স্বদেশ বিচিত্রা ক্রীড়া ডেস্ক : বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাম্প্রতিক ফর্ম খুবই বাজে। গেল বুধবার (৯ এপ্রিল) চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে ৪-০ গোলে রীতিমত উড়ে গিয়েছে ইউলো সামুরাইরা। জার্মান লিগে আছে অষ্টম স্থানে। তাই শনিবারের (১২ এপ্রিল) ‘ডার ক্লাসিকা’তে (জার্মান ক্লাসিকো) কোন উত্তেজনা হবে না বলেই ধারনা করেছিল ফুটবলপ্রেমীরা। তবে সবাইকে ভুল প্রমণিত করে বায়ার্ন মিউনিখকে রুখে দিল ডর্টমুন্ড।
শনিবার ‘ডার ক্লাসিকা’র ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়। ফলে বুন্দেসলিগায় শীর্ষে থাকা বায়ার্ন দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেয়ার লেভারকুসেনের সাথে আট পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারাল। ২৯ ম্যাচ শেষে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় বাভারিয়ানরা। অন্যদিকে সমান সংখ্যক ম্যাচ শেষে ৪২ পয়েন্ট নেয়ে টেনিলের আটে ডর্টমুন্ড। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেভারকুসেনের সংগ্রহ ৬৩ পয়েন্ট।
বায়ার্নের ঘরের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারিনায় বিরতির পর পরই ম্যাক্সিমিলিয়ান বায়ারের গোলে এগিয়ে যায় নিকো কোভাচের ডর্টমুন্ড। কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে বদলি খেলোয়াড় সের্জে নেভরি এবং রাফায়েল গুয়েরেইরো ৬৫ ও ৬৯ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেয় বাভারিয়ানদের। ৭৫তম মিনিটে সারহু গিরাসির অ্যাক্রোবেটিক প্রচেষ্টা রুখে দেন বায়ার্ন গোলরক্ষক জোনাস উর্বিগ, কিন্তু ফিরতি বলে ওয়াল্ডেমার আন্টন গোল করে স্কোর ২-২ করেন।
বায়ার্নের হয়ে হ্যারি কেইন একটি বড় সুযোগ মিস করেন। যদিও গোটা ম্যাচেই ডর্টমুন্ড গোলকিপার গ্রেগর কোবেল প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত ছিলেন। ম্যাচ শেষে বায়ার্নের অভিজ্ঞ এটাকিং মিডফিল্ডার থমাস মুলার বলে, “এটা ছিল এক সুযোগ মিসের ম্যাচ।” ৩৫ বছর বয়সী মুলার এটিই ছিল সবশেষ ‘ডার ক্লাসিকা’, কারণ এই মৌসুম শেষে তিনি আর চুক্তি থাকছেন না বায়ার্নে।
এই ড্রয়ের ফলে শিরোপা প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান বাড়াতে পারল না বাভারিয়ানরা। যদিও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লেভারকুজেন গোলশূন্য ড্র করেছে ইউনিয়ন বার্লিনের সঙ্গে, খুইয়েছে পয়েন্ট। ফলে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতে বায়ার্ন এখন ছয় পয়েন্টে এগিয়ে।
ম্যাচ শেষে বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কম্পানি বলেন, “প্রথম গোল পর্যন্ত সবকিছু আমাদের পক্ষে যাচ্ছিল। আমরা ভালো সুযোগ তৈরি করছিলাম এবং ম্যাচ মোমেন্টাম আমাদের পক্ষেই ছিল। কিন্তু গোলের পর ম্যাচটা যেন এক কাপ ফাইনালে পরিণত হয়। আমি দর্শক হয়ে এমন ম্যাচ দেখতে টিকিট কিনে নিতে পারি, কিন্তু একজন কোচ হিসেবে আপনি একটু বেশি নিয়ন্ত্রণ চান। তবুও, আমরা লেভারকুসেনের থেকে ছয় পয়েন্টে এগিয়ে থাকতে চেয়েছিলাম এবং সেটাই পেয়েছি।”
বায়ার্ন চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মিলানের মাঠ সান সিরোতে খেলতে যাবে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে। মে মাসে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে মিউনিখেই।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর