০২:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী দল পাবে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি

  • প্রকাশিত ০৭:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • ৫৬ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা ক্রীড়া ডেস্ক : ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতার নাম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। সেটা শুধু খেলার মাঠেই নয়, অর্থের হিসাবেও হয়ে উঠেছে এক মহাযুদ্ধ। এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পেতে যাচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ছুঁতে পারে।

উয়েফা জানিয়েছে, চলতি মৌসুমের জন্য তারা প্রাইজমানি বাবদ মোট বরাদ্দ রেখেছে ২৪৩.৭ কোটি ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। গত মৌসুমের তুলনায় এটি প্রায় ৪০ কোটি ইউরো বেশি।

এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৪৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। রানার্স-আপ দলের জন্য রয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ইউরো। অর্থাৎ ২৫৫ কোটি টাকা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়া দুটি দল বার্সেলোনা ও আর্সেনালও খালি হাতে ফিরছে না। তাদের দেয়া হচ্ছে ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো করে। যা প্রায় ২০৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

চ্যাম্পিয়নস লিগে তিন ভাগে হয় টাকা বণ্টন:
চ্যাম্পিয়নস লিগের টাকা তিনটি ভাগে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। যাথা- অংশগ্রহণ ফি, পারফরম্যান্স বোনাস এবং সম্প্রচার রেভিনিউ। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী ক্লাব পাচ্ছে নির্ধারিত ১৮.৬২ মিলিয়ন ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৫৬ কোটি টাকা।

পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯১.৪ কোটি ইউরো। যেখানে প্রতিটি জয় বা ড্রয়ের ভিত্তিতে বাড়তে থাকবে ক্লাবগুলোর আয়। ইউরোপিয়ান র‍্যাংকিংয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ক্লাব সবচেয়ে উপরে থাকবে তারা পাবে সর্বোচ্চ ১৩৬ কোটি টাকার বেশি। আর সবচেয়ে নিচের দল পাবে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।

এছাড়া ‘ব্রডকাস্ট মার্কেট পুল’ নামক বিভাগের মাধ্যমে দলগুলো আরও অর্থ পাবে, যার নির্ধারিত বাজেট ৮৫.৩ কোটি ইউরো বা প্রায় ১১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। প্রতিটি ক্লাবের জনপ্রিয়তা, বাজারমূল্য ও সম্প্রচার চাহিদার ওপর নির্ভর করে এখানে ভাগ করা হবে অর্থ।

তাহলে সর্বোচ্চ কত টাকা পেতে পারে একটি ক্লাব?
সবকিছু মিলিয়ে—অংশগ্রহণ ফি, পারফরম্যান্স বোনাস, র‍্যাংকিং ইনসেনটিভ এবং মিডিয়া মার্কেট পুল থেকে একটি ক্লাব সর্বোচ্চ ‘১২০ মিলিয়ন ইউরো’ অর্থাৎ প্রায় ‘১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা’ পর্যন্ত আয় করতে পারে।

কে জিতবে এই লড়াই?
এই বিপুল অর্থ কার হাতে যাবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ফাইনাল উঠেছে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি) ও ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলান। আগামী ৩১ মে দিবাগত রাতে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। এখন অপেক্ষা শুধু শেষ বাঁশির। যেখানে বিজয়ী শুধু শিরোপাই নয়, গর্ব আর বিপুল সম্পদেরও মালিক হবে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

তারেক রহমান : আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসুরী

এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী দল পাবে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজমানি

প্রকাশিত ০৭:০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা ক্রীড়া ডেস্ক : ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব ফুটবল প্রতিযোগিতার নাম উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। সেটা শুধু খেলার মাঠেই নয়, অর্থের হিসাবেও হয়ে উঠেছে এক মহাযুদ্ধ। এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পেতে যাচ্ছে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ছুঁতে পারে।

উয়েফা জানিয়েছে, চলতি মৌসুমের জন্য তারা প্রাইজমানি বাবদ মোট বরাদ্দ রেখেছে ২৪৩.৭ কোটি ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার বেশি। গত মৌসুমের তুলনায় এটি প্রায় ৪০ কোটি ইউরো বেশি।

এবারের আসরে চ্যাম্পিয়ন দল পাবে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৪৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। রানার্স-আপ দলের জন্য রয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ইউরো। অর্থাৎ ২৫৫ কোটি টাকা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়া দুটি দল বার্সেলোনা ও আর্সেনালও খালি হাতে ফিরছে না। তাদের দেয়া হচ্ছে ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো করে। যা প্রায় ২০৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

চ্যাম্পিয়নস লিগে তিন ভাগে হয় টাকা বণ্টন:
চ্যাম্পিয়নস লিগের টাকা তিনটি ভাগে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। যাথা- অংশগ্রহণ ফি, পারফরম্যান্স বোনাস এবং সম্প্রচার রেভিনিউ। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী ক্লাব পাচ্ছে নির্ধারিত ১৮.৬২ মিলিয়ন ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৫৬ কোটি টাকা।

পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯১.৪ কোটি ইউরো। যেখানে প্রতিটি জয় বা ড্রয়ের ভিত্তিতে বাড়তে থাকবে ক্লাবগুলোর আয়। ইউরোপিয়ান র‍্যাংকিংয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ক্লাব সবচেয়ে উপরে থাকবে তারা পাবে সর্বোচ্চ ১৩৬ কোটি টাকার বেশি। আর সবচেয়ে নিচের দল পাবে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।

এছাড়া ‘ব্রডকাস্ট মার্কেট পুল’ নামক বিভাগের মাধ্যমে দলগুলো আরও অর্থ পাবে, যার নির্ধারিত বাজেট ৮৫.৩ কোটি ইউরো বা প্রায় ১১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। প্রতিটি ক্লাবের জনপ্রিয়তা, বাজারমূল্য ও সম্প্রচার চাহিদার ওপর নির্ভর করে এখানে ভাগ করা হবে অর্থ।

তাহলে সর্বোচ্চ কত টাকা পেতে পারে একটি ক্লাব?
সবকিছু মিলিয়ে—অংশগ্রহণ ফি, পারফরম্যান্স বোনাস, র‍্যাংকিং ইনসেনটিভ এবং মিডিয়া মার্কেট পুল থেকে একটি ক্লাব সর্বোচ্চ ‘১২০ মিলিয়ন ইউরো’ অর্থাৎ প্রায় ‘১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা’ পর্যন্ত আয় করতে পারে।

কে জিতবে এই লড়াই?
এই বিপুল অর্থ কার হাতে যাবে, সেটিই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। ফাইনাল উঠেছে ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি) ও ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলান। আগামী ৩১ মে দিবাগত রাতে ফাইনালে মুখোমুখি হবে দল দুটি। এখন অপেক্ষা শুধু শেষ বাঁশির। যেখানে বিজয়ী শুধু শিরোপাই নয়, গর্ব আর বিপুল সম্পদেরও মালিক হবে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর