০৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে ৬১ ভাগ জমির বোরো ধান কাটা শেষ

  • প্রকাশিত ০৪:০১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : জেলার হাওরাঞ্চলে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত জমির শতকরা ৬১ ভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে।

প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা না দিলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাকী ৩৯ ভাগ জমির ধানও কৃষকরা কাটতে পারবেন বলে প্রত্যাশা স্থানীয় কৃষি বিভাগের। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ও শ্রমিকের কোনো সংকট না থাকায় বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বাসস’কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জেলার হাওরাঞ্চলে এ বছর কৃষকরা ৪১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। আর পুরো জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে। পুরো জেলায় বোরো ধানের কাটা হয়েছে শতকরা ১৮ ভাগ।

এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন। তবে ভালো ফলন হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

জেলায় ছোট বড় ১৩৪টি হাওর রয়েছে। এরমধ্যে জেলার মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলা হাওরাঞ্চল হওয়ায় এসব উপজেলায় হাওরের সংখ্যা বেশি। আর জেলায় সরকারি ভর্তুকি মূল্যে ১০১৪টি ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। তবে এসব মেশিনের মধ্যে ৭৩৬টি মেশিন ব্যবহার হচ্ছে এবং অগ্রিম ধান কাটা শুরু হওয়ায় জেলার বাইরে থেকেও দুই শতাধিক হারভেস্টার মেশিন এসেছে হাওরাঞ্চলে।

খালিয়াজুরি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজিব সরকার বলেন, এই বছর ধান ভালো হয়েছে। ১০ শতাংশ জমিতে (কাঠাপ্রতি) ৭-৮ মন করে ধান হয়েছে।

একই উপজেলার মুসলিমপুর গ্রামের কৃষক নাদিম মিয়া বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় মাড়াই করা ধান বাড়িতে না নিয়ে ক্ষেতের পাশের মাঠ থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছি।

খালিয়াজুরি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. দিলুয়ার হোসেন বলেন, আমরা কৃষকদেরকে তাড়াতাড়ি ধান কাটার পরামর্শ দিচ্ছি, পাকা ধান যাতে মাঠে পড়ে না থাকে, বৃষ্টি বাদল আসার আগেই যাতে আমরা ধান ঘরে তুলতে পারি। ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেলেই ধান কেটে ফেলতে হবে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

গোমস্তাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যার হাতে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকা উপহার

নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে ৬১ ভাগ জমির বোরো ধান কাটা শেষ

প্রকাশিত ০৪:০১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : জেলার হাওরাঞ্চলে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত জমির শতকরা ৬১ ভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে।

প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা না দিলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাকী ৩৯ ভাগ জমির ধানও কৃষকরা কাটতে পারবেন বলে প্রত্যাশা স্থানীয় কৃষি বিভাগের। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ও শ্রমিকের কোনো সংকট না থাকায় বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই কৃষকরা তাদের ফসল ঘরে তুলছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বাসস’কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জেলার হাওরাঞ্চলে এ বছর কৃষকরা ৪১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। আর পুরো জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে। পুরো জেলায় বোরো ধানের কাটা হয়েছে শতকরা ১৮ ভাগ।

এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯০ মেট্রিক টন। তবে ভালো ফলন হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।

জেলায় ছোট বড় ১৩৪টি হাওর রয়েছে। এরমধ্যে জেলার মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলা হাওরাঞ্চল হওয়ায় এসব উপজেলায় হাওরের সংখ্যা বেশি। আর জেলায় সরকারি ভর্তুকি মূল্যে ১০১৪টি ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। তবে এসব মেশিনের মধ্যে ৭৩৬টি মেশিন ব্যবহার হচ্ছে এবং অগ্রিম ধান কাটা শুরু হওয়ায় জেলার বাইরে থেকেও দুই শতাধিক হারভেস্টার মেশিন এসেছে হাওরাঞ্চলে।

খালিয়াজুরি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা রাজিব সরকার বলেন, এই বছর ধান ভালো হয়েছে। ১০ শতাংশ জমিতে (কাঠাপ্রতি) ৭-৮ মন করে ধান হয়েছে।

একই উপজেলার মুসলিমপুর গ্রামের কৃষক নাদিম মিয়া বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকায় মাড়াই করা ধান বাড়িতে না নিয়ে ক্ষেতের পাশের মাঠ থেকেই বিক্রি করে দিচ্ছি।

খালিয়াজুরি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. দিলুয়ার হোসেন বলেন, আমরা কৃষকদেরকে তাড়াতাড়ি ধান কাটার পরামর্শ দিচ্ছি, পাকা ধান যাতে মাঠে পড়ে না থাকে, বৃষ্টি বাদল আসার আগেই যাতে আমরা ধান ঘরে তুলতে পারি। ৮০ শতাংশ ধান পেকে গেলেই ধান কেটে ফেলতে হবে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর