১০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ উৎসব শুরু

  • প্রকাশিত ০৪:৫৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩৮ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসু’র মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে রবিবার (১৩ এপ্রিল) থেকে। চাকমাদের উৎসবের দ্বিতীয় দিন ‘মূল বিজু’ আজ। ঘরে ঘরে নানা প্রকার সবজি দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার পাজন দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করছেন তারা। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসেবর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে।

ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসুর প্রথমদিনকে বলা হয় হারিবৈসু। এদিন ভোরে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ ও শিশুরা ঘুম থেকে উঠে ঘর পরিষ্কার করেন। গোসল করে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং গয়না পরিধান করে নদী, ছড়া ও খালে গিয়ে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন তারা।

বাহারি রঙের ফুল কলাপাতায় সাজিয়ে মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালিয়ে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী। পুরতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন তারা।

তরুণীরা নিজেদের হাতে তৈরি করে আনা ছোট ছোট রিসা বা উড়না ফুলসহ পানিতে ভাসিয়ে দেন। পরে ছেলে-মেয়েরা ছড়ার পানিতে নেমে বড়দের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন।

খাগড়াপুরের সুমিতা ত্রিপুরা ও সমর ত্রিপুরা জানান, আজ হারি বৈসুর মধ্যদিয়ে আমাদের বৈসু উৎসব শুরু হয়েছে। এই উৎসবে প্রশাসনে কর্মরত নারী কর্মকতারাও অংশ নেন।

ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর অনেকে আজ নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় মাতাই পুকুরি বা দেবতা পুকুর যান পূজা দিতে। এই স্থান ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভঙ্গ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা

ত্রিপুরাদের ‘বৈসু’ উৎসব শুরু

প্রকাশিত ০৪:৫৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব ‘বৈসু’র মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে রবিবার (১৩ এপ্রিল) থেকে। চাকমাদের উৎসবের দ্বিতীয় দিন ‘মূল বিজু’ আজ। ঘরে ঘরে নানা প্রকার সবজি দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার পাজন দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করছেন তারা। মারমাদের সাংগ্রাই উৎসেবর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে।

ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব বৈসুর প্রথমদিনকে বলা হয় হারিবৈসু। এদিন ভোরে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ ও শিশুরা ঘুম থেকে উঠে ঘর পরিষ্কার করেন। গোসল করে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক এবং গয়না পরিধান করে নদী, ছড়া ও খালে গিয়ে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেন তারা।

বাহারি রঙের ফুল কলাপাতায় সাজিয়ে মোমবাতি, আগরবাতি জ্বালিয়ে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করেন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী। পুরতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন তারা।

তরুণীরা নিজেদের হাতে তৈরি করে আনা ছোট ছোট রিসা বা উড়না ফুলসহ পানিতে ভাসিয়ে দেন। পরে ছেলে-মেয়েরা ছড়ার পানিতে নেমে বড়দের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন।

খাগড়াপুরের সুমিতা ত্রিপুরা ও সমর ত্রিপুরা জানান, আজ হারি বৈসুর মধ্যদিয়ে আমাদের বৈসু উৎসব শুরু হয়েছে। এই উৎসবে প্রশাসনে কর্মরত নারী কর্মকতারাও অংশ নেন।

ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর অনেকে আজ নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় মাতাই পুকুরি বা দেবতা পুকুর যান পূজা দিতে। এই স্থান ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর