কালিয়াকৈর সাব রেজিস্ট্রি অফিস এখন টাকার মেশিনে পরিণত হয়ে দাঁড়িয়েছে কালিয়াকৈর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার বদলী হওয়ার পর গাজীপুরের জেলা রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমানকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে কাপাসিয়ার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গনী মন্ডল পার্ট টাইম নিয়ে কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে টাকার মেশিনে পরিনিতো করেছে
কালিয়াকৈর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে গত রবিবারে দেখা যায় সাধারণ জনগনের ভোগান্তির শেষ নেই। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮ থেকে ৯ টা পর্যন্ত দলিল রেজিস্ট্রি করতে দেখা যায় সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গনি মন্ডলকে তবে কালিয়াকৈর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নাম না বলা এক দলিল লেখক বলেন সপ্তাহে ২ দিন স্যার আমাদের অফিসে পার্ট টাইম করে থাকেন কিন্তু প্রত্যেক দলিল প্রতি ৫ হাজার টাকা করে না দিলে তিনি সে দলিল তার এজলাজ থেকে ফেলে দেন শুধু তাই নয় দলিলের সামান্য ভুল দেখতে পেলে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করে থাকেন।
নাজনীন নামে এক মহিলা আমাদের কে দলিল লেখকের সাথে কথা বলতে দেখে এগিয়ে আছে তিনি আমাদের বলে এই স্যারের মনে কোন প্রকার মায়া মমতা নেই টাকা ছাড়া কিছুই কি বুজেন না তিনি এর কারন জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারা যায় তিনি ভুলে এনআইডি কার্ডের আসল কপি রেখে ফটোকপি নিয়ে এসেছিলেন কিন্তু তার দলিল যখন এজলাসে দেওয়া হয় তখন এই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গনী মন্ডল সাথে সাথে সেই দলিল ফিরিয়ে দেন পরে তার উমেদার রাকিবের মাধ্যমে নাজনীন আক্তারকে জানান এই দলিল স্যার রেজিস্ট্রি করবে কিন্তু মিষ্টি খাওয়ার জন্য কিছু দিতে হবে অথচ সেই মহিলার দলিলটি বেলা ১১ টার সময় দলিল লেখকের মাধ্যমে জমা দেন আর বিকাল ৪:৩০ টা সময় সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গনী মন্ডলের উমেদার রাকিব এসে মিষ্টি খাওয়ার কথা বলেন। তবে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মিষ্টি খাওয়ার আরেক নাম ঘুষ
কালিয়াকৈর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সপ্তাহে ২ দিন ৫০০ থেকে ৬৫০ দলিল এখন রেজিস্ট্রি হয় তাহলে গড়ে (৫০০× ৫০০০=২,৫০,০০০০) লক্ষ টাকা অর্থাৎ সপ্তাহে ২ দিনে এই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গনী মন্ডল ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যান কালিয়াকৈর সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে
এই দুর্নীতিবাজ সাব রেজিস্ট্রার ওসমান গনী মন্ডল মানে ঘুষের স্বর্গরাজ্যর রাজা।