১১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ পুষ্ট ও বিতর্কিত সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান এখন বিরল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বহাল তবিয়তে তার অভিযোগ তন্দন্তের ফাইল এখনো আলোর মুখ দেখেনি

  • প্রকাশিত ০১:১৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • ১২১ বার দেখা হয়েছে

সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান ঘুষ নিয়ে একজনের জমি আরেকজন কে রেজিস্ট্রি করে দিতে সিদ্ধ হস্ত। তার রয়েছে রেজিস্ট্রি অফিসে একটি ঘুষ আদায়ের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ পুষ্ট এই সাব রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান ঠাকুরগাঁওয়ের আওয়ামী লীগের এমপির সাথে হাত মিলিয়ে অবৈধ ভাবে জমি ও হিন্দুদের ১’শ পরিবারের ৭৬ একর জমি এক আওয়ামী লীগের নেতার নামে রেজিস্ট্রি করে ছিলেন তিনি । এ খবর জানাজনি হলে কিছু দিনের জন্য গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার কারনে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি তার।

সাব রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান ১৯৯৫ সালে লালমনিরহাট জেলা কার্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি পদোন্নতি পেয়ে প্রধানসহকারি হওয়ার কিছু দিনের ভিতরে সাবেক আইন মন্ত্রীকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে ২০১৮ সালে পদোন্নতি নিয়ে সুনামগঞ্জে সাব রেজিষ্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সাথে তার ঘুষের সাম্রাজ্য কায়েম শুরু করেন।

এই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান এ পযর্ন্ত যেই স্টেশনে দায়িত্ব রত ছিলেন সেই অফিসকে তিনি ঘুষের সর্গ রাজ্যে পরিণত করেছেন সুনামগঞ্জ / ঠাকুরগাঁও বর্তামানে বিরল সাব রেজিস্ট্রি অফিসকে তিনি এক ঘুষের রাজ্য পরিনিত করেছেন
ঠাকুরগাঁও লাহিড়ী সাব রেজিস্ট্রি অফিসে থাকাকালীন ২০২৩ সালে ঠাকুরগাঁও স্থায়ী বাসিন্দা যতেন পালের পরিবারে ৭৬ একর জমি ভুয়া দাতা সাজিয়ে দাড় করিয়ে অন্যের নামে সেই জমি রেজিস্ট্রি করেছিলেন পরে যতেন পাল ২১/০৯/২০২৩ ইং তারিখে নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন পরে তার জেলা রেজিস্ট্রার মাধ্যমে সেই অভিযোগ দামাচাপা দেওয়ার জন্য মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে তিনি সেই লাহিড়ী সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বদলি হয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন এই সাব-রেজিষ্ট্রার শফী আকরামুজ্জামানের নামে-বেনামে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকারের আইন প্রয়োগকারি সংস্থা গুলো তদন্ত করলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে। পরে অনুসন্ধানের মাধ্যমে বেরিয়ে আসতে থাকে এক এক করে তার অবৈধ সম্পদের পাহাড় তার নিজ জেলায় রংপুর শহরে রয়েছে মার্কেট, বিলাশ বহুল একাধিক বাড়ি, গাড়ির ব্যবসা এবং ঢাকা শ্যামলীতে রয়েছে একাধিক ফ্লাট যা বেশির ভাগ তার স্ত্রীর নামে রংপুরে গাড়ি ব্যবসা দেখাশুনা করেন তার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় তিনি প্রায় অসুস্থতার দোহাই দিয়ে দেশের বাইরে মালোশিয়া ও দুবাই গিয়ে তার কালো টাকা পাচার করে থাকেন।

এ সকল বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামানকে ফোন করলে তিনি বলে আমার নামে যে সকল অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট পরে এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের ভূক্তভোগী যতেন পাল কাছে গেলে তিনি বলেন আমার ভোটার আইডি নকল করে কে বা কাহারা আমার জমি বিক্রি করে দিয়েছে এবং সেই জমি সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান নিজে রেজিস্ট্রি করেছেন।

এত অভিযোগ হওয়ার পরেও বহাল তবিয়্যতে রয়েছে সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান।

এ ব্যাপারে নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে শফী আকরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত দিলে জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন তদন্ত প্রতিবেদন দিলেও মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে তৎকালীন আই আরও জিয়ারুল হক জিয়া ফাইলটি ধামাচাঁপা দিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, সক্রিয় হবেন রাজনীতিতে

স্টাফ রিপোর্টারঃ

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ পুষ্ট ও বিতর্কিত সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান এখন বিরল সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বহাল তবিয়তে তার অভিযোগ তন্দন্তের ফাইল এখনো আলোর মুখ দেখেনি

প্রকাশিত ০১:১৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান ঘুষ নিয়ে একজনের জমি আরেকজন কে রেজিস্ট্রি করে দিতে সিদ্ধ হস্ত। তার রয়েছে রেজিস্ট্রি অফিসে একটি ঘুষ আদায়ের শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আশীর্বাদ পুষ্ট এই সাব রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান ঠাকুরগাঁওয়ের আওয়ামী লীগের এমপির সাথে হাত মিলিয়ে অবৈধ ভাবে জমি ও হিন্দুদের ১’শ পরিবারের ৭৬ একর জমি এক আওয়ামী লীগের নেতার নামে রেজিস্ট্রি করে ছিলেন তিনি । এ খবর জানাজনি হলে কিছু দিনের জন্য গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকার কারনে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়নি তার।

সাব রেজিস্ট্রার শফি আকরামুজ্জামান ১৯৯৫ সালে লালমনিরহাট জেলা কার্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি পদোন্নতি পেয়ে প্রধানসহকারি হওয়ার কিছু দিনের ভিতরে সাবেক আইন মন্ত্রীকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে ২০১৮ সালে পদোন্নতি নিয়ে সুনামগঞ্জে সাব রেজিষ্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সাথে তার ঘুষের সাম্রাজ্য কায়েম শুরু করেন।

এই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান এ পযর্ন্ত যেই স্টেশনে দায়িত্ব রত ছিলেন সেই অফিসকে তিনি ঘুষের সর্গ রাজ্যে পরিণত করেছেন সুনামগঞ্জ / ঠাকুরগাঁও বর্তামানে বিরল সাব রেজিস্ট্রি অফিসকে তিনি এক ঘুষের রাজ্য পরিনিত করেছেন
ঠাকুরগাঁও লাহিড়ী সাব রেজিস্ট্রি অফিসে থাকাকালীন ২০২৩ সালে ঠাকুরগাঁও স্থায়ী বাসিন্দা যতেন পালের পরিবারে ৭৬ একর জমি ভুয়া দাতা সাজিয়ে দাড় করিয়ে অন্যের নামে সেই জমি রেজিস্ট্রি করেছিলেন পরে যতেন পাল ২১/০৯/২০২৩ ইং তারিখে নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেন পরে তার জেলা রেজিস্ট্রার মাধ্যমে সেই অভিযোগ দামাচাপা দেওয়ার জন্য মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে তিনি সেই লাহিড়ী সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে বদলি হয়ে যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন এই সাব-রেজিষ্ট্রার শফী আকরামুজ্জামানের নামে-বেনামে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকারের আইন প্রয়োগকারি সংস্থা গুলো তদন্ত করলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে। পরে অনুসন্ধানের মাধ্যমে বেরিয়ে আসতে থাকে এক এক করে তার অবৈধ সম্পদের পাহাড় তার নিজ জেলায় রংপুর শহরে রয়েছে মার্কেট, বিলাশ বহুল একাধিক বাড়ি, গাড়ির ব্যবসা এবং ঢাকা শ্যামলীতে রয়েছে একাধিক ফ্লাট যা বেশির ভাগ তার স্ত্রীর নামে রংপুরে গাড়ি ব্যবসা দেখাশুনা করেন তার এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় তিনি প্রায় অসুস্থতার দোহাই দিয়ে দেশের বাইরে মালোশিয়া ও দুবাই গিয়ে তার কালো টাকা পাচার করে থাকেন।

এ সকল বিষয়ে সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামানকে ফোন করলে তিনি বলে আমার নামে যে সকল অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট পরে এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়ার জন্য বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের ভূক্তভোগী যতেন পাল কাছে গেলে তিনি বলেন আমার ভোটার আইডি নকল করে কে বা কাহারা আমার জমি বিক্রি করে দিয়েছে এবং সেই জমি সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান নিজে রেজিস্ট্রি করেছেন।

এত অভিযোগ হওয়ার পরেও বহাল তবিয়্যতে রয়েছে সাব রেজিস্ট্রার শফী আকরামুজ্জামান।

এ ব্যাপারে নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে শফী আকরামুজ্জামানের বিরুদ্ধে তদন্ত দিলে জেলা রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দিন তদন্ত প্রতিবেদন দিলেও মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে তৎকালীন আই আরও জিয়ারুল হক জিয়া ফাইলটি ধামাচাঁপা দিয়ে রেখেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।