কুমিল্লা,দাউদকান্দি উপজেলা,সুখিপুর গ্রাম,মফিজ উদ্দিন এর ছেলে রুহুল আমিন নামে(৪৫),একই গ্রামের বেপারী বাড়ির তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম আক্তার (৮),পিতা মোহাম্মদ সাকিব,গত ০৫০৫/২০২৫ আনুমানিক দুপুর ১২ ঘটিকায়,বেপারি বাড়ির উপর দিয়ে রুহুল আমিন হেঁটে যাওয়ার সময় লক্ষ্য করে দেখেন নির্জন বাড়ি,খালিঘর,দুটি বাচ্চা একা ঘরে খেলাধুলা করতেছে,এমত অবস্থায় দুষ্কৃত রুহুল আমিন,বাচ্চা দুটির সামনে এগিয়ে যান, মরিয়মের ছোট বোনকে(৬)নামে,২০ টাকা দিয়ে দোকানথেকে বিস্কুট চিপস আনার জন্য পাঠিয়ে দেয়। রুহুল আমিন মরিয়মকে একা পেয়ে বলে!আমি তোকে বিয়ে দিয়ে দেব,তোকে টাকা দেব,এই ধরনের কথা বার্তা বলে আর মেয়েটির প্যান্ট আস্তে আস্তে খুলতে থাকে,এক পর্যায়ে মেয়েটির প্যান্ট খুলে রুহুল আমিন আট বছরের শিশু কন্যা মরিয়মকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে তখন মেয়েটি সাথে সাথে খুব জোরেশোরে চিৎকার করে ,শিশুটির চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন দ্রুত দৌড়ে আসে ওই মুহূর্তে রুহুল আমিন মেয়েটিকে ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় এ বিষয়ে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে দাউদকান্দি মডেল থানায় মরিয়মের দাদি রিনা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা রুজ্জ করেন রুহুল আমিনের নামে একমাত্র আসামী রুহুল আমিনকে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জুনায়েদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধয়নে সাব ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির দুজন সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে দ্রুত দুষ্কৃত রুহুল আমিনকে আটক করেন আটকৃত আসামি গত ০৬০৫২০২৫ কুমিল্লা আদালতে প্রেরণ করেন দাদা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মিয়া বলেন আমার এই ছোট দুটি নাতনি কে ফেলে রেখে আমার বড় ছেলে মোঃ সাকিব দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত নিখোঁজ হয়ে আছেন,এবং মরিয়মের মা আমার ছেলের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়,তাই মরিয়মের মা ছোট ছোট দুটি মেয়ে সন্তান রেখে বিদেশে পাড়ি দেন কাজের উদ্দেশ্য,মরিয়মের দাদা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন এই এতিম দুটি নাতনি আমি অনেক কষ্টের বিনিময় তাদেরকে লালন পালন করতেছি,আমি খুব দারিদ্র সাধারণত দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়,ভবিষ্যতে আমার নাতনির সাথে যা হয়েছে অন্য কোন মাসুম বাচ্চা অথবা নারীর চরিত্রহীন লম্পট রুহুল আমিন কারো ক্ষতি না করতে পারে তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই অপরাধের শাস্তির জোর দাবি জানাই আদালতের নিকট।
০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম