১১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ২২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আলি হোসেন,, চাঁপাইনবাবগঞ্জ (সদর) :

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা চরবাগডাঙ্গা নদী ভাঙ্গন রক্ষা রাঁধের ব্লক তৈরিতে পাহাড় সমান দুর্নীতির অভিযোগ

  • প্রকাশিত ০৮:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • ৪৭ বার দেখা হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা চরবাগডাঙ্গায় নদী রক্ষা রাঁধের ব্লক তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে Iজেলা সদরের চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বাখের আলি ও ২ নং ওয়ার্ড গোয়া ডুবি নদী ভাঙ্গনে রক্ষা বাঁধে নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান Iস্থানীয়রা বাঁধা দিলে ঠিকাদার ও এলাকায় কিছু পাতি নেতারা তাদের প্রতি চড়াও হন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য আল মামুন এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের আল মামুন বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর আমি চড়াও হয়নি যদিও গণমাধ্যম কর্মীরা যখন বলেন এই বাঁধে কন্টাকটারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিন দিন পরে আসবে বলে ফোন নাম্বার চাইলে আমার পক্ষে নাম্বার দেওয়া সম্ভব নয় I

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মাটি যুক্ত বালু, ছোট পাথরের জায়গায় বড় পাথর এবং ব্লকে পাথর দিচ্ছে একদাম কম পাথরের সাথে সঙ্গে ধুলাবালি যুক্ত অবস্থায় ঢালাই ইট ও পাথরের খোয়া মিশ্রনে শ্রমিকরা একের পর এক তৈরি করছেন ব্লক ।

স্থানীয় বাসিন্দা আরেক জন বলেন এমন অবস্থায় কাজ ভালো না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন বলেন ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় পালাতক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা এই সুযোগে কিছু স্থানীয় চামচার ও দালালেরা কন্টাকটারদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুর্নীতি কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন ২৪ ঘন্টা কন্টাকটার ও দালালের সাথে ঘুরা ঘুরি করছেন ।

১২ নং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের এক নং বার ওয়ার্ডের মেম্বার “ছবি” কে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি

এবং দুই নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার রফিকুল ইসলাম কে ফোন দিলে গনমাধ্যম কর্মী পরিচায়দিলে ফোন কেটে দেন আবার চেষ্টা করলে বন্ধ করে দেন ।

তিন নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার জুয়েল রানা কে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ১.২.৩. নাম্বার ওয়ার্ডে সদস্য কারো সাথে

রাঁধে বিষয়ে গনমাধ্যমে কর্মী ফোন দিলে ১২ নং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ রানা টিপু কে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি একটা বিষয়ে দুই মাস থেকে বাইরে আছি আমি না থাকায় আমার বিরুদ্ধে দলের লোক বাঁধ দখলে করে কন্টাকটার ও ঠিকাদারদের জিম্মি করে তারা টাকা নিচ্ছেন আমার কাছে এমন অভিযোগ আছে তবে আমি চেষ্টা করবো অনিয়ম দুর্নীতি থাকলে উপর মহলকে বিষয়টি অবগত করব ।

ব্লক নির্মাণে এর আগেও অনিয়ম ও কাজে মান খারাপ হাওয়ায় বেশ কয়েকবার সাহাদাত নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের নিষেধ করেন স্থানীয়রা । তারপরও ঠিকাদিরা প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কয়েক হাজার ব্লক তৈরি করেন ।এতে ক্ষুব্ধ হন তানা। তবুও গায়ের জোরে আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাজশে কাজ চলছে। অবিলম্বে কাজ বন্ধ রেখে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন স্থানীয়রা। অন্যাথায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি ব্লক করে বাঁধের কাজ করা হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা ।

সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি কারণে দেশ আজ দেউলিয়া,
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পাঁচ ওয়ার্ড মেম্বার মজিবুর রহমান বলেন , ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যে কাজটি চলমান রেখেছে । তার মান অত্যন্ত খারাপ। তারা মনে করেছেন গ্রাম্য এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন কোটি কোটি টাকা লুট করে চলছেন বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া একই ঠিকাদার আরও সাতটি স্থানে ব্লক তৈরির কাজে পেয়েছেন । ব্যবস্থা না নিলে সেখান থেকে সরকারের অর্থ কোটি কোটি টাকা লুট করবে।

সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। এস এম আহাসান হাবিব কে ফোনে সরকারি ছুটির কারনে যোগাযোগ করবার শুভ হয়নি

প্রায় শত কোটি টাকা বরাদ্দ হয় লুটপাট করে খাই আসলে এর শেষ কোথায় সাধারণ জনগণ কার কাছে যাবেন ।

Tag :
জনপ্রিয়

১৭ বছর পর দেশে ফিরছেন জোবাইদা রহমান, সক্রিয় হবেন রাজনীতিতে

আলি হোসেন,, চাঁপাইনবাবগঞ্জ (সদর) :

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা চরবাগডাঙ্গা নদী ভাঙ্গন রক্ষা রাঁধের ব্লক তৈরিতে পাহাড় সমান দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত ০৮:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা চরবাগডাঙ্গায় নদী রক্ষা রাঁধের ব্লক তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে Iজেলা সদরের চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বাখের আলি ও ২ নং ওয়ার্ড গোয়া ডুবি নদী ভাঙ্গনে রক্ষা বাঁধে নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান Iস্থানীয়রা বাঁধা দিলে ঠিকাদার ও এলাকায় কিছু পাতি নেতারা তাদের প্রতি চড়াও হন পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য আল মামুন এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের আল মামুন বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর আমি চড়াও হয়নি যদিও গণমাধ্যম কর্মীরা যখন বলেন এই বাঁধে কন্টাকটারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিন দিন পরে আসবে বলে ফোন নাম্বার চাইলে আমার পক্ষে নাম্বার দেওয়া সম্ভব নয় I

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, মাটি যুক্ত বালু, ছোট পাথরের জায়গায় বড় পাথর এবং ব্লকে পাথর দিচ্ছে একদাম কম পাথরের সাথে সঙ্গে ধুলাবালি যুক্ত অবস্থায় ঢালাই ইট ও পাথরের খোয়া মিশ্রনে শ্রমিকরা একের পর এক তৈরি করছেন ব্লক ।

স্থানীয় বাসিন্দা আরেক জন বলেন এমন অবস্থায় কাজ ভালো না হওয়ায় স্থানীয় এলাকাবাসী ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন বলেন ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় পালাতক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা এই সুযোগে কিছু স্থানীয় চামচার ও দালালেরা কন্টাকটারদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুর্নীতি কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন ২৪ ঘন্টা কন্টাকটার ও দালালের সাথে ঘুরা ঘুরি করছেন ।

১২ নং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের এক নং বার ওয়ার্ডের মেম্বার “ছবি” কে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি

এবং দুই নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার রফিকুল ইসলাম কে ফোন দিলে গনমাধ্যম কর্মী পরিচায়দিলে ফোন কেটে দেন আবার চেষ্টা করলে বন্ধ করে দেন ।

তিন নাম্বার ওয়ার্ড মেম্বার জুয়েল রানা কে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ১.২.৩. নাম্বার ওয়ার্ডে সদস্য কারো সাথে

রাঁধে বিষয়ে গনমাধ্যমে কর্মী ফোন দিলে ১২ নং চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাহিদ রানা টিপু কে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি একটা বিষয়ে দুই মাস থেকে বাইরে আছি আমি না থাকায় আমার বিরুদ্ধে দলের লোক বাঁধ দখলে করে কন্টাকটার ও ঠিকাদারদের জিম্মি করে তারা টাকা নিচ্ছেন আমার কাছে এমন অভিযোগ আছে তবে আমি চেষ্টা করবো অনিয়ম দুর্নীতি থাকলে উপর মহলকে বিষয়টি অবগত করব ।

ব্লক নির্মাণে এর আগেও অনিয়ম ও কাজে মান খারাপ হাওয়ায় বেশ কয়েকবার সাহাদাত নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের নিষেধ করেন স্থানীয়রা । তারপরও ঠিকাদিরা প্রতিষ্ঠানের লোকজন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কয়েক হাজার ব্লক তৈরি করেন ।এতে ক্ষুব্ধ হন তানা। তবুও গায়ের জোরে আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের যোগসাজশে কাজ চলছে। অবিলম্বে কাজ বন্ধ রেখে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন স্থানীয়রা। অন্যাথায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি ব্লক করে বাঁধের কাজ করা হলে সরকারের কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা ।

সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি কারণে দেশ আজ দেউলিয়া,
চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পাঁচ ওয়ার্ড মেম্বার মজিবুর রহমান বলেন , ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান যে কাজটি চলমান রেখেছে । তার মান অত্যন্ত খারাপ। তারা মনে করেছেন গ্রাম্য এলাকায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন কোটি কোটি টাকা লুট করে চলছেন বিষয়টি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া একই ঠিকাদার আরও সাতটি স্থানে ব্লক তৈরির কাজে পেয়েছেন । ব্যবস্থা না নিলে সেখান থেকে সরকারের অর্থ কোটি কোটি টাকা লুট করবে।

সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। এস এম আহাসান হাবিব কে ফোনে সরকারি ছুটির কারনে যোগাযোগ করবার শুভ হয়নি

প্রায় শত কোটি টাকা বরাদ্দ হয় লুটপাট করে খাই আসলে এর শেষ কোথায় সাধারণ জনগণ কার কাছে যাবেন ।