্গগজের মূল্য ১,৭৫,০০০/- (একলক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা এবং ব্যবসার অংশের মূল্য ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা সর্বমোট ২,২৫,০০০/- (দুইলক্ষ পচিশ হাজার) টাকা যার মধ্যে ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা নগদ এবং ২,২০,০০০/- (দুই লক্ষ বিশ হাজার) টাকা আমার নিজনামীয় হিসাবধারী জনতা ব্যাংক খালিশপুর শাখা হতে ২৬৫০৭৭৪ নম্বর পে-অর্ডারের মাধ্যমে আমার উক্ত পুত্রের জনতা ব্যাংক পোর্ট শাখায় তার একাউন্টে প্রেরণ করা হয়। আমার উক্ত পুত্র জসীম তাহার প্রাপ্য বুঝে পেয়ে ২৫/০২/২০১০ তারিখ উপস্থিত স্বাক্ষীগণের সম্মুখে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ঘোষণা সম্পাদন করে। আমার উক্ত পুত্র মোঃ রাহাত আলী (জসীম) তৎপর হতে পৃথক বসবাস করে। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এই যে, আমার উক্ত পুত্র বিভিন্ন সময়ে আমার বাসায় এসে আমাকে, আমার অন্যান্য সন্তান ও পুত্র বধুর নিকট টাকা পয়সা দাবী করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মানসিক নির্যাতন করে। আমার উক্ত পুত্র প্রায়শই আমার বাসায় এসে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ব্যবসায়িক বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। মাঝে মধ্যেই আমার বাসার সামনে এসে বিভিন্ন প্রকার উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে আমার জীবন যাপনে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আমার পাড়া প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাঙ্খীরা তার উক্তরূপ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করায় তাদেরকেও বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি, হুমকী এমনকি অসত্য উক্তিতে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে অযথা হয়রানী করে আসছে। এমনকি তাদেরকে রাস্তাঘাটে চলার পথে অপমান-অপদস্ত করে আসছে। তারা মান-সম্মান হানী এবং জীবননাশের ভয়ে দিনাতিপাত করছে। ইতিপূর্বে আমি উপায়ন্ত না পেয়ে এফিডেভিট করে ঘোষণা প্রদানে তার সাথে আমার সম্পর্ক ছিন্ন করি। আমি তার গ্রহণকৃত টাকা সংক্রান্তে লীগ্যাল নোটিশ প্রদান করতঃ আইনত দায়মুক্ত হই। যা ০২/০৩/২০১০ তারিখ “দৈনিক পূর্বাঞ্চল” পত্রিকায় প্রকাশ করি। আমার সম্পূর্ণ অবাধ্য ভবঘুরে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত উক্ত পুত্র যত দিন যাচ্ছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তার অত্যাচার নির্যাতনে আমি মানসিক ট্রমায় ভূগছি। আমি তার ভয়ে দিন রাত কখনোই ঘুমাতে পারিনা। এমনকি ঘুমের মধ্যেও আঁতকে উঠি এবং ঘুম ভেঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এমতাবস্থায় আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি যাতে আমার উক্ত পুত্রের অমানবিক নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে পারি সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
আমার এ আকুল আবেদন আপনাদের গণমাধ্যমে প্রকাশ করে জীবনের অন্তিম সময়ে একটু স্বস্তিদায়ক জীবন যাপনে সহযোগীতা করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।